আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভ টিজিং

আমি মোটামুটি ভালো কিন্তু সুখি নই। তছারা,হতাশা,একাকিত্ব,স্বপ্ন এগুলো নিয়ে থকি। আমার জীবনের কাঙ্খিত মানুষের পথ পানে বসে আছি জানি সে কখনো আসবেনা তবুও.....................

ইভ টিজিং * বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে এক কলেজছাত্রীর হাত-পায়ের অর্ধেক অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়েছে কেটে দিয়েছে মহসিন নামের এক উত্ত্যক্তকারী। আজ শনিবার সকালে ওই ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহিম সিকদারের ছেলে মহসিন উত্ত্যক্ত করত।

ওই ছাত্রী মহসিনের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মহসিন নানাভাবে তাকে হুমকি দেয়। এতে ছাত্রীটির পরিবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ছয় মাস ধরে মেয়ের কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল নয়টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাবার সঙ্গে কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। এ সময় ওঁত্ পেতে থাকা মহসিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আকস্মিকভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রীটির ডান পা ও ডান হাতের অর্ধাংশ কাটা যায়।

ছাত্রীটির চিত্কার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে বখাটে মহসিন পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রী ও তার বাবাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীটির বাবা ইউনুস হাওলাদার জানান, এক মাস আগে তিনি মেয়েকে নিয়ে থানায় গিয়ে মহসিনের নামে অভিযোগ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে আজ এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান যাতে বাবার সামনে কোনো মেয়েকে আর এমন হূদয়বিদারক ঘটনার শিকার হতে না হয়।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুস সালাম বলেন, অবস্থার অবনতি দেখে মেয়েটিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে হয়তো পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহসিনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ওই কলেজছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মহসিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েও ধরতে পারিনি। ’ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।