আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিং-এর শিকার কী শুধু মেয়েরা???



ইভটিজিং সম্পর্কে আলোচনা শুনলেই মনে হয় এর শিকার শুধু মেয়েরা....আসলে কী তাই?অন্তত আমি তা মনে করি না। অবশ্য মনে না করার সঙ্গত কারণ আছে। অনেক ছেলে ও এর শিকার। মেয়েরা কিছু মনে করবেন না,আমি আসলে কোন মেয়েকে ছোট করার জন্য এটা বলছি না। শুধুমাত্র বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা চায় ছেলেরা তাদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করুক। এই চাওয়া কে বাস্তবে পরিণত করতে তারা চেষ্টারও কমতি করেনা। শুধুমাত্র এজন্য তারা প্র‌য়োজনের অতিরিক্ত সাজসজ্ঝা করে। রাস্তায় সুস্থ মানুষের মত স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারলেও কোন এক কারণে মডেলদের মত হাটে। অথচ রাস্তা কিন্তু মডেলিং করার জায়গা নয়।

এরকম অস্বভাবিক আচরণ দেখে কাউ যদি তাকায় বা কোন কমেন্ট করে তাহলে সেটা হয় ইভটিজিং। এবার আসি হাসির কথায়। যেসব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে হাসলেও চলে সেসব ক্ষেত্রে অযথা রহস্যজনকভাবে হাসে। এই হাসির উদ্দেশ্য ছেলেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিছু কিছু মেয়ে আবার ছেলেদের সাথে এমনভাবে মেলামেশা করে মনে হয় যেন কত গভীর সম্পর্ক...অথচ ছেলেটা যদি আকর্ষিত হয়ে সেই সম্পর্কের খাতিরে দাবি নিয়ে কিছু বলে,মেয়েটা তাকে অধিকাংশক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে এবং একেও ইভটিজিং-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

যাই হোক মেয়েদের সম্পর্কে অনেক নেতীবাচক কথা বললাম। এর মানে এই নয় যে ছেলেরা তুলসীপাতা। আসলে ইভটিজিং-এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ছেলেরা দায়ী নয়। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরও দায়ী। কাজেই যারা ইভটিজারদের শাস্তি দেন তাদের অনেক সতর্ক থাকা উচিৎ।

নইলে অনেক নির্দোষ ছেলেরও শাস্তি হতে পারে। যেসব মেয়ে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করে ছেলেদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে তাদেরও শাস্তির বিধান থাকা উচিৎ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।