আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভ টিজিং: বখাটেদের দৌরাত্ম্য (কপি-পেস্ট)

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে বেশকিছু প্রেস্টিজিয়াস পেশা। তন্মধ্যে এয়ার হোস্টেস তথা বিমানবালা পেশাটি অন্যতম। বর্তমান সময়ে তরুণীদের মধ্যে পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ পেশাটি প্রথম সারিতে স্থান পাচ্ছে , যা আমাদের জন্য অতি আনন্দদায়ক। কেননা এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে আমাদের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পেশায়ও আমাদের তরুণীদের অনাকাক্সিক্ষত কিছু বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

কিছুদিন আগে বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশের কোনো একটি কোম্পানির বিমানে বেশকিছু অপ্রত্যাশিত দৃশ্য চোখে পড়েছিল। এ দেশের নাগরিক হিসেবে বিমানবালাদের এ বিড়ম্বনা দেখে খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম। বিমানে বেশকিছু তরুণ ও মধ্য বয়সী বিকৃত রুচির যাত্রী, যারা আসলে মানুষরূপী এক ধরনের পশু, তারা যেন বিমানবালাদের ওপর হামলে পড়তে চাইছে। তারা কখনো চোখের বাজে চাহনি দ্বারা, কখনো বাজে অঙ্গভঙ্গি দ্বারা, আবার কখনো অশ্রাব্য ভাষায় বিমানবালাদের ডাকছে। আমাদের বিমানবালারা আমাদেরই ভাই বা পিতারূপী মানুষগুলোকে তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

কিন্তু বিকৃত রুচির কিছু মানুষ কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না, তারা তাদের জন্য নির্ধারিত আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বিমানবালাদের যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে, আবার কখনো তাদের পেছনে বাজে ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের ঈশারা করছে। এ দৃশ্যগুলো বেশ কয়েকবার দেখে নিজেকে আর রুখতে পারলাম না, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিমানবালাকে তাদের এই বিড়ম্বনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তার কথাগুলো শুনে নিজেই অবাক হয়ে গেলাম! বলল, চাকরির স্বার্থেই তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়গুলো অবহিত করেন না। মূলত বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তান ও মধ্যবয়সী কিছু বিকৃত রুচির মানুষ তাদের এই বিড়ম্বনার মূল কারণ। তারা বিমানবালাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎপীড়ন করে এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি লাভ করে এবং বাংলাদেশের সবগুলো বিমানে নাকি একই চিত্র বিরাজমান।

বাংলাদেশের পাশাপাশি এই মানসিক বিকারগ্রস্তদের দলে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের একটি যুবক শ্রেণী। দুই ঘণ্টা ভ্রমণের প্রায় দেড় ঘণ্টা বখাটেদের এই দৌরাত্ম্য অবলোকন করলাম। আমার রোভার স্কাউট গ্রুপের ছেলেগুলো বারবার আমাকে ওই দৃশ্যগুলো দেখাচ্ছিল আর বলছিল স্যার এ বখাটেদের বিরুদ্ধে কিছু একটা লিখতে হবে। কিন্তু কি লিখব? ওরা যে আমারই দেশের সন্তান! আবারো বলছি এ দেশটি আমাদের মা, মাকে কি অপমান করেই যাবো? আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে_ কবির ভাষাই বলছি আমাদেরই জাগতে হবে, আলোর পথে হাঁটতে হবে। লেখক : শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।