ইভ টিজিং আজকের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এক দূরারোগ্য ক্যান্সারের নাম। প্রতিদিন ইভটিজিং এর শিকার হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কিশোরী ও নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ায় এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ ও্র ফিচার প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু থেমে নেই এই সামাজিক ব্যাধির দৌরাত্ন।
ইভ টিজিং প্রতিরোধে আমাদের সবার আগে জানা প্রয়োজন ইভ টিজিং কি।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নারী বা কিশোরীদের প্রতি কটুক্তি, অশালীন মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি, তাদের কর্মক্ষেত্রে বা চলার পথে কোনরুম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ইত্যাদি ইভ টিজিং হিসাবে আখ্যায়িত হয়।
ইভ টিজিং কারা করে - সাধারনত কিশোর, তরুন, যুবকরাই ইভ টিজিং করলে ও কোন কোন ক্ষেত্রে নারী ও বয়স্ক পুরুষেরা ও ইভ টিজিং করে থাকেন।
ইভ টিজিং এর কারন খুজে দেখতে গেলে দেখা যায় নৈতিক মূল্যবোধের অভাব ও অবক্ষয় ইভ টিজিং এর মূল কারন। এছাড়া চিত্ত বিনোদনের অভাব, বেকারত্ব, সুশিক্ষার অভাব, স্যাটেলাইট সংস্কৃতির দৌরাত্নসহ লিঙ্গ বৈষশ্য ও এসে পড়ে প্রভাবক হিসাবে।
ইভ টিজিং প্রতিরোধে করনীয়
শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে বাংলাদেশে কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়নি কোন দিন।
ইভ টিজিং প্রতিরোধে আইন দরকার রয়েছে কিন্তু সেটা মূখ্য নয়। বরং নীচের বিষয়গুলির প্রতি নজর দিলে বেশী উপকার পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করি।
১. নৈতিক শিক্ষার সম্প্রসারন
২. ইভ টিজিং এর বিষয়ে ছেলে মেয়ে সকলকে সচেতন করে তোলা
৩. সুস্থ চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা
৪. একটি নির্দিষ্ট বয়সের আগে ছেলে মেয়েদের ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করতে না দেয়া।
৫. পাঠ্য পুস্তকে ইভ টিজিং সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংযোজন করা
৬. ছেলে মেয়ে কাদের সঙ্গে মিশছে সে সম্পর্কে নিয়মিত খোজ খবর রাখা
৭. নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরন।
সবশেষে একটি প্রস্তাব -
নাটোরের কলেজ শিক্ষক জনাব মিজানুর রহমান সম্প্রতি ইভ টিজিং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথমে আহত ও পরবর্তীতে নিহত হয়েছেন।
ইভ টিজিং এর প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মৃত্যদিবসকে ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষনা করা হোক এবং প্রতিবছর এই দিনটিতে ইভ টিজিং প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আমাদের তরুন প্রজন্মকে সচেতন করে তোলা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।