আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণ জাগরণ মঞ্চে নিয়ে নানা বিভ্রান্তির জবাব দিলো গণ জাগরণ মঞ্চ

রাজনীতিবীদদের ঘৃণা করি--- বিবৃতির মূল সুর হলো (১) ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নয়, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। নিন্মে বিবৃতিটি হুবহু তুলে দেয়া হলোঃ সম্মানিত দেশবাসী, শুভ সন্ধ্যা। আন্দোলনের ২১ দিন পর আজ আপনাদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলার উদ্যোগ নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম এতোদিন ধরে যেভাবে গণজাগরণ মঞ্চের সংবাদ আপনাদের সামনে প্রচার ও প্রকাশ করেছে, তার জন্য তাঁদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন। আপানারা জানেন, ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কোনো পরিস্থিতিতে এ আন্দোরনের সূচনা হযেছিল যুদ্ধাপরাধী নরপিমাচ কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের যে রায় ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিল, তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি দেশবাসী।

তাই যখন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের উদ্যোগে যখন মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়, তখন সর্বস্তরের জনগণ এতে সাড়া দেয়। যে স্ফূলিঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি, আজ তাই দাবানল আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। এই জাগরণ মঞ্চ হয়ে উঠেছে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে জাতি-ধর্ম-বণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রাণের ঠিকানা। ৪২ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধী, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের বিরুদ্ধে বাঙালির হৃদয়ে পুঞ্জীভূত ঘৃণা-ক্ষোভ-ক্রোধ আজ গগনবিদারী স্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে এই গণজাগরণ মঞ্চে। গত একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যে মহাসমাবেশ হয়, তা থেকে আমরা সারা ঢাকা শহরে আন্দোলন ছড়িয়ে দেবার কর্মসূচি ঘোষণা করি।

এ এ ধারাবাহিকতায় গতকাল (সোমবার) মিরপুরে সমাবেশ হয়। জনসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ আর গগনবিদারী স্লোগানে লক্ষ জনতা সমর্থন দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে উত্থাপিত ছয় দফা দাবির প্রতি। এই প্রবাদ প্রতিম জনসমর্থনের কারণেই মহান জাতীয় সংসদে আইন সংশোধনের মাধ্যমে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এমনকি যুদ্ধারাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর বিচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয় দেশবাসী আপনারা জানেন, শুরু থেকেই এ গণজাগরণ মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের ব্যবসায়িক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বয়কট করেছে। বাংলার জনগণ ঘৃণাভরে বর্জন করেছে যুদ্ধাপরাধীদের সকল গণমাধ্যম। তাই প্রথাম দিন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের গণমাধ্যমগুলো যেমন পেশাগত দায়িত্বশীলতাসহ গণজাগরণ মঞ্চের সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করতে থাকে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বর্জিত গণমাধ্যমগুলো বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার সীমাহীন নজির স্থাপন করে। বলাই বাহুল্য, এ ধরনের বিভ্রান্তি জনমানুষের মনেও কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

আজ গণজাগরণ মঞ্চ সে প্রশ্নগুলোর উত্তরই প্রদান করবে। রাজনৈতিক অবস্থান এ কথা সত্য, একটি রাজনৈতিক দাবি নিয়ে আমাদের এই গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চ কোন দলীয় প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি নির্দলীয় মঞ্চ। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এ গণজাগরণ মঞ্চের সারথি। কোনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন কখনোই আমাদের উদ্দেশ্য নয় এবং এ বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ সচেতন।

আমাদের দাবি সুস্পষ্টভাবে ছয় দফাতে উল্লেখ করা আছে। এ দাবিগুলোকে সামনে রেখেই আমাদের এগিয়ে যাওয়া। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের মূল লক্ষ্য। অন্য কোনো বিষয় নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ এই মুহূর্তে কিছু ভাবছে না। অর্থের উৎস এ কথা অনস্বীকার্য যে, দীর্ঘ ২১ দিন যাবত আন্দোলন চালিয়ে যাবার পেছনে একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিত প্রয়োজন।

