আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় পুলিশ ! বঙ্গ পুলিশ !! স্মার্ট, সুদর্শন দুর্নীতিবাজ পুলিশ !!!

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি

বাংলাদেশে পুলিশই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, জরিপ প্রতিবেদন-টিআইবির , বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মানুষ এখনও নানা দুর্নীতির শিকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে রাজনৈতিক দলকে চিহ্নিত করা হলেও বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। এর পরেই সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল ও বিচার বিভাগে দুর্নীতির হার বেশী। তথাপি, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের ওপরই জনগণের নির্ভরতা রয়েছে বলে টিআইবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত 'গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার -২০১০' (বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির পরিমাপক) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বার্লিন ভিত্তিক সংগঠন টিআইএর পৰ থেকে জনগণের অভিমত ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক সমীক্ষা 'গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার -২০১০' আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বে একযোগে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত তিন বছরে বিশ্বজুড়েই দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে এ বৃদ্ধির হার বেশি । যেখানে প্রতি দশ জন মানুষের মধ্যে ছয় জনই দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। প্রতি চারজনের মধ্যে একজনকে বিভিন্ন কাজের জন্য ঘুষ প্রদান করতে হয়েছে। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে টিআই এর এদেশের শাখা টিআইবি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারসহ এই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে।

এই জরিপটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮৬টি দেশের ৯১ হাজারের বেশি জনগণের ওপর পরিচালিত হয়। জরিপে সাধারণ ঘুষ, জনপ্রতিষ্ঠান দুর্নীতি সম্পর্কে জন-ধারণা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণের আস্থা কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর কতটুকু তা তুলে ধরা হয়। গেস্নাবাল করাপশন ব্যারোমিটার এর আগে আরও ছয়বার প্রকাশিত হলেও এ বছরই প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ এ জরিপে অনত্মভর্ুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পলস্নী এবং নগর উভয় এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে 'ক্রিশ গ্রিড' পদ্ধতির মাধ্যমে ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ১০৪৯ তথ্যদাতাকে নির্বাচিত করা হয়। বিশ্বব্যাপী এই জরিপ কাজটি ২০১০ সালের ১ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পরিচালিত হয়।

প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিত্বশীল প্রায় ১০০০ নাগরিকের মাঝে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। এ জরিপের নমুনায়নের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা নমুনায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল পড়ে শোনান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারম্নজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. হাফিজউদ্দিন খান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ প্রমুখ। মতামত জরিপে বাংলাদেশে বিগত তিন বছরে দুনর্ীতির মাত্রায় কোন পরিবর্তন এসেছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মোট ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন দুর্নীতি বেড়েছে।

যার মধ্যে ১৮.০% বলেছেন বেশ বেড়েছে, ২৭.৩% বলেছেন কিছুটা বেড়েছে, ১৭.৫% বলেছেন একই মাত্রায় আছে, ২৮.৮% এর মতে কিছুটা কমেছে, ৬.৬% বলেছেন বেশ কমেছে এবং ১.৯% উত্তরদাতা নিরম্নত্তর থেকেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দুনর্ীতিবিরোধী অভিযানের মূল্যায়ন ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতার মতে ইতিবাচক, এদের মধ্যে খুবই সক্রিয় বলেছেন ১৭.০% ভাগ উত্তরদাতা, কিছুটা সক্রিয় বলেছেন ৪০.৫%, সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় কোনটাই নয় বলেছেন ১৬.৩%, কিছুটা নিষ্ক্রিয় বলেছেন ১১.৮%, খুবই নিষ্ক্রিয় বলেছেন ৯.৩% এবং নিরম্নত্তর থেকেছেন ৫.১% উত্তরদাতা। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংসদের ওপর জন_আস্থা হ্রাস পেলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্ভরতার কথা বলেছেন। যা আশাব্যঞ্জক ও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রতি চলমান জনসমর্থনের পরিচায়ক। অন্যদিকে পুলিশ, জনপ্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও বিচার বিভাগের মতো গুরম্নত্বপূর্ণ খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি বিরাজ করছে- এই মর্মে জরিপের এই ফলাফলটি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে ক্রমান্বয়ে দুর্বলতর করবে বলেই তিনি অভিমত দেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ৫৫.৮% উত্তরদাতার মতে, দুনর্ীতি বিরোধী অভিযানে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে দেশের সরকারী নেতৃত্ব। উলেস্নখ্য, জনগণের কাছে সরকারের পরই দ্বিতীয় নির্ভরতার ৰেত্র হচ্ছে গণমাধ্যম। শতকরা ১৫.২ শতাংশ উত্তরদাতা এই নির্ভরতার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ২.৮% ব্যবসা/বেসরকারী খাত, ২.৬% এনজিও খাত, ও ৬.৭% আনত্মর্জাতিক সংস্থার ওপর আস্থা রাখেন। ৯.৬ ভাগ উত্তরদাতা কারও ওপরই এ বিষয়ে আস্থা রাখেন না এবং ৭.২ উত্তরদাতা বলেছেন যে তাঁরা জানেন না।

জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে বিগত তিন বছরে দুর্নীতি বেড়েছে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার (যথাক্রমে ৭৩ ও ৬৭ শতাংশ) দেশের মানুষের মধ্যে অধিকসংখ্যক মনে করেন দুর্নীতি বেড়েছে। দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী উত্তরদাতাদের ৭৯ শতাংশ রাজনৈতিক দলকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রসত্ম বলেছেন। বাংলাদেশে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রসত্ম খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ জনপ্রশাসনকে, ৫৮ শতাংশ রাজনৈতিক দল এবং ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিচার বিভাগকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রসত্ম খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

বিগত ১২ মাসে খাত বা সেবা ভেদে ঘুষ দেয়ার হারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিশ্বে সর্বাধিক ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ৰেত্রে সর্বাধিক ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে সর্বাধিক ঘুষ গ্রহীতা বলে উলেস্নখ করেছেন। এর পর বিচার বিভাগে ৬৪ শতাংশ, ভূমি সেবায় ৪৮ শতাংশ এবং রেজিস্ট্রেশন ও পারমিট সেবায় ৪৮ শতাংশ ও পরিষেবা (বিদু্যত, টেলিফোন, পানি) খাতে ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিয়েছে বলে জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী উত্তরদাতারা সেবা পেতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য ঘুষ দেয়ার কথা বলেছেন। তবে বাংলাদেশের ৰেত্রে সর্বাধিক উত্তরদাতা ন্যায্য সেবা পাবার জন্য এবং কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য ঘুষ দিয়েছেন বলে জানান।

বাংলাদেশে সাধারণ জনগণ দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে একমত পোষণ করেছেন ৯৩.৪ উত্তরদাতা। দ্বিমত পোষণ করেছেন ৬.৩ ও জানেন না বলেছেন ০.৩ ভাগ । ৯৪.৬ ভাগ উত্তরদাতা তার সহকর্মী বা বন্ধুকে দুনর্ীতিবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিলে সহায়তা করবেন, ৫.২ ভাগ করবেন না এবং ০.৩ জানেন না। ৯০.০ ভাগ উত্তরদাতা নিজে দুনর্ীতি বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে বলেছেন, দ্বিমত পোষন করেছেন ৯.৭ এবং ০.৩ ভাগ জানেন না বলেছেন। ৮৫.৬ ভাগ উত্তরদাতা দুনর্ীতির কোন ঘটনা প্রত্যৰ করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করবেন বলে বলেছেন, দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৪.১ ভাগ এবং ০.৩ ভাগ জানেন না বলেছেন।

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী ॥ এই জরিপে তথ্যদাতা নাগরিকদের ১১টি খাতে (রাজনৈতিক দল, জনপ্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, সংসদ/আইনসভা, গণমাধ্যম, বেসরকারী খাত, সামরিক বাহিনী, এনজিও এবং ধর্মীয় সংগঠন) দুর্নীতির মাত্রা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী উত্তরদাতাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন রাজনৈতিক দলসমূহকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রসত্ম বলে মত প্রকাশ করেছেন । কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুলিশ বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রসত্ম বলে মত দিয়েছেন। জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ১০ জনের মধ্যে ৬ জন এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন উত্তরদাতা জনপ্রশাসনকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রসত্ম খাত হিসেবে মত দিয়েছেন। বিচার বিভাগের দুর্নীতি সম্পর্কে বিশ্বের ও বাংলাদেশের নাগরিকগণ একই মত পোষণ করেন- গড়ে ১০ জন উত্তরদাতার মধ্যে ৪ জন এই খাতকে দুর্নীতিগ্রসত্ম বলে মনে করেন।

