আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“যুগ যুগ পথ চেয়ে রইব তোমার । নাহ !! সাহস হয় না । আমি কারো যোগ্য নই !! আমি কারো স্বপ্ন হতে পারি না !!!!!!!“

স্বপ্ন বিলাসী আমি । স্বপ্নে নিজেরে খুঁজি । কল্পনায় বেঁচে থাকি । বাস্তবতা ভুলে যাই বারবার । মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছি............!! মুক্ত হব তব মুক্তিতে সহজ হতে চাই ।

পাহাড়-সম প্রস্তর ভাঙ্গি আলেয়ারে সম্মুখে টানি কাঁদিয়ে জগত ঘুরি অবশেষে থাকাইয়া দেখি চর্ম হস্ত পায় । হেরেছি আমি, খুঁজিতে সকাল বুজিতে ব্যবধান । সকালের আলো, হয়ে যায় কালো রয়ে যায় অসমান । ................................ । ।

ভাল থেক সবার মত করে । । ভাল থেক নিজের মত করে । । ভেবেছিলাম শরতের শুভ্র কাশবনের মত জীবন হবে আমার ।

টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো জুড়া লাগিয়ে আলোর ভুবনের বাসিন্দা হব আমরা । শরীরের শেষ রক্তবিন্দু টুকু দিয়ে রাঙিয়ে যাব তোমার জীবন । এতটুকু ব্যাথার স্পর্শ দিব না কখনো । আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সফল করব তোমার স্বপ্নগুলো । হাতে এনে দিব কল্পনার সবটুকু ।

আমি হব মুগ্ধ দর্শক । তৃপ্তিতে দুচোখ বন্ধ হয়ে আসবে আমার । ঘুমিয়ে পড়ব আমি কোন এক মধুর স্বপ্নের আহ্বানে । আবার জেগে উঠব, পুনরায় জেগে উঠব, বারবার জেগে উঠব......শুধু তোমায় দেখব বলে ............। ।

হল না ..................!! আমি পারছি না, পারবও না হয়ত । এই ব্যবধান, এই দূরত্ব মেনে নিতে । অবশেষে......!! আমি পারলাম না .........!! আমি চেয়েছিলাম তোমার চোখে স্বপ্ন হতে । তোমার চোখ ভরা স্বপ্নে বারবার নিজেকে আবিষ্কার করতে । কাব্যিক সুন্দর্র হয়ে তোমায় মন রাঙাতে ।

বেঁছে বেঁছে সব কয়টা পরিপূর্ণ ফুটন্ত গোলাপ এনে দিতে তোমার হাতে । তুমি প্রান ভরে গ্রান নিবে । আমি তাখিয়ে থাকব অপলক । গেয়ে উঠব প্রান খোলে............... “তুমি যে আমার, ওগোও তুমি যে আমার...। ।

“ আমি হেরে গেছি আমার অস্তিত্বের কাছে । তোমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কাছে । আমার ভালবাসার কাছে । আমার মনের দুর্বল কোনে জেগে উঠা কোন প্রশ্নের কাছে । আমি মুখোমুখি হতে পারি নি ।

আমি উত্তরও দিতে পারি নি, সেই প্রশ্নের । বোজাতেও পারি নি, “আমার কিসের এত ব্যাথা । আমার দুচোখে কেন এত কান্না “। আমি হয়ত বুঝাতে পারিনি, আমার ভালবাসা । কিন্তু আমি অবশ্যই তোমার যোগ্য ।

অবশ্যই আমি মহাধনী । আমার যা কিছু আছে তা পৃথিবীর আর কারো কাছে নেই । যে বিত্ত আমি বুকে বেধে আছি, কোন মুল্যে তা কেনা সম্ভব হবে না কোন দিন । আর তা হচ্ছে......”তোমার জন্য সঞ্চিত ভালবাসা”। আমার মত অভাগার জন্যে হয়ত তুমি কাঁদবে না কোন দিন ।

