আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রিটেন থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সমস্যা

ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হুমকির মুখে পড়েছে। যেসব ব্রিটেনভিত্তিক এজেন্সি বার্কলেজ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সহজে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করত, সেই ব্যাংকটি এই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে রেমিট্যান্সের পঞ্চম প্রধান উৎস থেকে দেশে অর্থ প্রেরণ কেবল কঠিন ও ব্যয়বহুলই হয়ে যাবে না, লাখ লাখ পরিবার দারুণ আর্থিক হুমকির মুখে পড়বে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে দেনদরবারের তেমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চলছে কি?
ব্রিটেনের বার্কলেজ ব্যাংক হুট করে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত জুন মাসে ৬০ দিনের নোটিশ দিয়ে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী এজেন্সিগুলোর অ্যাকাউন্ট বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছে।

ব্রিটেনে অবস্থানকারী বাংলাদেশি কিংবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশরা এতে অসুবিধায় পড়বেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী ২৫ হাজার নাগরিকের স্বাক্ষর এবং ৪৫ জন ব্রিটিশ এমপির সমর্থন নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। তাঁরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের টনক কি নড়ছে? দীর্ঘ সময় পাওয়ার পরও পুরোনো ব্যবস্থা বহাল অথবা বিকল্প উপায় সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে? একদিকে সরকার যেখানে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনায় কৃতিত্ব দাবি করছে, অন্যদিকে ব্রিটেন থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের পর কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না। এটি স্ববিরোধী।


বার্কলেজ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্রিটিশ মানি ট্রান্সফারিং এজেন্সিগুলো কেবল সহজেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রেমিট্যান্সের অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করত না, তাদের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের খরচও ছিল কম। কিন্তু কালোটাকা প্রেরিত হতে পারে বলে এই ব্যবস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্কলেজ ব্যাংক। তাহলে অন্য কোনো ব্রিটিশ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়াই সমীচীন। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে, কারণ এতে করে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অবদান রাখা কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা বিরাট।

সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের পথ সুগম রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.