জরিপ অনুসারে, নাগরিকরা ধারণা করছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্নীতিগ্রসত্ম হওয়ার মাত্রা পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৪ এবং ২০১০ এর তুলনামূলক বিশেস্নষণে তা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাপী জরিপে গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে দুর্নীতিগ্রসত্ম বললেও বাংলাদেশে মাত্র ৯ শতাংশ উত্তরদাতা এ কথা বলেছেন। এই জরিপ থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমের দুর্নীতিগ্রসত্ম হওয়ার মাত্রা বেশ কম (২০ শতাংশের নিচে)। ২০১০ এর করাপশন ব্যারোমিটার জরিপে গত ১২ মাসে ৭৭,০০০ সেবা গ্রহীতা ৯টি খাতে মৌলিক সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে হয়েছে কিনা তার উত্তরে বিশ্বের সর্বাধিক ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ঘুষ গ্রহীতা হিসেবে উলেস্নখ করেছেন।

বাংলাদেশেও এই তালিকার শীর্ষে পুলিশ এবং এক্ষেত্রে গড়ে ১০ জনের মধ্যে ৮ জন (৭৫ শতাংশ) পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ঘুষ গ্রহীতা হিসেবে উলেস্নখ করেছেন। এ ছাড়াও, বাংলাদেশে গড়ে ১০ জনে প্রায় ৭ জন (৬৪ শতাংশ) বিচার বিভাগ এবং ১০ জনে ৫ জন ভূমি প্রশাসনে ঘুষ দেয়ার কথা উলেস্নখ করেছেন। ঘুষ দেয়ার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন সেবা পেতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য ঘুষ দেয়ার কথা বলছেন। বাংলাদেশে প্রতি ২ জনের মধ্যে একজন ন্যায্য সেবা পাওয়ার জন্য এবং প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন দ্রম্নত সেবা পাওয়ার জন্য ঘুষ দেয়ার কথা বলেছেন। তবে প্রতি ১০ জনে একজন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা এড়ানোর জন্য ঘুষ দেয়ার জন্য বলেছেন।

(শুধু মৌলিক সেবা গ্রহণকারীদের ভেতর ঘুষ প্রদানের হার পরিমাপ করা হয়েছে। ) দক্ষিণ এশিয়ার জরিপকৃত দেশগুলোর (বাংলাদেশ, আফগানিস্থান, ভারত এবং পাকিস্তান) মধ্যে তুলনা করলেও দেখা যায় যে, বাংলাদেশের সেবা খাতে ঘুষের হার বেশি। সবচেয়ে হতাশাজনক হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭টি মৌলিক সেবা নিতে যেয়ে গত ৫ বছর পূর্বেও একই রকম হারে ঘুষের শিকার হতে হয়েছিল। বালাদেশে জরিপ পরিচালনা ও তথ্যদাতা নির্বাচন বাংলাদেশে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পলস্নী এবং নগর উভয় এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে 'ক্রিশ গ্রিড' পদ্ধতির মাধ্যমে ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ১০৪৯ তথ্যদাতাকে নির্বাচিত করা হয়। উত্তরদাতা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো কর্তৃক প্রণীত ইনটিগ্রেটেড মাল্টি পারপাস স্যাম্পলিং ফ্রেম (আইএমপিএস) অনুসরণ করে ৩০০ পিএসইউ দৈবচয়িতভাবে নির্বাচন করা হয়।

এই ৩০০ পিএসইউ বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ১৬টি স্ট্রাটায় বিসতৃত। অতঃপর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত প্র্রতিটি পিএসইউ থেকে দ্বৈবচয়িত উপায়ে ২০০ খানার একটি বস্নক তৈরি করা হয়। অবশেষে 'নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন' নিয়ম অনুসরণ করে ১০ খানা ব্যবধানে প্রতিটি পিএসইউ-তে ২০টি খানা নির্বাচন করা হয়। পলস্নী অঞ্চলের পিএসইউতে ২০টি খানা হতে ৩টি ও নগর অঞ্চলের পিএসইউতে ২০টি খানা হতে ৪টি খানাকে ব্যারোমিটার জরিপের জন্য নির্বাচন করা হয়। এভাবে নির্বাচিত খানা হতে 'ক্রিশ গ্রিড' পদ্ধতি অনুসরণ করে ১৮ বছর বা তার উর্ধে একজন খানা সদস্যকে জরিপের তথ্যদাতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতর্ৃক প্রণীত একটি কাঠামাবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে নির্বাচিত তথ্যদাতাদের ৫৯ শতাংশ পল্লী অঞ্চলে এবং ৪১ শতাংশ নগর অঞ্চলে বসবাস করে। সৌজন্যে দৈনিক জনকন্ঠ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।