আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস)

আমার ঘরে একটি টিভি সেট আছে। এটি আমার নিজস্ব। টিভি খুলে আমি অনেক সময়েই চুপচাপ তাকিয়ে থাকি। সব সময়ে যে দেখি বা উপভোগ করি বা যা হচ্ছে তা বুঝতে পারি, এমন নয়। ছবি নড়েচড়ে, কথা কয়, আমি বোকার মতো অন্যলগ্ন মন ও আনমনা চোখ নিয়ে বসে থাকি।

কিন্তু কখনও-সখনও ওই মুখর যন্ত্রটি থেকে কোনও কোনও ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসে এবং আমি টলে যাই। সে দিন একটি ছুকরি বয়সের সুন্দরী ললনাকে কী সব প্রশ্ন করা হচ্ছিল এবং উনি কী সব জবাবও দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সব চাপানউতোর আমার মস্তিষ্কে ছায়ামাত্র ফেলছিল না। গেঁয়ো এক নির্বোধের মতো তাকিয়ে বসে ছিলাম শুধু। হঠাৎ শুনি, ললনাটি বলছেন, আমি মনে করি নারীজীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা মাতৃত্বে।

ঠিক ঠিক মা হয়ে ওঠাটাও যে কোনও মেয়ের কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আঁতকে উঠলাম। ভুল শুনছি না তো! ভুল আমি বিস্তর শুনি, বিস্তর ভুলভাল বুঝি এবং আমার বোঝা-শোনা-সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রায়ই জট পাকিয়ে যায়। বাইরে এতটা না হলেও, আমাদের ঘরের চৌহদ্দির মধ্যে, আমাদের এই পরিবারে বোকা বলে আমার একটু অখ্যাতি আছে। দুঃখের বিষয়, মেয়েটির ওই সংলাপের কোনও রিপ্লে চ্যানেলটিতে দেখানো হল না।

কিন্তু আমার মনে হয় এই বিশেষ মন্তব্যটির রিপ্লে অবশ্যই দেখানো উচিত ছিল। বিশেষ করে আমাদের মতো মানুষের জন্য, যাদের আই কিউ লেভেল একটু নীচের দিকে। একবিংশ শতাব্দীর এক উঠতি বয়সের মেয়ের মুখে এ কথাটা ভূতের মুখে রামনামের মতোই শুনিয়েছিল বটে, তবে ভেবে দেখলাম, মাতৃত্বের একটা বিশ্বজনীন সর্বাত্মক আবেদন হয়তো এখনও গঙ্গাযাত্রা করেনি। অর্থাৎ, বলতে চাইছি, মাতৃত্বকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রবণতা হয়তো এখনও কারও কারও মধ্যে রয়ে গেছে। আমি মা-আঁকড়া ছেলে।

মাকে ঘিরেই ছিল আমার গোটা জগৎ, যত দিন না দেশভাগ এবং তজ্জনিত প্রবাস আমাকে নির্বাসিত করেছিল বৃহত্তর জগতে। মা সন্তানকে মেপে দেন, তাই বলে মা। দূরে নিক্ষিপ্ত হলেও এক অদৃশ্য সুতোর টান মা নামক সত্তার কেন্দ্রাভিগ টানে অব্যাহত রেখেছিল আমার আবর্তন। অন্য সব সম্পর্কের মধ্যে বেনোজল ঢুকে যায় বটে, কিন্তু মা আর সন্তানের সম্পর্ক তত ঠুনকো নয়। অন্তত মায়ের দিক থেকে।

মায়ের কাছে সন্তান এই নারীমুক্তির যুগেও অগ্রাধিকার পায়। তবে দুঃখের বিষয়, স্নেহ নিম্নগামী। মায়ের কাছে সন্তান যা, সন্তানের কাছে মা হয়তো আজকাল তত নয়। বরং মাতৃঘাতী ছেলের সংখ্যা একটু বেড়েছে। শারীরিক ভাবে মারে না বটে, কিন্তু বর্জনও এক রকমের হনন।

সন্তানের মধ্যে মায়ের যে অস্তিত্ব মা রোজ দেখতে পায়, সেই অস্তিত্ব তিলে তিলে মরে। <!--more--> মায়েদের মুখেই মাঝে মাঝে এই হাহাকার শোনা যায়, মা হওয়া যে কত বড় অভিশাপ! কথাটা তত মিথ্যেও নয়। সন্তান জন্মানোর পর থেকেই মায়ের হৃৎস্পন্দনে এক উদ্বেগের ধুকপুকও সঞ্চারিত হয়, যে ধুকপুকুনি আর ইহজন্মে প্রশমিত হয় না। সন্তানের প্রতি মায়ের পক্ষপাত বিশ্ববিশ্রুত ব্যাপার। এক আসন্নপ্রসবা মার্কিন যুবতী উড়োজাহাজে যাওয়ার সময় প্লেনেই সন্তান প্রসব করে ফেলে।

