আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটা কোন ভ্রমণ কাহিনী না..তবে এটা ভ্রমণ নিয়েই কাহিনী

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই..পাই যদিবা.ক্ষণেক্ষণে হারাই

***************একটি অপ্রাসংগিক কথা:******************** সামহোয়ারইনের সব বন্ধদের আমি সেমন বলে ডাকতে চাই,আমারও একটু ইজি লাগবে,বন্ধুরা বললে কেমন ছোটদের ঈদের অনুষ্ঠান লাগে আমার কাছে তাই আমি যখন সেমন বলব বন্ধুরা প্লিজ নিজেদের কে মনে করে নিবেন!!এটা একটা আবদার,,ছোট করে বন্ধুত্বের ডাক,ওকে?আমিও তবে ডায়েরীর মত আমার কথা গুলো বলতে পারব সহজে ********************************* কি করব কি করব ভাবছিলাম!!তারপর ভাবলাম,,একটা ছবি ব্লগ আপলোড করলে কি হয়,,কিন্তু ভাগ্য বিরূপ!!আমার যেগুলো একটু ভাললাগে সবগুলোর সাইজ ই ৫০০কি,বা এর চেয়ে বহুত বেশি,,,,এই করে দেখছিলাম কিছু ছবির দিকে,,হঠাৎ চোঁখ পরল বান্দরবান ট্যুরের ছবিগুলো,,এই ট্যুর নিয়ে যে বিশাল পরিমাণ উচ্ছাস আর স্মৃতি,,,শুধু ছবি দিয়ে কুলাবেনা!!তাই,,লিখতে বসে গেলাম আমার এই লেখাকে ভ্রমণ কাহিনী কোন ভাবেই বলা যাবেনা,,কারণ ভ্রমণ কাহিনীতে অনেক ডাটা থাকে,,যার মাধ্যমে মানুষজন তথ্য পায়,,,আমার তেমন কোন আইডিয়াই নাই,,আমি ছিলাম দলের গরু,,সামনের নেতা গোছের পাবলিকরা যেদিকে গেছে,,আমিও,,এবং খুব সুন্দর মতই সব হয়েছিল!! আমি আমার অভিজ্ঞতাই শুধু বলে যাব সেমন!!আমার কেমন লাগছিল,,এসব,,আমার পরিবার বেশ রক্ষণশীল বলতে যা বুঝায়,তা-ই। একা আসা যাওয়ার ব্যাপার গুলোও খুব একটা হয়ে উঠেনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আগে,কিন্তু পরে ভার্সিটি লাইফে উঠে বেশ ছাড় পেয়েছিলাম,,আস্তে ক্লাসের সব ফ্রেন্ডরা মিলে ট্যুরে যাওয়া হত!! প্রথম ট্যুর হিসেবে সিলেট ট্যুরটা খুব ভাল লেগেছে,,,তারপর যেই ট্যুরটা আমাকে নাড়া দিয়েছে তার মধ্যে বান্দরবান ট্যুর!! আমাকে যদি কেউ এখনও ফেরত যেতে বলে একটা সময়,স্কুল জীবনটা বলব,,,আর যদি বলে কয়েকদিন-আমি উত্তর করব,বান্দরবান ট্যুরের ছয়দিন!! অদ্ভুত!!! যেদিন যাব,সেদিন বাসায় বহুত কথাবার্তা!!আব্বুআম্মুদের এত ধারণা ছিলনা আমরা কি কি করতে পারি,,এর আগে আরও ৩টি ট্যুর দিয়ে আসায় কিছুটা সয়ে এসেছিল!!আমাদের ক্লাসথেকে আমরা নিয়ম করে প্রতি সেমিস্টার ব্রেক এ ট্যুরে যেতাম!!সো,,,এটা প্রায় সয়ে যাওয়া হয়ে গিয়েছিল!! প্ল্যান ছিল শুধু কয়েকদিনে একটু ঘুরে আসা হবে!! আগের দিন থেকে বিভিন্ন প্রসেস এ সব কিছুতেই ট্যুর ট্যুর করে মাথা খাওয়া!!সব কিছুতে জিদ ধরা!! যাই হোক,,পারমিশন পাওয়া গেল,,লুকায়ে লুকায়ে নিজের টাকা দিয়ে টিকেট করতে বলাটা সার্থক করতে পেরে কি যে শান্তি!! স্টেশনে বন্ধুরা সব দেখা হয়ে,,মনে হচ্ছিল ঈদ!!এক বান্ধবী যে আসার জন্য চরম ঝামেলা ফেস করছে তার ফোলা চোঁখদেখেই বুঝা যাচ্ছিল!!তাও খুশির কমতি নাই!! ট্রেন ছেড়ে দিবে,যথারীতি ২জন লেট!আমরা টেনশনে মরে যাচ্ছি!!আবার কমলা পুর স্টেশন ছাড়াও এয়ারপোর্ট থেকেও ৩জনের যোগ দেয়ার কথা!!আমরা আবার ট্রেনে উঠে তাদের ফোন করে দুষ্টামি করে বললাম,"ট্রেন তো এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়েই দিছে,তোরা আসলিনা কেন?