আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে পড়ে -২; উর্দু ত্যাগ আবার উর্দু/হিন্দির প্রবেশ

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

স্বাধীনতা সময় কালিন বাংলাদেশি বাঙ্গালীর মনের অবস্থা কেমন ছিল? সব কিছু বাংলায় হবে, শিক্ষা, দফতরের সার্বিক যোগাযোগ, এমনি অবস্থা এমন মনে হচ্ছিল যে চিঠি বিদেশে যাবার কথা, একজন বিদেশির কাছে, সীমানা পর্যন্ত সেটিও বাংলা হতে হবে। চিঠিটি সীমান পেরুলে সয়ংক্রীয়ভাবে ভিন দেশির ভাষায় ভাষান্তর হবে বা যার পড়বার দরকার, তিনি তা নিজ উদ্দোগে ভাষান্তর করে নিবেন। মনে পড়ে মরহুম নানার সাথে ১৯৭৩ সালে সাহাতলি থেকে চাঁদপুর ফেরত যাব, রেল গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি, স্টেশনের ফলকের নাম রং করছিলেন। নানা লক্ষ্য করলেন ইংরেজি ও বাংলা স্টেশনের নাম রং করা হচ্ছে, ডান পাশে উর্দু লেখা ছিল, রং কারী উর্দু নামটি রং করছিলেন না। মরহুম নানা বললেন উর্দু লেখাটি কেন রং করা হচ্ছে না কেন।

রংকারী জানালেন তার উর্দু নাম রং করার নির্দেশ নাই। নানা বোঝানোর চেষ্টা করলেন কোন এক দেশের সংগে বা ঐ দেশের মানুষের সংগে বৈরী ভাব থাকতে পারে, ভাষা তো দোষ করে নি। নিম্নবেতন ভুক্ত ঐ করমচারী (যিনি রং করছিলেন), কোন কথা বলে নিজ গন্তব্যে চলে গেলেন। আজ এই মুহুর্তে শাহরুখ খানের অনুষ্ঠানে ৩০,০০০ হাজার বাংলাদেশী বিনা দ্বিধায় ও বাধায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অকপটে শুনছেন। আর আশা করছেন যেন উর্দুতেই যেন এই অনুষ্ঠান চলে।

এমনকি স্টেজে উঠেছেন সন্মানিত প্রঃ মন্ত্রীর নাতনী, মনে হোল তিনিও হিন্দি বলতে আগ্রহী। ৩০,০০০হাজার বাঙ্গালী কোটি টাকা ব্যয় করে হিন্দি/উর্দুতে অনুষ্ঠান শুনে চলেছেন। বাংলাদেশিদের কি অসাধারন পরিবর্তন!!!!!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।