আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিং-বখাটেদের উশৃঙ্খলতা বন্ধ না করলে পরিনাম কতই না ভয়াবহ হবে!!

মহাসাগর
আপনাদের জানা কয়টি ঘটনা- ১. বখাটে বন্ধুর হাতে চট্টগ্রামের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত:‘আমি কী অপরাধ করেছিলাম? আমি কার ক্ষতি করেছি? আমার মেয়ের কেন এই অবস্থা হলো?’ হাসপাতালের সামনে গত বৃহস্পতিবার রাতে এভাবে বিলাপ করছিলেন মিদাত সারিমা রহমানের বাবা মিজানুর রহমান। সুত্র:প্রথম আলো"। এই আর্তনাদের সান্তনা আপনি কিভাবে দিবেন? ২.দেবীদ্বারে বিএনসিসির প্রশিক্ষণ শিবিরে বখাটেদের হামলা:"সুজাত আলী কলেজে ময়নামতি সেনানিবাসের চার নম্বর ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে গত সোমবার বিএনসিসির প্রশিক্ষণশিবিরের উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন কলেজছাত্রী আছেন।

আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলার কথা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রশিক্ষণ শিবির শুরুর দিন থেকেই স্থানীয় সাদ-আটজন বখাটে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ মাঠে ছাত্রীরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এ সময় দুই বখাটে তাঁদের সঙ্গে খেলতে চাইলে প্রশিক্ষণ শিবিরের দায়িত্বে থাকা করপোরাল শিব্রত বখাটেদের বের করে দেন। বখাটেরা করপোরাল শিব্রতকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

বিএনসিসির সদস্যরা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে স্থানীয় সোহাগ, নাদিম, সজীব, মাহফুজ, ফরহাদ ও সাজ্জাদসহ আট-দশজন বখাটে লাঠিসোটা নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে। তারা প্রশিক্ষণ কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল তত্ত্বাবধায়ক মেজর ইলিয়াস ও করপোরাল শিব্রত নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাদের আসার কারণ জানতে চান। ক্ষুব্ধ হয়ে বখাটেরা তাঁদের গালমন্দ করতে থাকে। একপর্যায়ে বখাটেরা করপোরাল শিব্রতকে মারধর শুরু করে। শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে কক্ষের ভেতরে নেন।

মেজর ইলিয়াস কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিলে বখাটেরা দরজা-জানালা ও বাইরে থাকা বিএনসিসির একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে তিনজন ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। ভাঙচুরের শব্দ ও ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন কলেজে জড়ো হতে থাকলে বখাটেরা চলে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অচেতন ছাত্রীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুত্র: প্রথম আলো" ৩. নাটোরের কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমান আজ মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে: ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানানোয় বখাটে যুবকদে হামলায় আজ তার এই দশা।

এই ধরনের ঘটনা আমাদের নিত্যসঙ্গী। ইভ টিজিং সামাজিক ব্যধিরুপে আত্নপ্রকাশ করেছে। এই ব্যধি সারিয়ে তুলতে না পারলে খুব তারাতারি তা আপনার বাড়িতেও সংক্রমন করবে। সমাধানের উপায় অবশ্যই আছে: ১. আইনের প্রয়োগ: এই ধরনের বখাটেদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এই অন্যায় করতে সাহস না করে। এখানে অবশ্যই দেখতে হবে যে কোন রাজনৈতিক দলের নেতার ছেলে/নাতি যেন পাড় পেয়ে না যেতে পারে।

কারণ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছেলেরাই এইডা বেশী করে। ২. সরকারের সদিচ্ছা: সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টয়ই ব্যস্ত, তাদের সমস্ত ফোর্স বি.এন.পি-জামাতের নেতাকর্মীদের ধরতেই তৎপর। দেশ ভালোমত চালানোই যেখানে চ্যালেন্জের ব্যাপার সেখানে সরকার অপ্রয়োজনীয় কাজ নিয়েই ব্যস্ত। এটা সরকারের ব্যার্থতা ঢাকার একটা কৌশল মাত্র। সরাকারের উচিৎ যে সময় তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যয় করে সেই সময়ে যেন এই ধরনের সামাজিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।

৩. সামাজিক সচেতনতা: বখাটেরা কোন না কোন পরিবারের সন্তান। বাবা-মা যদি তাদের সঠিক ভাবে পরিচালনা করে তাহলে এর সমাধান অনেক সহজ হবে। ৪. বন্ধুদের সহায়তা: বখাটেদের বন্ধুরা যদি তাদের সহযোগীতা না করে তাহলে তার বখাটেপনা করতে পারবে না বা অসুবিধা হবে। আমরা অনেক সময় বন্ধুদের প্রেমে সাহায্য করি এটাও কিন্তু বখাটেপনা হতে পারে যদি মেয়ে না পটে যায়, আর পটে গেলেতো কেল্লা ফতে। ৫. নৈতিক জ্ঞান: তরুন সমাজের মধ্যে নৈতিক জ্ঞানের ঘাটতি যেন না থাকে সে ব্যাপারে পরিবার এবং সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে।

নিজ নিজ ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি আমি, আপনি, সে অর্থাৎ আমরা যদি বখটে পনা না করি তাহলে আর বখাটেপনা কেউ করবে না । এই রোগের বিদায় হবে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।