আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এত স্পর্ধার উৎস কোথায়?

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হলো ক্রু আর যাত্রি সাধারণের নিরাপত্তা। এর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন আছে, যা মেনে চলতে প্রতিটা এয়ারলাইন্স বাধ্য। কোন অবস্থাতেই যদি এই নিয়মের ব্যাতয় ঘটে, তাহলে সে এয়ারলাইন্সের লাইসেন্স বাতিল এবং ব্যাবসা বন্ধ করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ্যের আছে। কিন্তু আওয়ামী লিগের ক্ষমতায় আরোহনে বাংলাদেশকে বাপের তালুক মনে করা ইন্ডিয়ানরা সেসবের তোয়াক্কা করেনি। জিয়া বিমান বন্দরে কিছু ইন্ডিয়ান যাত্রি রীতিমত জি এম জি এয়ারলাইন্সে পাইলটকে জিম্মি করে, নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষন (যেটা বিমান উড্ডয়নের আগে অবশ্যই করতে হয়) ছাড়াই উড়তে বাধ্য করেছে।

এমনি জ্বলানি নেয়া এবং বিমান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় যাত্রিদের বিমান থেকে অবতরনের যে নিয়ম আছে, তাকেও তোয়াক্কা করেনি। উলটো ক্রু আর কর্মীদের সাথে চরম দুর্ব্যাবহার করেছে। ৯/১১ পরবর্তিতে বেসামরিক বিমান চলাচল আইনে পাইলট কিংবা ক্রুদের বিরুদ্ধে এ ধরণের আচরনকে সন্ত্রাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে বিচারে ভারতীয় যাত্রিদের তো আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সন্ত্রাসের দায়ে গারদে পোরা যেত। জি এম জি এয়ারলাইন্স অবশ্যই এ সব ঘটনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।

কিন্ত উপরের মহলের নিমরাজিতে তাদের করার কিচ্ছু করার ছিল না। আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় এসে যে ভাবে ভারতের পা চাটা শুরু করেছে, এটা তার আরেকটা নির্লজ্জ প্রমান। নতুবা নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ কিংবা আফ্রিকার কোন ছোটখাট বিমানবন্দরেও যদি কেউ এ ধরণের ঘটনা ঘটাতো, তাহলে সন্ত্রাস আইনে সেই সব মস্তানদের মস্তানি ছুটে যেতো। অথচ ইন্ডিয়ানদের সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করে, মুলত আরো বড় সন্ত্রাস ঘটানোকেই উৎসাহ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের উদিয়মান একটি এয়ারলাইন্সের ব্যাবসা লাটে উঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।

ভারতের সমর্থনপুস্ট আঃ লিগ ক্ষমতায় থাকলেও, কোন বাংলাদেশিদের কিন্তু ভারত এ ধরণের ছাড় দেবে না। আর এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের বিমান মন্ত্রি হবার কৃতজ্ঞতায় খুব দ্রুততার সাথে যে কাজটি আগে করেছিল, সেটা হলো রাতের আধারে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে শাবল দিয়ে জিয়ার মুর‍্যাল ভেঙ্গে ফেলা। অথচ আজ যখন আইন ভেঙ্গে ভারতীয় যাত্রিরা খোদ বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দরেই সন্ত্রাসি কর্ম চালালো, তখন জি এম কাদের ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে রইলো। আঃ লিগ ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয়দের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত। এর অন্তর্নিহিত কারণ বুঝতে বেশিদিন সময় লাগেনি।

তারই ধারাবাহিকতায় খোদ বিমানবন্দরে এই সন্ত্রাস করে ইন্ডিয়ানরা পার পেয়ে গেলো। ইন্ডিয়ানরা পাছায় লাত্থি দিলেও, ভারতপ্রেমে মগ্ন আঃ লিগ, দালাল আতেল গোষ্ঠি আর আঃ লিগের সমর্থকদের কিছু যায় আসবে না। কিন্ত আমরা যারা স্বাধীন সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের রক্তের প্রতি পুর্ণ সম্মান রাখি, তারা কেন আঃ লিগের গোলামির সাথে তাল মেলাতে যাবো? যথাযোগ্য প্রতিবাদ করে ইন্ডিয়ানদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে, আঃ লিগ মানেই বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ হলো ৩০ লাখ শহিদের যোগ্য উত্তরসুরিদের দেশপ্রেমের উজ্জ্বল শিখার নাম।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।