আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলে ডুবে যাবে না বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ ... যদি ... ... ...

তোমাকে ভাবাবোই

জলবায়ুর পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও ডুবে যাবে না মালদ্বীপ বা বাংলাদেশের নিচু স্থান। বাংলাদেশের এক এনজিও কর্মকর্তা মীর মনিরুজ্জামানের গবেষনাতে বেরিয়ে এসেছে এ রকম তথ্য। বিজ্ঞানীদের অভিমত ছিল, আগামী ৯০ বছরের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড, তিব্বত ও হিমালয়ের হিমবাহের উল্লেখযোগ্য অংশ গলে যাবে ও সাগরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি বাড়লে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার সব বরফ গলে যাবে এবং সাগরের উচ্চতা বাড়বে ৫ মির্টা। বর্তমানে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ১ মিটার। বাংলাদেশের দণি-পূবাঞ্চল, মালদ্বীপ ও কিরিবাতী সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এতে বাস্তুহারাও হবে ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষ। কিন্তু গবেষনাতে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবে না। সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ঠেকানো সম্ভব: প্রতিবছর ১২-১৫ হাজার ঘন কিলোমিটার সমুদ্রের পানি ব্যবহার করলেই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না। বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, কিরিবাতিসহ দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবেনা। প্রক্রিয়াটা সহজ হলেও ব্যয়বহুল।

তবে মোটেই অসম্ভব নয়। সভ্যতাকে সাগরের বুকে বিলীন হওয়া থেকে বাঁচাতে সাগরের পানিকে বেছে নিতে হবে। বিষয়টা অনেকটা সাগর সেচে পানি নিয়ন্ত্রণ করার মতো। সাগর মহাসাগরের পানির একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে। প্রতিদিন সাগরের বুকে অতিরিক্ত পানি জমা হচ্ছে।

এই পানি পৃথিবীর কৃষি, শিল্প, গৃহস্থলি ও পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করলেই সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি কোনো সমস্যাই হবে না। কৃষি জমিতে সেচকাজ, পানীয় জল, গৃহস্থলী, শিল্পসহ অন্যান্য কাজে পানির প্রয়োজন। সমুদ্রের পানি শোধন করে এ প্রয়োজন মেটালে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা এক ইঞ্চিও বৃদ্ধি পাবে না। আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের তীরে গড়ে তুলতে হবে হাজার হাজার লবনাক্ত পানি শোধনাগার। এসব শোধনাগারের পানি দিয়ে আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ভিত্তিতে কৃষিকাজ ও বনায়ন করলে বিশ্বের খাদ্য সঙ্কট দুর হবে।

তাপমাত্রা কমবে এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা স্থির থাকবে। সমুদ্রের পানি পরিশোধন ব্যয়: সমুদ্রের পানি পরিশোধন ব্যয় একটু বেশি। প্রতি ঘনমিটার পানি পরিশোধনে সিঙ্গাপুরে খরচ হয় ৪৯ সেন্ট, ইসরাইলে ৫৩ সেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রে ৮১ সেন্ট। তবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে এ খরচ আরো কমবে। আর সমুদ্রের পরিশোধিত পানি দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে পরিশোধন ব্যয় শূন্যের কোটায় নেবে আসবে।

সৌদি আরবের বেশ কিছু শোধনাগার রয়েছে। এক একটি বড় শোধনাগার স্থাপনে খরচ হয় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমুদ্রের পানি শোধনাগার স্থাপনের কাজ চলছে। এ অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বে ৩০ হাজার শোধনাগার নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার। সমুদ্রের পানি ব্যবহারে চীন এগিয়ে: চীন ও ইসরাইলসহ পৃুথবীর অনেক দেশই ইতিমধ্যে সমুদ্রের পানি দিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেছে।

চীনের ডংজিং বিনজু প্রদেশে সর্বপ্রথম সমুদ্রের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। এরপর তা অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চীনে এখন সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে লাখ লাখ টন খাদ্য শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। ইসরাইলে সমুদ্রের পানি পরিশোধন করে তা মরুভূমিতে সেচকাজে ব্যবহার করে সবুজ ইসরাইল গড়ে তোলা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।