আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখ বন্ধ! হাসা-হাসি নিষেধ

Mofiz of North Bangle

 সর্দারজি গেছেন কম্পিউটার কিনতে সর্দারজি: আপনার দোকানের কম্পিউটারগুলো ভালো হবে তো? বিক্রেতা: স্যার, খুবই ভালো। নতুন মডেলের এই কম্পিউটার আপনার অর্ধেক কাজই কমিয়ে আনবে। সর্দারজি: বলেন কী! এই একটি কম্পিউটারই অর্ধেক কাজ করে ফেলবে! বিক্রেতা: হ্যাঁ, স্যার। সর্দারজি: তাহলে বাকি অর্ধেক বাদ থাকবে কেন? তাহলে দুটো কম্পিউটারই প্যাকেট করে দিয়ে দেন।  সর্দারজি ট্রেনে চেপে এক জায়গায় যাচ্ছেন।

ট্রেনে হাঁটতে হাঁটতে সর্দারজি একটি কামরায় গিয়ে বসে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর টিকিট চেকার এসে সর্দারজিকে বললেন, ‘কি ভাই, চোখে দেখতে পারেন না নাকি!’ সর্দারজি বললেন, ‘কেন, হয়েছেটা কী?’ টিকিট চেকার রেগে বললেন, ‘কেন, বড় করে লেখাটা দেখছেন না যে, এটা মহিলাদের কামরা?’ ‘দুঃখিত। আমি তো আপনাকে দেখেই এই কামরায় ঢুকেছি। আর আপনাকে দেখে তো মনে হয়েছিল আপনি পুরুষ। কিন্তু...।

’ সর্দারজির জবাব।  ক্লাসে সর্দারজি ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে— শিক্ষক: আচ্ছা, তুমি বলো তো, পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাচীন পশুর নাম কী? সর্দারজি: স্যার, জেব্রা। শিক্ষক: বলো কী! তা জেব্রাকে কেন তোমার প্রাচীন পশু মনে হলো? সর্দারজি: স্যার, প্রাচীনকালে সবকিছুই তো সাদা-কালো ছিল। যেমন টিভি, মোবাইল ফোন। এখন সেই সাদা-কালোর বদলে হয়েছে রঙিন।

কিন্তু জেব্রা তো এখনো সেই সাদা-কালোই রয়ে গেছে। তাহলে তো জেব্রা প্রাচীনকালেরই পশু হওয়ার কথা, স্যার!  সর্দারজি পুলিশ স্টেশনে ফোন করেছেন— সর্দারজি: স্যার, ফোন করে আমাকে এক ব্যক্তি বারবার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এর কিছু একটা বিহিত আপনাদের করতেই হবে। পুলিশ: তা আপনাকে ফোনে কে এই হুমকি-ধমকিগুলো দিচ্ছে? সর্দারজি: স্যার, টেলিফোন অফিস থেকে একই ব্যক্তি কয়েক দিন থেকেই ফোন করে বলছে, আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে আপনার ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হবে। কত্ত বড় হুমকি, একবার ভেবে দেখুন, স্যার!  সর্দারজি গেছেন ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।

দৌড় প্রায় শুরু হয়ে যাবে। এমন সময় রেফারি ১, ২, ৩ বলে বাঁশিতে ফুঁ দিতেই সবাই দৌড় শুরু করে দিলেন। কিন্তু সর্দারজি তাঁর জায়গাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। সর্দারজির দাঁড়িয়ে থাকা দেখে রেফারি বললেন, ‘কী ব্যাপার, সবাই দৌড়াচ্ছে, কিন্তু আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেন?’ আপনি তো ১, ২, ৩ বলে বাঁশিতে ফুঁ দিয়েছেন। আর আমি তো ৪ নম্বর প্রতিযোগী।

আমার নম্বর তো আপনি বলেননি, তাই আমি দৌড়াব কেন?’ সর্দারজির জবাব।  সর্দারজি তাঁর ঘরের দরজা পুরোটাই ভেঙে কাঁধে করে কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তায় সর্দারজির এই দরজা নিয়ে যাওয়া দেখে তাঁর বন্ধু সান্তা জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্দারজি, ঘটনা কী? ঘরের পুরো দরজা নিয়ে যাচ্ছ কোথায়? সর্দারজি বললেন, ‘আর বলিস না, দরজাটায় একটু সমস্যা হয়েছে। তাই তালাওয়ালার কাছে যাচ্ছি। ’ সান্তা বললেন, ‘দরজায় সমস্যা হলে তো মানুষ কাঠমিস্ত্রির কাছে যায়।

কিন্তু তুই বোকার মতো তালাওয়ালার কাছে যাচ্ছিস কেন, বুঝলাম না তো!’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে, দরজার চাবিটা কোথায় যেন হারিয়ে ফেলেছি। তালা খুলে তো ঘরে ঢুকতে হবে নাকি! তাই পুরো দরজা খুলে তালাওয়ালার কাছে নিয়ে যাচ্ছি তালা ভাঙার জন্য। বুঝলি এবার?’  সর্দারজি আর তাঁর বন্ধু হিরালাল একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। একসময় হুট করে সর্দারজি দাঁড়িয়ে হিরালালকে বললেন, ‘দোস্ত, এই পথে আর হাঁটা যাবে না। এখান থেকে তাড়াতাড়ি সটকে পড়তে হবে।

’ হিরালাল বললেন, ‘কেন, হুট করে তোর আবার এই পথে কী হলো? সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা, দেখছিস না, সামনে আমার বউ আসছে আর আমার বউয়ের পাশেই যে মেয়েটাকে দেখছিস, ও তো আমার প্রেমিকা। একসঙ্গে দুজনই আমাকে দেখলে আজ একটা অঘটন ঘটে যাবে। ’ হিরালাল সামনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বলল, ‘আরে বাবা, তাড়াতাড়ি এখান থেকে পালাই। আমারও তো ভাই একই ঘটনা!’  সর্দারজি গভীর মনোযোগ দিয়ে একটি বরফের টুকরোর মধ্যে কী যেন খুঁজছেন। অনেকক্ষণ ধরে বরফের টুকরো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে দেখে সর্দারজির এক বন্ধু বললেন, ‘কিরে, বরফের টুকরো নিয়ে এত নাড়াচাড়া করার কী আছে?’ সর্দারজি বললেন, ‘একটা জিনিস খুঁজছি।

কিন্তু কিছুতেই সেটা বের করতে পারছি না। ’ সর্দারজির বন্ধু বললেন, ‘তা কী সেই জিনিস?’ ‘আরে বোকা, দেখছিস না, বরফের টুকরোটা দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। কিন্তু কিছুতেই এই পানি ঝরার ছিদ্রটা খুঁজে পাচ্ছি না রে!’ সর্দারজির জবাব। প্রথম আলোর ছুটির দিনে প্রকাশিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।