খবরটা শুনে তার শাশুড়ি ভারী বিরক্ত হয়ে বলে উঠেছিলেন, এভরিথিং হ্যাপেনস টু জন। জন তাঁর ছেলের নাম। অথচ জনের কিছুই হয়নি, বরং তার বউটিকেই প্লেন-ভর্তি লোকের কৌতূহলী চোখের সামনে সন্তান প্রসবের লজ্জা, যন্ত্রণা ও হ্যাপা সহ্য করতে হয়েছিল। মায়েদের চিন্তা বরাবরই ও-রকম পার্টিজান। মার্কিন মা আর মধ্যবিত্ত বাঙালি মা হুবহু এক রকম নয় বটে, যেমন নয় ফরাসি বা চিনা মা।

যেমন নয় আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ বা উত্তর মেরুর এস্কিমো মা। তফাত আছে! জীবনযাত্রা, দৃষ্টিভঙ্গি, অভ্যাস যত পার্থক্যই গড়ুক, তবু এক সূক্ষ্ম সূত্রে মাতৃত্ব এক বিশ্বায়িত বিস্ময়। ষোলো বছরের সদ্য গোঁফ-ওঠা ছেলে যুদ্ধে গিয়েছিল। অসমসাহসিকতায় সে বিপক্ষের একটি সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক ধ্বংস করায় তার মিলিটারি বস তাকে এক দুর্লভ পুরস্কার দিল। দু’দিনের ছুটি।

সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি ছুটল বাড়িতে, মায়ের কাছে। কিন্তু বাড়ি অনেক দূরের পথ। রেলগাড়িতে যেতে যেতে নানা অনভিপ্রেত ঘটনায় জড়িয়ে দেরি হয়ে গেল তার। যখন গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছল, তখন আর হাতে একদম সময় নেই। অথচ মা তখন ফসলের খেতে কাজ করতে গেছে অনেক দূরে।

তবু লোকমুখে খবর পেয়ে মা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়তে থাকে। যখন এসে পৌঁছয়, তখন ছেলে রওনা হওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে। মাতা-পুত্রের সে এক ভাষাহীন অদ্ভুত মিলনদৃশ্য। চোখের জলে কথা ভেসে যায়। শেষ অবধি ছেলের গালে হাত বুলিয়ে মা শুধু দু’টি কথা বলতে পেরেছিল: ডু ইউ শেভ নাউ? অ্যাণ্ড স্মোক টু? ছেলে চলে গেল।

সামনের আদিগন্ত গমের খেত দুলছে শীতের হাওয়ায়। মা দাঁড়িয়ে থাকে দরজায়, দিগন্তের দিকে চেয়ে। কোথায়, কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলেছে, মা তা বুঝতে চায় না। মায়ের চিন্তা এসে জড়ো হয় তার ছেলের মুখখানায়। এই রুশ সিনেমাটির শেষ দৃশ্যে আমার রুমাল ভিজে গিয়েছিল চোখের জলে।

মনে হয়েছিল মায়েরা একজোট হলে বুঝি পৃথিবীর সব যুদ্ধ এক দিন বন্ধ হয়ে যাবে। চিত্রকূটে এক সকালে জলখাবারের সন্ধানে বেরিয়েছি। কিন্তু সে তো বাবু জায়গা নয়। তেমন পরিচ্ছন্ন দোকানপাট বা রেস্টুরেন্ট নেই। কয়েকটা ঝুপড়ির দোকান, তাতে ড্রাইভার কণ্ডাক্টররা ভাত-রুটি খায়।

তারই একটাতে গিয়ে সন্তর্পণে বসলাম। দোকানের মালিক মধ্যবয়স্কা এক দেহাতি মহিলা। সে আমাকে মোটে পাত্তাই দিল না। শুধু বলল, জলখাই হবে না, পুরো মিল নিতে হবে। তাই সই, কিন্তু আমাকে পাত্তা না দিয়ে সে তখন তার নিয়মিত খদ্দেরদের নিয়েই ব্যস্ত।

