আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল কুমার এখন সাইকেল মেকার

আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি

কিছুদিন আগে "মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক" একটা লেখা ব্লগে দিয়েছিলাম কিন্তু অনেকেই তা বিশ্বাস করেনি। তাই আজ বিভিন্ন তথ্য সহ আরও একটা লেখা দিলাম। রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার গঞ্জিপুর বাজারে রাস্তায় বসে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত চলে এক বৃদ্ধের। পরিচয় সাইকেল মেকার "প্রফুল্ল", কিন্তু আড়ালে লুকিয়ে আছে তার আর এক পরিচয় "বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল কুমার দাশ"। বাবা-মায়ের ভিটে গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর থানার ইটাআটা গ্রামে।

গ্রামের লোক প্রভাব খাটিয়ে এখনও তার পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করছে আর প্রকৃত কাগজ পত্র সহ প্রকৃত মালিক প্রফুল্ল কুমার দাশ পড়ে আছেন রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার খলেয়া ইউনিয়নের লালচাঁদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ১ নং ব্যারাকের ৪ নং ভাঙ্গা ঘড়ে। কথা হল তার সাথে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে বলতে চোখের পানি যেন আর বাঁধ মানে না। সেই সব কথা- ১৯৭১সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনে তার ডাকে সাড়া দিয়ে ৬দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল নিয়ে রংপুরের রেল স্টেশনের দিকে এগিয়ে যায়। ফেরার পথে ঘোড়াপীর মাজারের অদূরে মিছিলের উপর গুলি হলে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। একটি গুলি শঙ্কুরের শরীরে ঢুকে বের হয়ে প্রফুল্ল কুমার দাশ এর হাত ঘেষে চলে যায়।

এতে নিহত হয় শঙ্কু এবং আহত হয় প্রফুল্ল কুমার দাশ সহ অনেকে। পরবর্তীতে ঐ স্থানের নাম হয় শঙ্কুনগর। এতেও ক্ষান্ত হয় না প্রফুল্ল কুমার। ১৯৭১সালের ৩এপ্রিল যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান ভারতে কুচবিহারের দিনহাটায়। দীর্ঘ ২১দিন প্রশিক্ষণ শেষে ৬নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

বর্তমানে ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে উৎকোচের অভাবে কোনটাই সম্ভব হয়নি তার। তাই সরকারের কাছে প্রফুল্ল কুমার এর এটাই আবেদন পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার সহ ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে বাকী জীবনটা হয়তোবা কোনরকম চলে যাবে। প্রফুল্ল কুমার দাশের আইডি শ্রী প্রফুল্ল কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা সূচক নং-৮৫-৪৯-০২-০০৯, বডি নং-১০৭। (স্থানীয় দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার সৌজন্যে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।