আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিও কেন মুক্তিযোদ্বা নই?

আমি কাল মেঘকে ভাল বাসি,কারন সাদা মেঘ শুধুই তারার দেশে ঘুরে ঘুরে ফ্যাসন করে কিন্তূ কাল মেঘ তার জীবনের অস্থিত্বকে হারিয়ে দিয়ে দুনিয়াতে বৃষ্টি দিয়ে ফসল ফলায় করে।

দাদীর কাছে শোনা আমার সেই গল্পটা হল: ৭১'র একেবারেই প্রথম দিকের একটা ঘটনা; কাদেরিয়া বাহিনি কেবল সংঘঠিত হতে যাচ্ছে। একদিন শুরু হলো পাকিস্থানী বাহিনির সাথে কাদেরীয়া বাহিনির মরণপ্রণ যুদ্ব। টগবগে রক্তজরা এক তরুন কাদের সিদ্দিকী। সারাদিনের যুদ্ব শেষে যখন জয়লাভ করল বাঙ্গলী তরুনরা তখন ক্লান্ত,পরিশ্রান্ত,ক্ষুধার্থ,আহত,নিহত,বিজয়ী বীরদের জন্য আমার দাদী,মা,চাচী,মামী,খালা,ফুফুরা সবাই যার যার মত বিভিন্ন রকমের শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার সহ মুরগীর ডিম সিদ্ব করে পাঠিয়ে দিচ্ছিল মুক্তিযোদ্বাদের ক্যাম্পে।

ভূল করলে বড় ভূল হবে যে, সে দিন যদি আমার দাদী, আমার মার মত অন্য দাদী বা মায়েরা তাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ না করতেন তবে যুদ্বের ময়দানে কোন মুক্তিযোদ্বরই ত যুদ্বও করতে পারত না আর দেশও স্বাধীন হতো না। সাধারন এক ছাত্রলীগ কর্মী কাদের সিদ্দিকি ৯ মাসের ব্যবধানে বঙ্গবীর হতে পারতেন না। তবে আমার দাদী/মা কেন মুক্তিযোদ্বা হবেন না? কেন আমি মুক্তিযোদ্বার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় চাকরী পাবো না? আমি আসলে বলতে চাই একমাত্র চিহ্নিত রাজারকার,আলবদর ছাড়া বাকী সব বাঙ্গালী নারী-পুরুষই মুক্তিযোদ্বা। তাদের সবার ছেলে-মেয়েদের ই মুক্তিযোদ্বার কোটার সুবিধা ভোগ করার অধিকার রাখে। যদি তা না হয় তবে মু্ক্তিযোদ্বার কোটা নামে যে চাকরী দেওয়ার নাটক চলছে সেটা বন্দ হওয়া দরকার।

আমি মুক্তিযোদ্বাদের মনে প্রানে শ্রদ্বা করি কিন্তু তাদের নাম নিয়া নাটক করাকে পছন্দ করি না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।