আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই সময়োচিত এবং ফলপ্রসু কমিউনিকেশন (পুকুরে ঢিল মারলে জানতে হবে রিপল ইফেক্ট কত দূর যায়)

এটা সত্য যে শাহবাগের গনজাগরনের কিছু আয়োজক (ব্লগার) ইসলাম ধর্ম এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন ব্লগে (রেফারেন্সঃ মুক্তমনা ডট কম) যুক্তিহীন, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেছেন (মুক্তমনার কয়েকজন নাস্তিক ব্লগার আবার ঐসব ধর্মবিদ্বেষীদের সমালোচনা করেছেন তাদের কুরুচিপূর্ন লেখার জন্য)। কিন্তু শাহবাগের আন্দোলনে যোগদানকারীদের সার্বিক অবস্থান হল অধিকাংশ মানুষ নাস্তিক-ধর্মবিদ্বেষীদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত মাইন্ডসেট শেয়ার করেনা। একই ভাবে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ঐক্যমত থাকলেও কতিপয় নাস্তিক-ধর্মবিদ্বেষী শাহবাগের তরুনদের ধর্মীয় অবস্থান প্রতিনিধিত্ব করে না। আমার দেশ পত্রিকার কল্যানে ধর্মবিদ্বেষীদের ঐসব কটুক্তি ধর্মপ্রান মুসলিম জেনছে এবং এতে একটা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করার জন্য তাদের মধ্যে মানসিক এবং নীতিগত অবস্থান তৈরী হয়েছে। গনজাগরন মঞ্চ থেকে কি এইরকম একটা বিবৃতি দেয়া যেত না যে “আমরা সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কতিপয় ব্লগারদের ইসলাম ধর্ম এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ন মন্তব্যের জন্য আমরা দুঃখিত এবং ঐসব ব্লগার গনজাগরন মঞ্চকে প্রতিনিধিত্ব করে না।” আমার মনে হয় গনজাগরন মঞ্চ এখানে একটি কৌশলগত ভুল করেছে। এ জাতীয় ছোট্ট একটি clarification কিন্তু public sentiment কে কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে পারত অথবা ন্যূনতম পক্ষে আজকের মত ব্যাপক সহিংস ঘটনার জন্য নির্দলীয় ধর্মপ্রান মুসলিম ও ইসলামী সংগঠনগুলোকে “আবেগিক রসদ” সরবরাহটা সহজলভ্য করত না। মুসলিম ধর্মানুভূতিতে আঘাত এই আন্দোলনের জন্য একটা distraction. আয়োজকদের আরো একটু সামষ্টিক কৌশল এইসব আনাকাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া থেকে আন্দোলনকে অক্ষত রাখবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।