আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু না। শুধু ইউনুস কে নিয়া ২টা অনলাইন নিউজ পোর্টালের খবর । আসুন হলুদ বাটা শিখি।

নিজের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই। বেশীর ভাগ ছবি ব্লগ। আরেকজনের ব্লগ থেইকা কপি-পেস্ট করি,ট্রান্সলেট করি।

বাংলানিউজ২৪.কম( কালের কন্ঠের আপন ভাই ) ঃ দায়সারা সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমকে দুষলেন ড. ইউনূস বিডিনিউজ২৪.কম ঃ মামলা করবো না, ষড়যন্ত্র নেই: ইউনূস নাহ। হেডলাইন পড়ে কিছু বুঝা গেলো না কি এমন হল যে এটা নিয়ে ব্লগের মুল্যবান জায়গা নষ্ট করতে হবে ।

তাহলে আসেন ভিতরের কিছু লাইন পড়ে দেখি ঃ বাংলানিউজ২৪.কম ঃ একটি দায়সারা গোছের সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার দুপুরে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনার জন্য মোটা দাগে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকেই দুষলেন তিনি। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রামাণ্যচিত্র ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ সরানোর অভিযোগ আনার পর ওই টেলিভিশনে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও পাঠাননি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণমাধ্যম মিথ্যা বা ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ বা প্রচার করেছে মনে করে থাকলে সেজন্য প্রতিবাদলিপি পাঠানো প্রতিকারের প্রথম উদ্যোগ বলে বিবেচিত হলেও ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি তার প্রয়োজন মনে করেননি। এদিকে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে তার বিপরীতে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে না দিয়ে ডক্টর ইউনূস একটি লিখিত পাঠ করেন।

আর এই লিখিত বক্তব্যেই তিনি ঢালাওভাবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সংবাদ মাধ্যমের পরিবেশিত কোন সংবাদটি মিথ্যা এবং কেন মিথ্যা তারও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা তিনি দেননি। ডক্টর ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যাংক এবং এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ এতে গ্রাহকদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের গ্রাহকরা তাতে প্রভাবিত হননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে গরীবের রক্ত চুষে খাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন সে প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা মনে করেছেন ঠিক তাই বলেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে কি না.. এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে ডক্টর ইউনূস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না এমন কিছু হতে পারে। ’ পল্লীফোনের নারীদের হাতে কেনো এখন ফোন নেই কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, এখনো ৪ লাখ নারী এ ফোন ব্যবহার করছেন। তবে দেশের সর্বস্তরে মোবাইল ফোন ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ার কারণে এ ফোনের ব্যবসা হ্রাস পেয়েছে। কিনটন ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে পুরস্কার গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাকে সবাই টাকা দেন, কাউকে আমার টাকা দিতে হয় না।

’ বিডিনিউজ২৪.কম ঃ ঢাকা, ডিসেম্বর ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- 'তহবিল স্থানান্তরের' সংবাদ নিয়ে কোনো সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করবেন না গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিষয়টি দীর্ঘ সময় পর প্রকাশ্যে আসার পেছনে কোনো 'ষড়যন্ত্র' আছে বলেও মনে করেন না। সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করবেন না জানিয়ে ইউনূস বলেন, "আমি আর কোনো লড়াইয়ে যেতে চাই না। " রাজধানীতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বেশিরভাগই মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সহমর্মী ছিলেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেক সাংবাদিকই তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। দাতা দেশগুলোর দেওয়া ৬০ কোটি ৮০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোনার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ নামের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানে 'চুক্তি ভেঙে' স্থানান্থরের অভিযোগ তোলা হয় নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত ৩০ নভেম্বর প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে। ডেনিশ সাংবাদিক টম হাইনমান ওই প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা। বাংলাদেশে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে। নরওয়ের টেলিভিশন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে 'তহবিল স্থানান্তর বিতর্ক' অবসানের লক্ষ্যে রোববারের সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মুহাম্মদ ইউনূস। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনূস বলেন, "বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে যা প্রকাশিত হয়েছে তাতে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। "এই দুঃখ প্রকাশ করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। " 'ষড়যন্ত্র নেই' গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে তহবিল স্থানান্তরের বিষয়টি গ্রামীণ ব্যাংক ও নরওয়ে সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী 'নিষ্পত্তি হয়' ১৯৯৮ সালে। তহবিল স্থানান্তরের বিষয়টি দীর্ঘ ১২ বছর পর প্রকাশ্যে আসার পেছনে নরওয়ের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনরের কোনো 'ষড়যন্ত্র' থাকতে পারে কি না ইউনূসের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।

২০০৭ সালে সামরিক বাহিনীর সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একটি রাজ্যনৈতিক দল গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস- এ কথা উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক জানতে চান এ ঘটনা এতোদিন পর প্রকাশ্যে আসার পেছনে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' থাকতে পারে কি না। জবাবে ইউনূস বলেন, "না, দুটোর কোনোটাই মনে হয় না। তবে কেউ কেউ এতে উৎসাহ দিয়ে থাকতে পারে। " তহবিল স্থানান্তর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তিনি তার বিবেচনায় বলেছেন।

" চলতি মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা বলেন, "তহবিল স্থানান্তর বিষয়ে ভালোভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। " এসময় তিনি ইউনূসকে 'গরীবের রক্তচোষা' হিসেবে অভিহিত করেন। আবার রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে নাগরিক শক্তি নামের রাজনৈতিক দলের উদ্যোক্তা ইউনূস বলেন, "ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। " 'স্থানান্তর গরীব মানুষের জন্য' সংবাদ সম্মেলনে তহবিল স্থানান্তরের বিষয়টি স্বীকার করে ইউনূস বলেন, "গরীব মানুষের জন্য এটা করা হয়েছে। " নরওয়ের দাতা সংস্থা নোরাড তহবিল স্থানান্তরে চুক্তি ভঙ্গ হওয়ার যে অভিযোগ করেছে তাকে ইউনূস বলছেন ' নিষ্পাপ মতানৈক্য'।

পরে তার নিষ্পত্তি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংকের মত অনুযায়ী সিডাসহ সব দাতা সংস্থার টাকা নেওয়া হয়েছে। " "তহবিল স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো আপত্তি করেনি," বলেন ইউনূস। এ স্থানান্তরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘন হয়েছে কি না চাইলে তিনি বলেন, "এতে নোরাড ছাড়া কারো আপত্তি ছিলো না। যে কাজে [অর্থ] এসেছে সে কাজ সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য [স্থানান্তর]। " তহবিল গ্রামীণ ব্যাংকে থাকলে ভবিষ্যতে বিপুল পরিমাণ কর দিতে হবে- এ কারণে তা স্থানান্তর করা হয়েছে বলে নরওয়েকে জানিয়েছিলো গ্রামীণ ব্যাংক।

এক প্রশ্নের জবাবে কর প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, "কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো বিষয় এতে ছিলো না। প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানো এবং খরচ কমানোর জন্য এটা করা হয়েছে। " এখন পড়ে বুঝার চেষ্টা করুন প্রথম নিউজের সাথে ২য় টার পার্থক্য কতটুকু। তাও বুঝলেন না ? তাহলে আরেকটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। প্রথম আলোর অনলাইনে আসলে আরেকটা পাবেন।

তখন কিছুটা পার্থক্য হলেও বুঝবেন কেন এই পোস্টটা দেওয়া হলো। পোস্ট ছেড়ে যাবার আগে হলুদ রঙের ব্লগাররা মাইনাস দিতে ভুলে যাবেন না কিন্তু ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।