আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন অপরাধীদের দ্বীপ!

ডিজি টাল (ডিরেক্টর জেনারেল অব টাল)

আহমেদ জুয়েল একটা দ্বীপের বেশির ভাগ পুরুষই শিশু যৌন-অপরাধী, এ কথা ভাবতে খটোমটো লাগলেও বিষয়টি সত্যি। প্রশান্ত মহাসাগরের সেই ছোট্ট দ্বীপের নাম পিটকেয়ার্ন। যৌন অপরাধীদের দ্বীপ বলেই গত ছয় বছরে ধরে বারবার আলোচিত হয়েছে পিটকেয়ার্নের নাম। এবার জোরেশোরে আবারও তা আলোচনায় এসেছে। কারণ এবার দ্বীপটির মেয়রের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ থেকেই পাওয়া গেছে এক হাজারেরও বেশি পর্নো ছবি ও ভিডিওচিত্র, যেগুলোর বেশিরভাগই শিশুদের।

৪৬ বছর বয়স্ক ওই মেয়রের নাম মাইকেল ওয়ারেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে জানা যায়, নিউজিল্যান্ড পুলিশ পিটকেয়ার্নের মেয়র মাইকেল ওয়ারেনকে শিশু যৌন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অন্তত ২৫টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শুনলে আশ্চর্য হবেন, দ্বীপটিতে বাস করেন ৪ পরিবারের মাত্র ৫০ জনের মতো মানুষ। তাদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক পুরুষের সংখ্যা মাত্র ১২।

অথচ এদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধেই শিশু যৌন-অপরাধের অভিযোগ আছে। গত ছয় বছরে তাদের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নসহ ৫৫টি যৌন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়৷ এর মধ্যে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগও ছিল৷ অভিযুক্ত ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাদের শাস্তি দেন আদালত। এবার সেই কাতারে যোগ হলেন স্বয়ং মেয়র। সেলুকাস! বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই দ্বীপের জনসংখ্যা ছিল ২৩৩।

পৃথিবীর মূল ভূখ- থেকে অধিক দূরত্বসহ বিভিন্ন কারণে তাদের বেশির ভাগই নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হয়েছেন। এখানে মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস্য। প্রশান্ত মহাসাগরের অতল জলরাশির মধ্যে এই দ্বীপের অবস্থান। নিউজিল্যান্ড থেকে এর দূরত্ব ৫৩০০ কিলোমিটার। দ্বীপটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার৷ দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গিয়ে দেখা যায়, ১৮৩৮ সাল থেকে এখানে ব্রিটিশরাই রাজত্ব করে।

নিরাপত্তায় থাকে নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো কিছু পুলিশ। প্রতœতাত্ত্বিকরা মনে করেন, ১৫ শতকের শেষের দিকে এই দ্বীপে মানুষ বসবাস শুরু করে। ইউরোপীয়রা দ্বীপটি আবিষ্কার করে। ইতিহাস অনুযায়ী, ১৭৬৭ সালের ৩ জুলাই দ্বীপটি চোখে পড়ে ব্রিটিশ মেরিন অফিসার জন পিটকেয়ার্নের পনের বছরের ছেলে রবার্ট পিটকেয়ার্নের। পরে তার নামেই দ্বীপটির নাম রাখা হয়।

(এখানে ঠাসা মারুন) Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।