সেটি ভিত্তিটি গণজাগরণ মঞ্চেরও রয়েছে। শুরু দিন থেকে, অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই গণচাঁদা তুলে সকলের খাবরের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির উদ্যোগে এখানে খাবার আসতে থাকে। সে খাবার আমাদের ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সময় যারা খাবার দেন তাঁরাও বিলি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাদের সাহায্য করেন।

এছাড়া অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্যে করে থাকেন। তাকে গণজাগরণ মঞ্চ বরাবরই বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছে, আমাদের এই মুহূর্তে আর্থিক সাহার্যের তেমন একটা প্রয়োজন নেই। ধর্ম সংক্রান্ত বিভ্রান্তির জবাব আমরা শুরুতেই একটি কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, গণজাগরণ মঞ্চের অনুপ্রেরেণা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালির হাজার বচরের শ্রেষ্ঠ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ যেমন কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ছিল না, তেমনি এ আন্দোলনের সঙ্গেও ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এ আন্দোলনের প্রথম থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ সমস্ত ধর্মের মানুষের অনুভূতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাশীল ছিল এবং আছে।

ভবিষ্যতেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্যে –‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। ’ কিন্তু এই আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নানা অপচেষ্ট আমরা লক্ষ্য করছি। আপনারা দেখেছেন, কিছু ব্লগারের ব্যক্তিগত পোস্ট বা লেখাকে কেন্দ্র করে কীভাবে জামায়াত-শিবির ও তার দোসররা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তারা এ আন্দোলনের ওপর বিভিন্ন মিথ্যা দায় চাপিয়ে দিতে চাইছে।

আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো ধরনের ধর্মীয় অবমাননাকর অপতৎপরতার সঙ্গে প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা যে কোনো ধর্মী অবমাননার বিরুদ্ধে। আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সম্পর্কে সব রকম কুরুচিপূর্ণ আক্রমণের বিরোধিতা করি, তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের অপতৎপরতাকে কোনোভাবেই এই গণজাগরণ মঞ্চের প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি, কখনোও দেওয়া হবে না। বায়ান্নতে যেমন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাকে হিন্দুদের ভাষা বলা হয়েছিল, একাত্তরে অন্যায় শোষণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, একইভাবে আজকে গণহত্যাকারীদের বাঁচাতে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ধর্মবিরোধী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের দাবি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নয়, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লিখিত ছয় দফা দাবিতে ধর্মকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসায়ী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের যে অপরাজনীতি তা নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকেও সোচ্চার কণ্টে উচ্চারিত হয় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কথা। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো অবস্থান নেই, কারণ আমরা প্রথম থেকেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যেকে সামনে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সব যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলাম ও তাদের বর্বর সন্ত্রাসী বাহিনী ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধকরণের দাবি আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

ধর্মীয় অবমাননা করছে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী চক্র আমরা লক্ষ্য করছি যে, রাজীবকে হত্যার পর তার নামে বানোয়াট আইডি খুলে কমিউনিটি ব্লগে আপত্তিকর পোস্টকে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে মুসলামানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে কুখ্যাত ‘আমার দেশ গং’। এ কাজ করে তারা নিজেরাই ধর্মীয় অবমাননার অপরাধ করেছে। এর ভেতরে মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি কোনো ভালোবাসা ছিল না, ছিল হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার বাসনা। রক্ষা পাচ্ছে না মসজিদের পবিত্রতা দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী জামায়াত-শিবিরচক্র শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশব্যাপী এই খবর ছড়িয়ে পবিত্র মসজিদ ব্যবহার করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কে দেবার অপচেষ্টা করছে। আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের জায়নামাজে আগুন ধরিয়েছে, পবিত্র মসজিদের টাইলস ভেঙেছে, জুতা ছোঁড়াছোঁড়ি করেছে।