আমার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। অবশেষে আমি নরম গলায় শুধু একবার বলেছিলাম, মা, বহত ভুখ লাগা হ্যায়... জীবনে এ রকম ম্যাজিক আর কখনও দেখিনি। এই একটি ‘মা’ ডাক সেই দীনদরিদ্র, রসকষহীন মুখশ্রী আর কর্কশ স্বভাবের মহিলার মুখে এক অপার্থিব লাবণ্যের ঢল বইয়ে দিল। উনুনে বাতাস দিচ্ছিল, স্খলিত হাত থেকে খসে পড়ে গেল পাখা। আমার দিকে হাঁ করে নিষ্পলক চোখে কয়েক সেকেণ্ড তাকিয়ে রইল সে।

তার পর ‘আভি দেতা হুঁ বাবা, আভি দেতা হুঁ ...’ বলতে বলতে লাফিয়ে উঠল সে। একটা মেয়ে যেন দশটা মেয়ে হয়ে উঠল! সব খদ্দেরকে উপেক্ষা করে, কাজের ছোকরাটাকে তাড়না করে অবিশ্বাস্য তৎপরতায় তৈরি করে নিয়ে এল গরম রুটি আর তরকারি। ‘পেট ভরকে খাও বাবা, জিয়া ভরকে খাও...। ’ পরে যখন দাম দিতে গেছি, কিছুতেই সে পুরো পয়সা নেবে না। ‘না বাবা, তুম তো চাওল নাই লিয়া, পুরা পয়সা কিঁউ দেগা?’ ঠাকুর মা ডাকতে শিখিয়েছে, কিন্তু সেই মা ডাকের মধ্যে কোনও সঞ্জীবনী আছে, তা বুঝতে পারিনি এত দিন।

মা ডাক বুঝি রাক্ষুসীর ভিতরেও দেবীকে জাগায়। দীর্ঘ আঠারো বছর আমি চড়াই পাখিদের ইস্কুলে পাঠ নিয়েছি। না, উড়তে শিখিনি বটে, কিন্তু ঘর-গেরস্থালির শিক্ষা তারা আমাকে কম দেয়নি। চড়াই পাখি যে নিয়মিত ঘর ঝাঁট দেয়, তা ক’জন জানে? আমি ভুক্তভোগী বলে জানি। আমারই সিলিংলগ্ন বইয়ের তাকে তারা প্রতি বছর বাসা বানাত।

এক-দু’ঘর নয়, অন্তত দশ-বারো ঘর। ঘরের ময়লা নির্বিচারে ফেলত আমার লেখার টেবিলে, বিছানায়। কুসি কুসি চড়াইছানা মায়ের ঠোঁটে করে বয়ে আনা তুচ্ছ খাবারটুকু ছাড়া কিছুই খেত না। সিলিং ফ্যানের ধাক্কায় বা অন্য কারণে মা-পাখিটা মরে গেলে বাচ্চাগুলিকে বাঁচানোর জন্য ভাত-মুড়ি-ময়দার গুলি কিছুই খাওয়াতে পারিনি। মা-নির্ভর এই সব ছানা উড়তে শিখল যেই, অমনি আলাদা হল, ভিন্ন হয়ে গেল।

ওই ভাবেই তারা রচিত। দীর্ঘ স্মৃতি নেই, তবু বাৎসল্যের কয়েকটি দিন মা আর শিশুদের চেনা যেত। ঠিক যেন মানুষের মতোই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের চ্যানেলে একদিন দেখেছিলাম, দুটো চিতাবাঘের যুগপৎ তাড়া খেয়ে এক দঙ্গল ন্যু পালিয়ে গেল। শুধু এক জন পালায়নি।

এবং সে এক জন মা-ন্যু। তার বাচ্চাটা বড্ড ছোট বলে ছুটতে পারে না। শুধু সে একা বাচ্চাকে আড়াল করে রুখে দাঁড়াল। দু’-দুটো ক্ষুধার্ত বাঘের সঙ্গে তার সে কী অসম আর অসমসাহসিক লড়াই! বাঘ এগোয় তো সে-ও ঢুঁ মারতে তেড়ে আসে। শেষ অবধি বাঘ দুটো রণে ভঙ্গ দিয়েছিল।

আমার তখনও অক্ষরজ্ঞান হয়নি। দুপুরবেলায় খাওয়ার পর মনোহরপুকুরের দোতলা বাসায় লাল মেঝেতে মায়ের কাছ ঘেঁষে শুতাম, আর মা পড়ে শোনাত রবি ঠাকুরের কবিতা। মায়ের মুখের সেই সব কবিতা আমার ভিতরে ঢুকে যেত নির্ঝরের মতো। কবে চলে গেছে মা। বাবা।

