আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহজ সরল কথাঃ দূর্জন বিদ্যান হলেও পরিতাজ্য।

আমি একাই পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম http://www.facebook.com/kalponikvalo কিছুদিন আগ পর্যন্ত কিছু বিশেষ শ্রেনীর মানুষ আমাকে প্রশ্ন করত, এই ৪০ বছর পর কেন এই রাজাকারদের নিয়ে টানাটানি। দেশে কি আরো সমস্যা নেই। তাছাড়া যাদেরকে রাজাকার বলা হচ্ছে, যুদ্ধের সময় তাদের বয়স অনেক কম ছিল। এত কম বয়সে তারা এই কাউকে হত্যা করতে পারে, কাউকে ধর্ষন করতে পারে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারি না।

এই রাজাকাদের বিচার আসলে এক ধরনের রাজনৈতিক প্রহসন। মনে রাখবা, জামাতিদের একটা চুলও কেউ ছিড়তে পারবে না। আজকে তারা অনেকেই আমাকে বলছে, আমরা মুসলমান, জামাতে ইসলামী জাহান্নামে যাক, কিছু যায় আসে না। কিন্তু কেন আমাদের ধর্মকে আঘাত করা হবে? কেন আমাদের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা হবে। আমাদের হয়ত ঈমান কম, তাই আমরা চুপ করে বসে থাকলেও এমন অনেকেই কিন্তু আছেন যাদের ঈমান অনেক বড়, শক্ত।

ঈমান গেলে দেশ দিয়ে কি হবে! ঈমানের কাছে দেশের পতাকা কিছুই নয়। কথা আসলেই সত্য। ঈমান গেলে দেশ দিয়ে কি আর হবে। খুব ভাল কথা। যদিও দেশপ্রেম নাকি ঈমানের অঙ্গ।

তাই তো যখন কেউ এই দেশের জাতিয় পতাকাকে ছিড়ে ফেলে, যখন আগুন ধরিয়ে দেয় সেটা ঈমানেরই বহিঃপ্রকাশ। এই দেশ প্রেম তথা ঈমানের দোহাই দিয়ে ১৯৭১ সালে কিন্তু মানুষ হত্যাকে জায়েজ করা হয়েছিল, নারী আর বিধর্মীদের সম্পত্তিকে গনিমতের মাল হিসেবে জায়েজ করা হয়েছিল। এই ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারন মানুষের সহানুভূতি কিভাবে আদায় করতে হয়, তা আর কেউ জানুক বা না জানুক জামাতে পিছলামী তথা জামাতে শয়তানীর মত একটি দল ভাল করেই জানে। তাই তো দেখা যায়, এমন একজন ব্যক্তিকে খুন করা হয়, যিনি কিনা একজন বির্তকিত এবং ধর্ম বিদ্বেষী। যেন শাহবাগ আন্দোলনটি একটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন পায় এবং সামগ্রিক ব্যাপারটির সাথে ইসলামকে নোংরা ভাবে জড়ানো যায়।

আসলে লেজ বা স্বভাব লুকানো খুবই মুসকিলের ব্যাপার। এখন আমরা যারা সারাদিন চিল্লাচিল্লি করি, জামাত শিবিরের বিপক্ষে বলি আমাদের কি তাহলে ঈমান নেই? আমরা কি মুসলিম নই? আমাদের কি তাহলে দেশপ্রেম নেই? আমাদের সবই আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে ভন্ডামী নেই। আমরা ধর্মকে নিজ ফায়দার জন্য ব্যবহার করি না। আমরা যদি এখন এই ফটো এডিট করে তাদের মত মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন শুরু করি বিশ্বাস করেন, সাধারন মুসুল্লিগন ঐ সব নোংরা কীটদেরকে কোষ্টকাটিন্য থেকে চির মুক্তি দিবে।

আশা করি বুঝতে পারছেন কোন সেই প্রক্রিয়া। তবে আমরা তাদের মত এই নিকৃষ্টতম নই। তাদের পাছার ছাল তুলার জন্য সত্যই যথেষ্ট। প্রতিবারই যখনই কোন নাস্তিক বা ধর্মবিদ্বেষীরা আমাদের ধর্মকে অপমান করেছে, কটুক্তি করেছে তখন আমরাই তার প্রতিবাদ করেছি। ব্লগে আস্তিক নাস্তিক অনুপাত হচ্ছে প্রতি একশতে ২/৩ জন।

একটা বড় বাগানে আগাছা জন্মাবেই। তাই বলে সেই বাগানের প্রতিটি গাছ, প্রতিটি ফুল আগাছা, এমনটা নিম্নমানের পরজীবী টাইপের কিছু প্রানীই ভাবতে পারে। সুতরাং ব্লগার মানেই নাস্তিক বলে যারা ভাবেন তারা মূর্খ ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা এতটাই মূর্খ যে, যখন শিবির কর্তৃক নিজামীকে মহানবী (সাঃ) সাথে তুলনা করা হয় তখন সেখানে তারা ধর্ম অবমাননা দেখেন না। ‘আমার দেশ’ নামক পত্রিকায় যখন উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ইসলামকে কেন্দ্র করে মিথ্যে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে তখন সেখানে ধর্ম অবমাননা হয় না, যারা মসজিদের নামাজ পড়ার গালিচাতে আগুন ধরিয়ে দে, তারা ধর্ম অবমাননা করে না।

তখন কাউকে দেখি না এই নিয়ে কথা বলতে। ধর্ম অবমাননা করে কারা? যারা রাজাকারদের ফাঁসি চায়, যারা জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ চায়, তারা ধর্মব্যবসায়ীদের নিষিদ্ধ চায় তারাই ধর্ম অবমাননাকারী। বাহ! কি চমৎকার তাই না?? মনে রাখবেন, দূর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য। মিথ্যে প্প্রপাগান্ডার প্রতিবাদ করুন। মনে রাখবেন সত্যিকার ভাবে যে ধর্মকে গালি দিয়েছে, সেই যুদ্ধে আমিও আছি।

কিন্তু মিথ্য খবর ছড়িয়ে, ধর্ম বিদ্বেষ ছড়িয়ে যারা ধার্মিক হবার চেষ্টা করে, রাজাকারের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদেরকে প্রতিহত করুন। তাদেরকে চিনুন এবং সামাজিক ভাবে বয়কট করুন। হোক সে বন্ধু, হোক সে পরিবার কিংবা হোক সে প্রিয়জন। আমরা যারা সাধারন আন্দোলনকারী আমাদের অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট। আমরা সকল চিহ্নিত রাজাকারের ফাঁসি চাই।

আমরা ধর্ম ব্যবসায়ীদের পন্য পরিনত হতে চাই না। তাই আমরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসাকারীদের নিষিদ্ধ চাই। এবং যারা ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ায়, যারা ধর্মনিয়ে কটুক্তির মাধ্যমে অন্যের ধর্মাধিকার ক্ষুন্ন করে আমরা তাদের জন্যও শাস্তির বিধান চাই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।