এমনিক মসজিদের খতিবকে হামলার হুমকি দিয়ে জুমার নামাজে ইমামতি থেকে বিরত রেখেছে। সাধারণ মুসল্লিরে জিম্মি করে জুমার নামাজের পর মসজিদ থেকে শুরু করেছে নজিরবিহীন সহিংস্রতা। ইসলাম রক্ষার নামে গাড়ি পুড়িয়ে, মানুষ হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির চক্র ৭১’ এ তাদের অপরাধ ও তার বিচার নস্যাৎ করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করে, ঘৃণা ছড়িয়ে এরা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়? ইতিমধ্যে আলেমসমাজ জানিয়েছেন মওদুদীবাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্বন্ধ নেই, খুনি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম সমাজের কোনো সর্ম্পক নেই। আপনাদের কাছে প্রশ্ন এরা কী ধরনের মুসলমান, যারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করে এবং ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমামতি করানো থেকে বিরত রাখে? এরা কী ধরনের মুসলমান যারা নিরীহ মানুষের ওপর বোমা হামলা চালায়? এদের আসল বাংলাদেশ বিরোধী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে, যখন তারা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে এবং ভাষার মাসে শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার মতো জঘন্য কাজ করে।

যে শহীদ মিনার আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক, বারবার মানুষ শপথ নিয়েছে, সেই শহীদ মিনার যারা ভাঙচুর করে তারা কতোটা হীন ও জঘন্য তা সহজেই অনুমেয়। তাই জাগরণ মঞ্চ থেকে সব ধর্মের, সব বর্ণের- সব শ্রেণির মানুষের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই যুদ্ধাপরাধী, ইসলাম বিরোধীচক্র জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেললো, শহীদ মিনার ভেঙে ফেললো, পবিত্র মসজিদে আগুনে দিলো, জাতীয় মসজিদের খতিবকে লাঞ্ছিত করলো; তারপরও কি আপনারা চুপ করে থাকবেন? আমরা দেখছি, নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের গণজাগরণ মঞ্চ আর গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য গণমাধ্যমের কর্মীদের টার্গেট পরিণত করেছে যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধী জামায়াদের ইসলাম ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ইসলামী ছাত্র শিবির। এখনও কি আপনি কি চুপ থাকবেন? আপনার নীরবতা যুদ্ধাপরাধীদের ও তাদের দোসরদের অপতৎপরতাকে আরো প্রশ্রয় দেবে। দেশপ্রেমিক ভাই ও বোনেরা আমাদের এ লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের স্পষ্ট প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী, তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ইসলামী ছাত্র শিবির ও তার দোসররা।

মনে রাখতে হবে, এ লড়াইয়ে তারা আবারও ১৯৭১ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অত্যাচারী পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে তখন যে অবস্থান এই শ্বাপদেরা নিয়েছিলো আজ সেই একই রূপে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই ধরনের অপশক্তি সাথে নিয়ে কোন দেশ বা জনগণ সমনে এগিয়ে যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধশালী ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হলে এদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে হবে, ইতিহাসের আস্তাকুঁড় থেকে উঠে আসা এইসব আবর্জনাকে আবার নিক্ষেপ করতে হবে আস্তাকুঁড়ে। সম্মানিত দেশবাসী বাংলাদেশ আজ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে।

এ লড়াই যুদ্ধাপরাধমুক্ত একটি সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক সমাজ তথা রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই লড়াই দেশপ্রেমিক জনগণের লড়াই। বালাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা-গণতন্ত্র বিরোধী জামায়াত-শিবিরও তাদের দেশি-বিদেশি দোসরদের বিরুদ্ধে এ লড়াই প্রজন্মের লড়াই। এই লড়াই কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এ লড়াই জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী প্রতিটি মানুষের লড়াই আমরা যুদ্ধাপরাধের বিরোধী, কিন্তু ধর্মবিরোধী নই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম বিজয়, এ লাড়াইয়েও আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনবো। তারুণ্যের অগ্নিশপথ কখনও বৃথা যেতে পারে না।

(ফেসবুক থেকে নেওয়া) Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।