আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উড়াল পথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: সেমিনারে বক্তারা



মেট্রো রেল নির্মাণ না করে উড়াল পথ নির্মিত হলে তা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত উড়াল পথ না মেট্রো রেল: ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সমাজ রুপান্তর অধ্যায়ন কেন্দ্র নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গিয়াস আহমেদ, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, ড. আব্দুল হাই মজুমদার, এফবিসিসিআই পরিচালক আব্দুল হক বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়াল পথ নির্মাণ করা হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি।

উড়াল পথ তৈরি হলে নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত কোন উন্নতি আসবে না বলেও তারা মন্তব্য করেন। সমাজ রুপান্তর অধ্যায়ন কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মেট্রো রেল নির্মাণ না করে উড়াল পথ নির্মাণ হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। প্রাইভেটকার চলাচলের জন্য উড়াল পথ তৈরি হবে। এতে সাধারণ মানুষের কোন লাভ হবে না। দেশপ্রেম নয়, দুর্নীতি করে টাকা কামাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর যানজট নিরসনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ আগামী মাসে শুরু হবে বলে গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন জানান। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যায়ন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক। মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, একটি মেট্রো রেল এক হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সেখানে ওই সংখ্যক ব্যক্তি বহনের জন্য ৮০০ প্রাইভেট কার প্রয়োজন হয়। গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য উড়াল পথ হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

একটি শহরকে ধ্বংস করার জন্য এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. সফিউল্লাহ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত না নিয়ে উড়াল পথ তৈরি হলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনায় আগ্রহ আরো বাড়বে। উড়াল পথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত মূলত গাড়ির মালিকদের কথা চিন্তা করে করা হচ্ছে । উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ২৩ আগস্ট প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

২০১১ সালে শুরু হয়ে প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।