এর জন্য ফোন দিছি!!" বেচারারা টেনশনে,,,চিল্লাচিল্লি,,আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে মিশুক মেয়েটা ,,,নাকি কান্নাই শুরু করে দিয়েছিল!! যাইহোক,,,সবাই আসা হল,,,আমাদের এই ট্যুর গুলো কিছু ভালবাচ্চারা শিক্ষাসফর বলে,,,মোটেও এটা শিক্ষাসফর না!তবে পুরা সেমিস্টারের খাটা খাটুনির পর আমরা যেই শান্তিটা পেতাম,,,সেটা শিক্ষার চেয়ে কোন অংশে কম ছিলনা!!আমরা পুরা টার্ম শেষই করতাম এই আশায়,,কবে শেষ হবে ,কবে ট্যুরে যাব!! যাইহোক,,রওনা দিলাম,,তূর্না নীশিতা দিয়ে,,চিটাগাং এর উদ্দেশ্যে,, আমাদের ক্লাসের দুই গীটার বাদক আর আমরা কজন বেসুরো গানওয়ালা!!!! কি গাইনি আমরা? কালো মেম,রন্জনা,আজ তোমার মেঘে মেঘে রংধনু,অর্নব,সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর,বাংলা,শিরোনামহীন,অন্জন,নচিকেতা,ফোক,গীটারের সাথে রবীন্দ্রসংগীত,,,কি গাইনি!! তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছিল,,,সং অফ দি ট্যুর-বাংলাদেশ(শিরোনামহীন) অদ্ভুত হয়েছিল!! পুরাট্রেন আমরা জাগায়ে রেখেছিলাম,,,কিছু মানুষজন হয়তো বিরক্ত হচ্ছিল,,৩৩জনের বিশাল একগ্রুপ,,তো পুরা ট্রেনই রিজার্ভ বলা চলে!!জার্নিটাও আনন্দ লাগছিল!ভোর নাগাদ যেয়ে পৌছলাম চট্টগ্রাম,তারপর রওনা হলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে।দুই বান্ধবীর বাবা আর্মিতে সেই সুবাদে আমরা একটা রেস্ট হাউজে থাকার সুবিধা পেলাম,চিম্বুকে,চাঁদের গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম চিম্বুকে।উপরে উঠার সময় ই মন ভাল লাগতেছিল!!দাড়ায়ে গেছিলাম আমরা,,সারা রাত জার্নি তার উপর এরকম ঝাক্কিঝক্কি,,,একটু কষ্ট হচ্ছিল অবশ্য,তার পরও আনন্দের মাত্রাই যেন বেশি ছিল,যেয়ে পৌছলাম আমাদের রেস্টহাউজে!!যেয়েই আমরা রেস্টহাউজের পিছনে মাটিতে বসে পরলাম!কি সুন্দর,কি মুগ্ধতা কাজ করছিল,,,এত উপরে আমরা,,নিলগিরি তে থাকার কথা ছিল আগে,,কিন্তু সেটা ম্যানেজ করা সম্ভব হয়নাই বলেই এটা ,,,এখানে এসে মনে হল,,ভালই হয়েছে!!এর চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে?? কিন্তু তখনও জানতামনা মুগ্ধতার রেশ বা মুগ্ধতাও যে আমাদের জন্য প্রতিযোগিতা দিয়ে অপেক্ষা করছে!! আমাদের থাকার জায়গাটাও বেশ পছন্দ হল,,ছেলেরা কোন কটেজ নিবে,,মেয়েরা কোনটা নিবে নিয়ে বেশ শুরু হয়ে গেল,,আমি আর দুই বান্ধবী মিলে নিলাম যে রুম,তার নাম নীলাচল!সবগুলো রুমের নাম নীল দিয়ে,নীলাচল,নীলান্জনা এরকম!!এটাচ বাথরুম,বেশ বড় একটা রুম,সামনে বারান্দা,,,বেশ ভাল লাগছিল,,শুরু হলো আমাদের প্রথম দিন স্বপ্নের দেশে,,,স্বপ্নের মধ্য দিয়ে,,,, (পুরাটা এক পোস্টে দিলে অনেক বড় হয়ে যাবে,তাই এখানে এসে প্রথম দিনের কিছু ছবি আর অভিজ্ঞতাই দিলাম) পায়ের নিচে রংধনু দেখার মত অসাধারণ অভিজ্ঞতা আর কি হতে পারে? রাতের আড্ডা!! চাঁদের গাড়িতে কিছু পৃথিবীর মানুষ! আবারও রংধনু রাস্তায় বসে গান বাজনার সময় চাঁদটাও আমাদের সাথে ছিল!! আরও অনেক বাকি আছে!!দেখা হবে বিরতির পর সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।