রোজ সকালে যখন মন্ত্র উচ্চারণ করে পিতৃস্তুতি আর মাতৃস্তুতি করি, তাদের জলজীয়ন্ত টের পাই এখনও। নিত্যকার এই তর্পণ উভয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায় আমাকে। টিভি সেটের ওপর পাশাপাশি আমার মা ও বাবার ছবি যেন ছবিকে ছাপিয়ে ওঠে। মৃত বলে মনে হয় না তো কখনও। ধ্যানে, মননে, নিত্য স্মরণে প্রতি দিন যেন প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়।

দু’টি জীয়ন্ত চোখ বড় মায়ায়, ভালবাসায় চেয়ে থাকে আমার দিকে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মায়ের জঠরজাত সন্তানেরা পৃথিবীকে কত ভাবে ভাঙল, গড়ল। কত কী ঘটিয়ে তুলল চার দিকে। কত জয়-পরাজয়, আলো-অন্ধকার, উত্থান-পতনের ভিতর দিয়ে বহমান মানুষের ধারা। তবু কেন যেন মনে হয়, মানুষ ঠিকমত রচনা করল না মাকে, অর্চনা করল না।

আজও তাই পৃথিবীতে মায়ের অভাব বড় টের পাই। সর্বজয়ার মৃত্যুর পর... অপরাজিত, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ...কিছুকাল অপু এক অদ্ভূত মনোভাবের সহিত পরিচিত হইল। প্রথম অংশটা আনন্দ-মিশ্রিত— এমন কি মায়ের মৃত্যু-সংবাদ প্রথম যখন সে তেলি-বাড়ির তারের খবরে জানিল, তখন প্রথমটা তাহার মনে একটা আনন্দ, একটা যেন মুক্তির নিঃশ্বাস... একটা বাঁধন-ছেঁড়ার উল্লাস... অতি অল্পক্ষণের জন্য— নিজের অজ্ঞাতসারে। তাহার পরই নিজের মনোভাবে তাহার দুঃখ ও আতঙ্ক উপস্থিত হইল। এ কি! সে চায় কি! মা যে নিজেকে একেবারে বিলোপ করিয়া ফেলিয়াছিল তাহার সুবিধার জন্য।

মা কি তাহার জীবনপথের বাধা? — কেমন করিয়া সে এমন নিষ্ঠুর, এমন হৃদয়হীন— তবুও সত্যকে সে অস্বীকার করিতে পারিল না। মাকে এত ভালবাসিত তো, কিন্তু মায়ের মৃতু-সংবাদটা প্রথমে যে একটা উল্লাসের স্পর্শ মনে আনিয়াছিল— ইহা সত্য— সত্য— তাহাকে উড়াইয়া দিবার উপায় নাই। তাহার পর সে বাড়ি রওনা হইল। উলা স্টেশনে নামিয়া হাঁটিতে শুরু করিল। এই প্রথম এ পথে সে যাইতেছে— যেদিন মা নাই! গ্রামে ঢুকিবার কিছু আগে আধমজা কোদলা নদী, এ সময়ে হাঁটিয়া পার হওয়া যায়— এরই তীরে কাল মাকে সবাই দাহ করিয়া গিয়াছে! বাড়ি পৌঁছিল বৈকালে।

এই সেদিন বাড়ি হইতে গিয়াছে, মা তখনও ছিল... ঘরে তালা দেওয়া, চাবি কাহাদের কাছে? বোধ হয় তেলি-বাড়ির ওরা লইয়া গিয়াছে। ঘরের পৈঠায় অপু চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। উঠানের বাহিরে আগড়ের কাছে এক জায়গায় পোড়া খড় জড়ো করা। সেদিকে চোখ পড়িতেই অপু শিহরিয়া উঠিল— সে বুঝিয়াছে— মাকে যাহারা সৎকার করিতে গিয়াছিল, দাহ অন্তে তাহারা কাল এখানে আগুন ছুঁইয়া নিমপাতা খাইয়া শুদ্ধ হইয়াছে— প্রথাটা অপু জানে... মা মারা গিয়াছে এখনও অপুর বিশ্বাস হয় নাই... একুশ বৎসরের বন্ধন, মন এক মুহূর্তে টানিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিতে পারে নাই... কিন্তু পোড়া খড়গুলাতে নগ্ন, রূঢ়, নিষ্ঠুর সত্যটা... মা নাই! মা নাই! ...বৈকালের কি রূপটা! নির্জন, নিরালা, কোনও দিকে কেহ নাই। উদাস পৃথিবী, নিস্তব্ধ বিবাগী রাঙা-রোদভরা আকাশটা।

...অপু অর্থহীন দৃষ্টিতে পোড়া খড়গুলার দিকে চাহিয়া রহিল। ... সংগ্রহীত  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।