আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমি পিয়ালের ইতিহাস চর্চা ; ইতিহাস বিকৃতি না কি মষ্তিস্ক বিকৃতি

অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
অমি পিয়ালের ইতিহাস চর্চা তার মষ্তিস্ক বিকৃতি অথবা চেতনার ঠিকাদারের কাছে তার বিক্রিত মষ্তিস্ক প্রসূতও হতে পারে, বিবেচনা আপনাদের। ভাস্কর্যের এই ছবিটিতে বৃত্তাকারে চিহ্নিত তৃতীয় চেয়ারটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অমি পিয়ালের একটি লেখায় । তিনি বলতে চেয়েছেন এই চেয়ারটি এখানে সংযোজন করা হয়েছে, বাস্তবে এখানে চেয়ারে বসা কোন তৃতীয় ব্যাক্তি ছিল না, টেবিলে তৃতীয় যে ব্যাক্তিটি ছিলেন তিনি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন। এই কথার ভিত্তি হলো তার চর্চিত ইতিহাস এবং নীচের এই ছবিটি ; পাঠকের কাছে প্রশ্ন কোন যুক্তিতে বলা যায় এই চিহ্নিত তৃতীয় ব্যাক্তিটি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসেছেন ? আমার মাথায় আসে না, আপনাদের মাথায় আসে কি ? ১. যে দুজন চেয়ারে বসেছেন তাদের মাথার উচ্চ্তা এবং এই তৃতীয় ব্যাক্তির উচ্চতা সমান।

২. চেয়ারে বসলে টেবিলের উপর (কুনই পর্যন্ত) হাত রাখতে বগলের সাথে হাত যে এঙ্গেলে থাকার কথা এখানেও তা'ই আছে। শুধু ছবিতে চেয়ারটি দেখা যাচ্ছে না বলেই কি ধরে নিতে হবে তিনি চেয়ারে বসে ছিলেন না। ( কোন কোন মতাদর্শের অনুসারীরা অবশ্য না দেখলে বিশ্বাস করেনা ) ছবি যে পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে তাতে চেয়ার ছবিতে না আসার'ই কথা । চেয়ারে হেলান দেওয়ার অংশ কান পর্যন্ত আসে না, তাছাড়া এভাবে টেবিলে হাত রেখে বসতে হলে চেয়ারের একেবারে সামনের অংশে বসতে হয়। এখন, ইতহাস বিকৃত করে এই চেয়ারটি সংযোজন করা হয়েছে এ রকম মনে হওয়ার কারন কি হতে পারে ? নিচের অংশটুকু পড়লে পাঠক কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন, বিশেষ করে আন্ডারলাইন গুলো খেয়াল করুন; মজিবনগরের ভাস্কর্য বিকৃত করা হয়েছে বলে তিনি যা লিখলেন ; দেখা যাচ্ছে মিত্রবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল জগৎসিং অরোরা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পুর্বাঞ্চল প্রধান লে. জেনারেল এ.কে নিয়াজীর সঙ্গে ওই টেবিলে তৃতীয় একজন উপস্থিত! কে এই ব্যক্তি, আমাদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তার কি ভূমিকা! সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে ঠিক ওইরকম একটা ছবির ফটোশপ ভার্সন দেখার দূর্ভাগ্য আমার হয়েছিলো এক পাকিস্তানী ফোরামে।

সেখানে বলা হয়েছিলো ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পাঠানো একজন প্রতিনিধির সামনে এই আত্মসমর্পন করেছেন নিয়াজী, আত্মসমর্পনের শর্তগুলোও তিনিই ঠিক করে দিয়েছেন। অথচ ইতিহাস ও তার উপাত্ত বলে ঠিক ওই জায়গায় মাটিতে হাটু গেড়ে বসেছিলেন একজন সাংবাদিক! সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কমপ্লেক্স প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। এবার নীচের ছবিটি লক্ষ করুন, এটি ভারতীয় সাইট থেকে পাওয়া। ভারতীয় সাইটে ওইরকম একটা ছবি দেখে আমি সাহেব কত কষ্ট পাবেন কে জানে। এভাবেই ইতিহাস চর্চা করে চলেছেন অমি পিয়ালেরা।

সবখানেই স্বাধীনতা বিরোধী সৃষ্টি করে জাতিকে বিভক্ত রেখে ক্ষমতাসীন থাকতে চান। সে জন্যেই তাদের মনে প্রশ্ন জাগে "কোনো ছবি থেকে করা হয়েছে এই ভাস্কর্য? পাকিস্তানী সেই ফোরাম থেকে? কে সাপ্লাই দিলো এই ছবি? " আমি পিয়ালদের ভন্ডামী বন্ধ হোক। আমরা সত্যিকার আর্থেই জানতে চায় ঐ তৃতীয় ব্যাক্তির পরিচয়। জানতে চাই আত্মসমর্পনের যুক্তি পত্র ইন্দিরা গান্ধির কোন প্রতিনিধি লিখে দিয়েছিল কি না? এটা সত্যি হলেও কোন আপত্তি নাই । শুথু সত্যটা জানতে চাই? অমি পিয়ালদের ছড়ানো মিথ্যা থেকে মুক্তি চাই।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।