বলবেনা, __ “আমি শুধু তোমার” । তবুও বুক ভাসবে । জানি ভাসবেই ! দোয়া করি, অনেক বড় হওঁ তুমি । পূর্ণ হোক তোমার সকল আশা, যা আমায় নিরাশিত করেছে । বেঁচে থেক যুগ যুগ ধরে ।

হয়তবা অন্য কারো স্বপ্ন হয়ে......!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আপত্তি নেই তাতে । আমি আর রইলাম না তোমার সুখের পথের অন্তরায় হয়ে ...........................!! আমি বলছি না তুমি ভালবাসনা আমায় । আমি জানি তুমি আমায় কতটুকু চাও । কিভাবে চাও । জানো, তোমার এসব মোহের প্রতি আমার না কোন কালেই কোন চাহিদা ছিল না, যা তুমি খুব করে চাও ।

যখন জানলাম তোমার স্বপ্নের কথা, চাহিদার কথা, বিত্ত ও প্রতিপত্তির কথা, তখন ভাবলাম আমারও লাগবেই । শুধু তোমাকে দেবার জন্যেই লাগবে । কিন্তু, আমি এভাবে চাই নি তোমায় । ভেবেছিলাম আমার দোষর জীবনের সঙ্গী হবে তুমি । আবার সফলতারও সঙ্গী ।

আমার বিষণ্ণ জীবনের স্বস্তি হবে । কোন শর্তে বেধে রাখতে চাই নি তোমায় । আমার খুব ভয় হয় হত । আমি যদি, আমি যদি তোমার স্বপ্নগুলো ছুঁতে না পারি । যদি না পারি তোমার কল্পনার সবটুকু হতে ।

তবে...............? হয়ত তুমি আমায় ফিরিয়ে দিবে, তোমার ফ্যামিলির দিকে তাকিয়ে । হয়ত খুব কাঁদবে তুমি, আমার কান্না দেখে । আবার হয়ত আমি নিজেই লুকিয়ে পড়ব নিরবে, নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে । তবে কি হবে এই ব্যর্থ মানুষটির অন্তরে পুষে রাখা স্বপ্নগুলোর ? তবুও হারাতে চাইনি তোমায় । কখন যে এতটা অযোগ্য হয়ে গেলাম তোমার কাছে বোজতে পারলাম না আজও ।

তুমি আমাকে হারিয়ে গেলে । তবে কেন বলেছিলে সেদিন, “শুধু তোমাকেই চাই । আর কিছুই চাই না আমি । “ ভুলে গেছ সব । মনে পড়ে সেদিনের কথা ? ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ।

তোমার ডাকে সাড়া দিতে উন্মাদ হয়ে ছিলাম সারাটা বিকেল । শেষে তোমার বোনের বাসায় দেখা হল । আমাদের সম্পর্কের শুরু, দুজনের পক্ষ থেকে । অবশ্যক আমার পক্ষ থেকে শুরুটা ছিল ২০০৫ সাল থেকেই । তোমার প্রথম কথা কি ছিল মনে আছে ? বলেছিলে, তুমিঃ “আপনি আমকে কিভাবে চান ? আমিঃ বোজতে পারলাম না ।

তুমিঃ না মানে, আমাকে সাড়া জীবন ভালবেসে রাখবেন তো ? আমিঃ হাজার জীবন রাখতে চাই, শুধু ভালবেসে । আমি আমার কথা রাখতে পারলাম না । তুমিই আমাকে পারতে দিলে না । বলতে পার, আমার জীবনটা কেন এমন হয়ে গেল । আমিত এমন জীবন চাইনি ।

