আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ২০১০ সিরিজ পর্যালোচনা

অনেক প্রতিকূলতা, অনেক সমস্যা। তবু স্বপ্ন দেখি, স্বপ্নকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাই, স্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজটি হচ্ছে বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এই সিরিজের পর বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। আজ যখন এই লেখা লিখছি তখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ শেষ হয়েছে যাতে বাংলাদেশ ২-১ এ এগিয়ে আছে(যেহেতু ৪র্থ ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়েছে)।

আসুন দেখা যাক, এই সিরিজে বিশ্বকাপের আগে কেমন দেখলাম বাংলাদেশ দলকে? নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে গোটা বাংলাদেশ উড়ছিল আকাশে। তাই জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে আমরা সবাই ধরেই নিয়েছিলাম তারা পাত্তাই পাবে না টাইগারদের কাছে। কিন্তু চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন আর অপেশাদারি ব্যাটিং করে প্রথম ওয়ানডেতে ৯ রানে হেরে গোটা বাংলাদেশ যেন মাটিতে আছড়ে পড়ল। চার-চারটি রানআউট আর জুনায়েদ, আশরাফুল, সাকিব, মাহমুদুল্লাহর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং যার মুল কারন। সাকিব একাই ব্যাট হাতে লড়াই করার পরও তাকে কেন কাঠগড়ায় দাড় করানো হচ্ছে তা নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে কিন্তু আমি তাদের দলে নেই।

সে যখন স্কুপ শট খেলে আউট হলো তখন সে ব্যাতীত অন্য কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলো না এবং বাংলাদেশকে তীরে আনার জন্য তার শেষ পর্যন্ত থাকা দরকার ছিল তা নিশ্চয়ই তাকে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। সে ট্রেডিশনাল শট খেলে আউট হলেও আমার কোনো প্রশ্ন থাকতো না। সে সময় তাকে স্কুপ শটের মতো রিস্কি শট কেন খেলতে হবে! ২য় এবং ৩য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল আশানুরুপভাবে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেলো। কিন্তু তাতেও ব্যাটিং ব্যর্থতাকে লুকানো গেলো না। ৩য় ওয়ানডেতে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরেও সাকিবের দুর্দান্ত এবং অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ের সাথে মুশফিকের খুব প্রয়োজনীয় ইনিংস লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়।

তা না হলে হয়তো অন্য কিছুও দেখতে হতো। জিম্বাবুয়ের সাথেই যদি এমন হয় তবে বিশ্বকাপে সেরা দলগুলোর বিপক্ষে কি হবে! তবে সাকিবের এই দায়িত্ব নিয়ে ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। ইনজুরির সাথে লড়তে থাকা মাশরাফি প্রথম দুই ওয়ানডেতে ভালো না করলেও ৩য় ম্যাচে খুবই ভালো বল করেছে। সেই সাথে শফিউলের চার উইকেট নেয়ায় পেস বোলিং আশা জাগাচ্ছে। তবে আমি ক্রমান্বয়ে উন্নতি করতে থাকা রুবেলকে শেষ ম্যাচটা খেলতে দেখতে চাই।

রিভার্স সুইং করতে পারা এই বোলারটি বিশ্বকাপে খুব ভালো অস্ত্র হবে বলে মনে করি। আমার চোখে দেখা বর্তমানের কিছু সমস্যাঃ ১. মিডল অর্ডারের অধারাবাহিকতা ২. পাওয়ার প্লে। পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যর্থতা বিশেষত ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৩. পেস বোলিং। পেসাররা স্পিনারদের সাহায্য করতে না পারা। কেননা বড় দলগুলোর বিপক্ষে সব সময় স্পিন দিয়ে খেলার লাগাম ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

৪. ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে আরো একটু ধারালো হতে হবে এসবের ভীড়ে কিছু ভালো দিকও আছে। যেমন, স্পিন বোলিং। আমাদের দেশের ধীরগতির টার্নিং উইকেটে এরা বিশ্বসেরা। মাঝের ওভারগুলোতে রান আটকে রাখতে আমরা এখন এনেক পারদর্শী।

রাজ্জাককে বিশ্বকাপের আগে এভাবে ফর্ম ফিরে পেতে দেখা আরেকটি ভালো লক্ষণ। বিশ্বকাপের একাদশের প্রতিটি স্থান নিয়ে বিশ্লেষণ থাকছে পরের লেখায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।