আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০ হাজার লোক, ২২ বছরের পরিশ্রম!!!

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

স্বল্পতম সময়ের নোটিশে হঠাৎ করে দিল্লি যেতে হল। উদ্দেশ্য এশিয়া পিকেআই কনসোর্টিয়ামের মিটিং আর ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়ামে যোগ দেওয়া। পিকেআই মানে পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবস্থার মেরুদন্ড। যেহেতু আগামী কয়েকমাসের মধ্যে আমাদের দেশেও এটি চালু হয়ে যাবে, সেহেতু আমাদেরকে এই ফোরামে যোগদেওয়ার আগে পর্যবেক্ষক হিসাবে ডেকেছিল।

যাহোক, সভা শেষে ৩০ অক্টোবর আমাদের আগ্রায় তাজ দেখাতে নিয়ে যান আয়োজকরা। তাজের সৌন্দর্যের নানান বর্ণনা ইন্টারনেট আর বই অনেক আছে। আমিও কিছু লিখছি যা আমরা খেরোখাতায় আছে, হয়তো এবারের বই মেলায় সেটি প্রকাশ পাবে। তবে, সেখানে গিয়ে আমার মনে হয়েছে রাজা শাহজাহান কতোটা অত্যাচারী ছিলেন!!! ২০ হাজার লোক ২২ বছর ধরে তাজমহল বানিয়েছে। এই সময়ে কতো লোক মারা গেছে তার কোন হিসাব নেই।

আমাদের গাইড বললো ইতিহাসের এই অংশটা বরং থাক আমরা এর সৌন্দর্যটা দেখি। আবার, দু:খজনক হলেও সত্য যে, রাজার মমতাজের প্রতি ভালবাসার কথাই বেশি বলা হয়। কিন্তু আমার মনে হয়েছে বাদশা শাহজাহানের কাছে রানী মমতাজ ‘কেবল সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র’ ছিল!!! বাদশার প্রথম দুই স্ত্রীর কোন সন্তান হয়নি। একদিন কোন একটি দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হুকুমদার বাদশাহ রূপবতী মমতাজকে দেখে তাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। মমতাজের মত-অমতের বিষয়টা ঐতিহাসিকরা লিখেন না।

আমরা ধরে নিতে পারি তিনি সানন্দে রাজী হয়েছিলেন কারন রানী হবেন। সে সময় মমতাজের বয়স ছিল ১৯ বছর। বাদশার কতো? যাহোক পরের ২০ বছরে মমতাজের গর্ভে বাদশার ১৪টি সন্তান হয়েছে। ১৪ নম্বর সন্তান হওয়ার সময় মমতাজ মারা যান। বাদশা তাজমহলের মতো একটা কিছু বানানোর ধান্ধায় ছিলেন।

মমতাজের মৃত্যু তাকে সে উছিলা দেয়। কাজে, শুরু হয় এক ব্যপক দজ্ঞযজ্ঞ। পারস্য থেকে স্থপতি, নির্মাতারা আসে, পাথর আসে নানান জায়গা থেকে। ২০ হাজার লোক যুক্ত হয় এই কাজে। কতো টাকা খরচ হয়েছে কে জানে??? তবে, টাকা যা খরচ হোক না কেন, বিগত সময়ে তাজমহল দেখিয়ে সে টাকার কয়েকশ গুণ কামাই করে ফেলেছে ভারতীয় পর্যটন সংস্থা।

নিজেদের জন্য ২০ রুপী, সার্কের লোক হলে ৫১০ রুপী আর অন্যদের জন্য ৭৫০ রুপী!!! তাজমহল দেখে ‘আদার সাইড অব তাজমহল’ সম্পর্কে জানার আগ্রহটা বাড়লো।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।