কি ছিল আমার চাওয়া ? তিন বেলা পেট পুরে খেতে চেয়েছিলাম, বুক ভরে নিশ্বাস, আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা । এতুকুই বেশী হয়ে গেল । হায় রে বিঁধি !! আজ আমার পৃথিবী আর তোমার পৃথিবীর মাঝে ব্যপক ব্যবধান হয়ে গেছে । আমার অপূর্ণতা আর অতৃপ্তটার মাঝে তুমি থাকতে পারবে না ভেবে আপন ভুবন ছিনিয়ে নিলে । একটিবারের জন্যেও ভাবলে না, কি হবে এই স্বপ্ন দেখা মানুষটির ।

যার জীবনের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিটি মুহূর্ত সাজিয়ে রেখেছিল তোমাকে নিয়ে । কি দোষ ছিল তার ? একদিন হয়ত আমি অনেক বড় হব । হয়তবা ! যশ হবে, প্রতিপত্তি হবে, সুনাম হবে । যদি না হয় ? এমন প্রশ্ন তোমায় বহুবার করেছি । তুমি কোন জবাব দাওনি ।

এই ভয়টা হয়ত তোমার মনে আগে থেকেই ছিল । আর এজন্যই হয়ত একটা সুস্পষ্ট দুরত্ত বজায় রেখেছ আমার সাথে সবসময় । আমি বুঝেও না বোঝার বান করে থেকেছি । তাঁর চাইতে বরং এটাই ভাল হয়েছে, দুজন দুজনার, আপনার । রবি ঠাকুরের ভাষায়, “একদিন আমার সমস্ত ডানা মেলে পেয়েছিলুম আমার উড়ার আকাশ; আজ আমি পেয়েছি আমার ছোট্ট বাসা, ডানা গুটিয়ে বসেছি ।

কিন্তু আমার আকাশও রইল । “ বিষয়টা আমার কাছে অনেকদিন আগে থেকেই স্পষ্ট, তুমি মুক্তি চাও । তুমি স্বাধীন আকাশে সাচ্ছন্দের ঘুড়ি উড়াতে চাও । আমার বিষাদের নীল পায়ে পিষে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাও । এইতো সেদিন বলেও দিয়েছিলে, “তোমার জন্য আমার কোন আবেগ কাজ করে না ।

“ বিশ্বাস কর, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম । আমার কষ্ট এতটুকুও বোঝতে দেই নি তোমায় । তীব্র ঘৃণা আর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল নিজের উপর । বারবার মনে হতে লাগলো, আমি কারো ভালবাসার যোগ্য নই । হ্যা তুমি আমারই থাকবে ।

কিন্তু সেটা আমার ভেতরে, আমার মত করে । আমি তোমায় কতটা ভালবাসি আর নতুন করে বলব না । আমার চেয়ে বেশি কেও তোমায় ভালবাসবে না, এ কথাও বলব না আর । তবে আমার কাছ থেকে আর কেউ এত ভালবাসা পাবে না, এটা বলতে পারি দৃঢ় কণ্ঠে, নিঃসঙ্কোচে । আমার পৃথিবীতে আমি হয়ে যাব এক নিষঙ্গ প্রস্তর-মূর্তির মত ।

বেঁচে থাকব প্রাণহীন হয়ে । তবুও তোমার স্বপ্নগুলো চির সবুজ হয়ে থাকুক তোমার চার পাশে । যে স্বপ্ন নিয়ে ছেড়ে গেলে আমায়, তার সবটুকুই যেন পূর্ণ হয় । আমার যদি সাধ্য থাকত আমি তোমাকে হারাতে দিতাম না । এখনো, পরক্ষনেও আমার ইচ্ছে হচ্ছে তোমায় ধরে রাখতে ।

বিশ্বাস কর আমি তোমাকে হারাতে দিতাম না । তবু তুমি ভাল থেক । যদি এভাবেই ভাল থাক । অনেক ভালবাসতাম তোমায় । অনেক ভালবাসি তোমায় ।

। আর.....................!!!!!!!!!!!!! থাক !! এক সময়ের তোমারই ________!!!!!!!!!!! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।