আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কতমাইল দুরে সেই গৃহযুদ্ধ

গনতন্ত্র জন্ম হলো পার হলো দীর্ঘ ৪২ বছর। একটি স্বাধীন পতাকার জন্মর সাথে সাথে জন্ম হলো একটি সন্তান সেই সন্তানের বয়স ৪২ বছর। সেই সব সন্তানরা আজ যুবক হয়েছে তাদের উপর অনেক দায়িত্ব পড়েছে, পরিবার বা সমাজের সকল কাজের সিদ্ধান্ত এখন তাদের হাতে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকার বয়স মনে হচ্ছে কারও হাতে গুচ্ছিত রয়েছে। তাই তো আমরা বিচারকে মানিনা, বিচার ব্যবস্থার উপড় শ্রদ্ধা কমতে শুরু করেছে কেন এমন হবে।

যদি রাষ্ঠ বা পতাকার বয়স কারও হাতে তালুবন্ধি না থাকে তাহলে ছেড়ে দিন বিচার ব্যবস্থা আপন গতিতে চলবে এটা রাষ্ঠের ভিত্তি এটা জাতীয়মুল্যবোধ। দেখবেন শাহাবাগ গনজমায়েত হবে প্রতিটি গ্রামে তা জাতীয় ঐক্যের দিকে কোন দলের নয়। স্বাধীনতা সময় যে ছেলে বা মেয়েটির জন্ম হয়েছিলো সিদ্ধান্তগুলো কাউকে নিতে হযনা সে নিজেই নেয়। আজ সাধারন মানুষের ভীত কাজ করছে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় স্ত্রী সন্তান সঙ্খীত। মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধ চলছে।

এই ভাবে চললে গৃহযুদ্ধ আর কতদুর পরে? একদিকে ক্ষমতা অন্যদিকে নিজেদের আদিপত্তর লড়াই। সত্যমিথ্যা রাজনীতিতে বৈধ সেই আগে থেকে। সাধারন মানুষ আমরা দেখছি, একদিকে ধর্মীয়মুল্যবোধে আঘাত এর ইস্যু অন্যদিকে জাতীয়তামুল্যবোধের উপর আঘাত আনার ইস্যু। এই ইস্যু নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ কতটুকু সাধারন মানুষের উপকারে আসবে আপনারা কেউ কি ভেবেছেন? আমরা দেখেছি ১৯৪৬-৪৭ সালে ভারত-পাকিস্থান বিভাজনের সময় ধর্মীয় মুল্যবোধ সক্রিয় ভুমিকা পালন করার কারনে পঞ্চাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা লেগে যায়। ফলশ্রুতিতে সমগ্র ভারতবর্যে এই দন্দ্ব বাতাসের সাথে ভাসতে থাকে।

ফলে ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মেরব উপর ভিত্তি করে হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নিয়ে পাকিস্থান আলাদা রাষ্ট হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে পুর্ববাংলায় জাতীয়তাবাদি মুল্যবোধ জেগে উঠে। রাজনৈতিক দলগুলোর এক পক্ষ ধর্মীয় মুল্যবোধ নিয়ে জনগনের সামনে দাড়ায়, অন্যপক্ষ জাতীয়তা তথা বাঙ্গালীবাদি মুল্যবোধ চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে গনজাগরনে রুপ নেয় বাঙ্গালীবাদি মুল্যবোধ এর ফসল বয়ে আনে ১৯৬৯ এর সরকার বিরোধী বিক্ষোপ অতপর ১৯৭১ সালে পুর্ব বাংলার সব রাজতিক প্লাটফরম, শুসিল সমাজের ও সব ধর্মের ধর্মীয় ফ্লাটফরমগুলো ঐক্য হয় এর মাধ্যেই কিছু সুবিধাবাদী মানুষ নিজেদের সুবিধা নিতে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। সেই ১৯৭১ সালের পটভুমি আজকে ২০১৩ সালে পটভুমি কি এক? সরকার বিরোধী শ্লোগান ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হয়নাই এটা ইতিহাস বলে।

একদিকে নাস্তিক/ আস্তিক যারা আ্ওয়ামীলিগ তাদের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ঐ দেখ ওরা ইসলাম ধর্মের অপমান করছে আর এই দল হাত দিয়ে ইশরা করছে ঐ দেখ আমাদের জাতীয়তাবাদি মুল্যবোধে আঘাত হেনেছে ওরা জাতীয়তাবোধের অস্তিত্ব রাখবেননা। এই ভাবে জাতি দুই ভাগে ভাগ হবেই হোকনা জাতিয়তাবাদি বনাম ধর্মীয়মুল্যবোধ । সাধারন মানুষ চায় মেৌলিক অধিকার নিশ্চিত একটি সমাজ। আর সমাজ ঘিরে যড়যন্ত্র, কে দিবে সমাজের নিরাপত্তা? কেউ কি পারবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে? ঢাকা থেকে শুরু হয়ে গ্রামে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হিংস্র দুই পক্ষের শ্রোগান আর সেখানেই দুপক্ষের লড়াই। ভাইয়ের শত্রু ভাই অযথা ব্যবধান বাড়ছে হয়ত কেউ হাসছে।

যে কার্যক্রম চলছে তাতে ভাবছি আর কতমাইল দুরে সেই গৃহযুদ্ধ? জিসিবর্মন স্বপন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।