আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘তুই চিনোছ আমারে, অক্ষুনি চিন্যা যাবি’

বাধা পেলেই সৃষ্টি হয় গণজোয়ার।
চলচ্চিত্রাভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও তার তিন দেহরক্ষীর লাথি-ঘুষি-নির্যাতনে আহত ট্রাফিক কনস্টেবল আফতাব উদ্দিনের (৪৫) শরীর জুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন। অনেক স্থানেই ফুলে আছে পেশি। রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের শয্যায় শুয়েই বাংলানিউজের কাছে গত মঙ্গলবার ওপর চালানো নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন আফতাব।

কান্নাজড়িত কন্ঠে কনস্টেবল আফতাব বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে আমরা ট্রাফিক সদস্যরাই নিরস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে থাকি। গত মঙ্গলবার (ঈদের আগের দিন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গাবতলী পশুর হাট মোড়ে যানজট দূর করতে বিরতিহীন দায়িত্ব পালন করছিলাম। ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে থাকা ডিপজলের গাড়িটি কেন আমি বিশেষভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিলাম না-সেটাই আমার অপরাধ! রীতিমত চোর পেটানোর মতো ওরা ৪/৫ জনে মিলে আমাকে পিটিয়েছে। ’ আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসায় হয়তো আঘাতের চিহ্নগুলো মুছে যাবে; কিন্তু অন্তরের দাগ তো কোনোদিনই মুছবে না। ’ আফতাব জানান, যানজটে আটকে পড়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডিপজল।

সাদা প্রাইভেটকারের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়েই কলার চেপে ধরে বিশ্রি ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। তারপর ‘তুই চিনোছ আমারে, অক্ষুনি চিন্যা যাবি’ বলে পেটাতে শুরু করেন। [/sb কনস্টেবল আফতাব বলেন, ‘ডিপজল যখন খিস্তি-খেউর করছিলেন ততক্ষণে গাড়ি থেকে রিভলবার, বন্দুক ও পিস্তল হাতে তার তিন দেহরক্ষী নেমে এসে ঘিরে ধরে আমাকে। তারপর এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি মারতে থাকে। ’ আফতাব জানান, রীতিমত চোর পেটানোর স্টাইলে বেদম পেটানো হয় তাকে ।

রাস্তায় ফেলে ডিপজল নিজেই এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে ডিপজল নিজের কোমর থেকে রিভলবার বের করে আফতাবউদ্দিনের বুকে চেপে ধরে বলেন, ‘হালার পুত্রে দিমুনি গুলি কইর‌্যা ?’ Full News- Click This Link
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।