আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

............... ঘন-গহন-ঐ-মেঘের-খোঁপায়-ঝরে-যাওয়া-ফুলে -- আলতো-ছোঁয়া-দিয়েছিনু-আমি-জীবনের-ভুলে ...............

ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..

তোমারি নীল নীল ঐ চোখের বনে একদিন সত্যি সত্যি পালিয়ে যাবো, দেখো। সেদিন শত ডাকলেও আমি আর দেখা দেবো না। চিরস্থায়ী নিবাস গেড়ে নেব বনের খুব গহীণে, পথের একেবারে শেষে। তোমাকে ছুঁয়ে এই যে আমি বলে রাখছি, দেখো.. একদিন সত্যি সত্যি আমি হারিয়ে যাবো। তখন আমি আর সুখ দুটি ভাই হয়ে যাবো, দুজনে গলাগলি করে থাকবো সবসময়।

দুঃখ যদি আমার বাড়ির আঙিনায় ঢুকতে চায় কখনো, দু'ভাইয়ে মিলে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবো তাকে। মেরে মেরে শেষ করে দেবো। আমার উঠোন জুড়ে লুটোপুটি খাবে বাহারি ফুলের ঝাঁক। প্রতি বিকেলেই সেখানে বসবে রঙিন প্রজাপতির হাট। উঠোনের ঠিক দক্ষিণ কোনা ঘেঁষে থাকবে মাঝারি আকারের একটি দীঘি।

সেই দিঘীতে সাঁতরে বেড়াবে শুভ্র রাজহাঁসের দল। দিঘীর ঠিক উল্টো পাশে এক খন্ড খোলা জমিতে প্রতিদিনই চলবে সুখের চাষবাষ। তার ঠিক পাশেই থাকবে একটি বড় আকারের বট গাছ। আমি বটের ছায়ায় দুপুরের ভাত খেতে খেতে স্নিগ্ধ সমীরণের স্পর্শে তোমাকে ভাবতে থাকবো। তুমি আসবে এই খুশীতে ভিতরে আমার অন্যরকম শিহরণ খেলে যাবে।

আমি প্রতিদিন বাগান থেকে শত শত ফুল তুলে পথের দু'ধারে সাজিয়ে রাখবো। রঙিন প্রজাপতির দল তোমাকে দেখার প্রতিক্ষায় স্থবির হয়ে বসে থাকবে। তুমি আসবে এই প্রত্যাশায় দিঘীর জল থামিয়ে দেবে বাতাসের সাথে তার ঢেউয়ের সুমধুর খেলা। তুমি আসছো শুনে, বনে বনে তোলপাড় লেগে যাবে........ সুউচ্চ গাছগুলো মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে জানান দিতে থাকবে, তুমি আসছো! তুমি আসছো! তুমি আসছো শুনে, প্রজাপতির দলে লেগে যাবে হৈ-হুল্লোড়। আর বাগানের পুরোনো ফুলগুলো স্বইচ্ছায় ঝরে ঝরে নুতন করে আবার ফুটতে শুরু করবে।

তুমি আসছো শুনে, দখিনা বাতাস দূর চন্দনের বন হতে বয়ে আনবে সুগন্ধি রাশি রাশি। আকাশের মেঘগুলো সরে সরে চকচকে নীল বেরিয়ে এসে হেসে হেসে জানান দিতে থাকবে, ওরে.... তোরা কোথায়? দেখ, কে আসছে? আচ্ছা, এমন যদি হয় কখনো.... যদি এমনি তোমার প্রতীক্ষায় দূর কোন গহীন বনাঞ্চলে বসে থাকি আমি, আর তোমায় নাম ধরে ডাকতে থাকি... তুমি, আসবে? মেঘপাখি উড়ে যায় অচেনা রথের সুবর্ণ রেখা ধরে ধরে, সাথে করে নিয়ে যায়.. জীবনের সব ব্যর্থ আলাপন ঝুড়ি। আমি চেয়ে থাকি, অচেনা পথিক.. পথে পথে ঘুরি, মনে মনে উড়ি.. সুরে সুরে ডেকে ডেকে যাই, নাই নাই কোথাও.. কেউ নাই। হৃদয়ের ঘড়িতে ঢং ঢং ঘন্টায়, আচানক টান পড়ে উন্মনা মনটায়। ভেবে ভেবে মরি, কি করে কি করি? রোদেলা জ্যোৎস্নায়, মিশে যেতে মঞ্চায়.. মাঝে মাঝে ভাবি, বৃথা হলো সবই.. মোর প্রাণেরও প্রাণে.. মিশে থাকা সব গান, একদিনতো, কিছুই রবে না.. সবই হবে চিরতরে ম্লান।

হৃদয়ের দক্ষিণ সীমান্ত ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা নির্ভীক যুবক আনমনে বির বির গুনে চলা প্রহরে প্রহরে জলের সিঞ্চনে ভিজে ভিজে একাকার উত্তুরে প্লাবন আর নিরুত্তাপ গ্রহণে ছুটে চলেছে উদাসী পথে পথে; হাতে তার বিরহী পতাকা অদৃশ্য কথনের সুরে মৃতকাব্য যুবকের কানে বেজে ওঠে অনিয়ন্ত্রিত গাড়ীর বিকট ভেঁপুর শব্দে চঞ্চল চপলা উঠানে পূব আকাশের কালো রঙা মেঘ-মল্লিকার হঠাৎ আগমনে জীবনের গভীর তলানিতে শেষ সঞ্চিত জলের শেষ প্রস্থান। । পথে পথে ঘুরে ঘুরে মধু কন্ঠে সুরে সুরে, ডাকিয়া ডাকিয়া মরিলাম তবুও রইলে দূরে। আনন্দঘন্টা বেঁজে চলে জগতের ঘরে ঘরে, আমারি ঘর শুধু অন্ধকার ধু ধু কবরের 'পরে .................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।