আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩০ একর তামাক তে গুড়িয়ে দিয়েছে, তামাক চাষ বন্ধে সক্রিয় উদ্যোগ


চকরিয়ায় প্রশাসন সরকারী খাস জমির ৩০ একর তামাক তে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ চকরিয়া উপজেলা প্রশসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সরকারী খাস জমিতে অবৈধ ভাবে আবাদ করা ৩০ একর জমির তামাক চাষ ট্রাক্টর চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল ৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের দণি কাকারার ঘুনিয়া মৌজায় মাতামুহুরী নদীর চরে এ অভিযান চালায়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, সরকারী খাস জমিতে তামাক চাষ করতে আগে থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। গত ১৫দিন আগে থেকে উপজেলা প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে চাষ শুরু হওয়ার আগে মাইকিং করে সরকারী জমিতে তামাক চাষ বিরুধী প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও অনেকে সরকারী খাস জমিতে তামাক চাষ শুরু করে দিয়েছে।

এতে গতকাল ৬ ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এ ভাবে অবৈধভাবে সরকারী খাস জমিতে আবাদ করা ৩০ একর জমির প্রায় ৩ লাখ চারার তামাক চাষ ট্রাক্টর চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম, র‌্যাবের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রহমান, চকরিয়া থানার এস.আই আঃ আলীম, স্থানীয় তহশিলদার, বেসরকারী গবেষণা সংস্থা উবিনীগ এর আঞ্চলিক সমন্বক রফিকুল হক টিটো। তামাক আবাদ গুড়িয়ে দিয়ে সরকারী ওই খাস জমির চারিদিকে লাল পতাকা দিয়ে দিয়েছে। তামাক চাষ ধ্বংস করে দেয়ার সময় শ্রমিকেরা মাথায় লাল পিতা বেধে অভিযান পরিচালনা করায় এলাকায় তিকর তামাক চাষ বিরোধীও একটি প্রচারণা হয়ে গেছে। চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, এসব জমিতে শীতকালীন শাক সবজি চাষের জন্য যে কোন চাষীকে এক বছরের জন্য লীজ দেয়া যাবে।

তিনি জানান এ ধরেনের অভিযান আরো চলবে। পরিবেশবাদীদের মতে এ ধরণের অভিযানের কারণে এলাকায় সরকারী খাস জমিতে তামাকের আগ্রাসন কিছুটা হলেও কমে আসবে। উল্লেখ্য প্রশাসন ও বেসরকারী কিছু সংস্থা উদ্যোগ নেয়ায় এ বছর চকরিয়ায় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাতামুহুরী নদীর ব্রীজের দু’পাশে প্রায় শতাধিক একর খাস জমি তামাক মুক্ত করা হয়েছে। এসব জমিতে বিগত দু’দশক ধরে তামাক চাষ হয়ে আসছিল। বে-সরকারী সংস্থা উবিনীগের আঞ্চলিক সমন্বক রফিকুল হক টিটো জানান, তামাক বিরোধী প্রচারণা, প্রশাসনের উদ্যোগ ও বান্দরবানে তামাক চাষ বন্ধের জন্য দায়ের করা মামলার কারনে খাস জমি, বনবিভাগের জমি ও বোরো চাষের জমিতে তামাক চাষ গতবারের তুলনায় এ বছর কমে এসেছে।

জানা যায়, কক্সবাজার ও বান্দরবানে এ বছর ১৪ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। এসব তামাক চাষ বন্ধের জন্য এলাকায় এখন সচেতনা সৃষ্টি, সভা সমাবেশ, মানব বন্ধনের মতো নানা কর্মসূচী দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সচেতন মহল।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।