আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়েব সাইটে রাজনৈতিক দল ···

বাংলা কনভার্টার ডট কম

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে প্রযুক্তির চর্চা কতটুকু রয়েছে বা যতটা তারা বলছেন তার কতটুকু তারা অন্তরে লালন করেন। নাকি এগুলো শুধু কথার কথা। বর্তমানে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের ওয়েবে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে এরকম ছয়টি দলের ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে। দলগুলো হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, কল্যাণ পার্টি।

যদিও ইলেকশন কমিশনে ৩২টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত আছে। বাংলাদেশের প্রধান সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (http://www.aldb.org)-এর ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায় শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ওয়েবসাইটটি মূলত দলটির নানা অঙ্গসংগঠন, খবর এবং পত্রিকা ও ম্যাগাজিন প্রকাশিত আর্টিকেলে সমৃদ্ধ। অরগানাইজেশন নামে যে অপশনটি রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি ও দলটির উপদেষ্টা পরিষদের নাম রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও গঠনতন্ত্রের বিস্তারিত রয়েছে এই ওয়েবসাইটে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ওয়েবসাইটও মোটামুটি তথ্যবহুল। http://www.bnpbd.com নামের এই ওয়েবসাইটি ওপেন করলে হোম পেজে দেখা যাবে ইশতেহার ২০০৮, নানা উক্তি, দলটির ইতিহাসসহ আরও অনেক কিছু। ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও ্লোগানটি চোখে পড়ার মতো। বিএনপির স্থায়ী কমিটি, নীতিমালা, নানা অঙ্গসংগঠন ও জিয়াউর রহমানের ১৯ দফারও বিস্তারিত আছে এ ওয়েবসাইটে। এছাড়া বেশ কিছু বক্তব্যও পাওয়া যাবে বিএনপির ওয়েবসাইটে।

আপনি যদি কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন করতে চান, তবে সে অপশনও রয়েছে। শিগগিরই সেটির জবাব দেয়ারও কথা বলা হয়েছে সে জায়গায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট (http://www.jamat-e-islami.org)-এর হোম পেজে পাওয়া যায় দলটির নানা খবর, প্রকাশনা, অডিও-ভিডিও ফুটেজ ও আগামী সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার। ওয়েবসাইটটির সাইট ম্যাপে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস। নানা অঙ্গ সংগঠন, কমিটি এবং তাদের প্রত্যাশাও প্রাপ্তির কথা।

কমিউনিস্ট পার্টির (http://www.cpbdhaka.org) ওয়েবসাইট ওপেন করলে পার্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, বিভিন্ন খবর ও সাপ্তাহিক প্রকাশনা ‘একতার’ বেশকিছু প্রবন্ধ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশ (http://www.bikolpdhara.com) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির (http://www.bkp-bd.org) ওয়েব ঠিকানা থাকলেও তা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। একনজর যদি আমরা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের দিকে চোখ দিই তাহলে মনে হতেই পারে যে, এটি বাইরের দেশের কোন ওয়েবসাইট। http://www.ecs.gov.bd নামের এ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নাম। নিবন্ধনের তথ্য হিসেবে দেয়া আছে দলের নাম, প্রতীক, নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধনের তারিখ, সভাপতি ও মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদকের নাম, ফোন ও ফ্যা নম্বর।

তবে ই-মেইল ঠিকানার অপশনটি থাকলেও নিবন্ধিত প্রায় অর্ধেক রাজনৈতিক দলের সেই স্থানটি ফাঁকা রয়েছে। মাত্র ১৯টি দলের ই-মেইল ঠিকানা রয়েছে। দলগুলো হল জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ ইসলামী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। তবে আধুনিক যুগের রাজনৈতিক দল বা যারা নিজেদের অত্যাধুনিক বলে দাবি করেন এমন রাজনৈতিক দলগুলোর আইসিটি সম্পর্কে অমনযোগিতা সবাইকেই অবাক করেছে। এবারের নির্বাচনে প্রযুক্তি কি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে।

আর রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের ভেতরে প্রযুক্তি ব্যবহারের এরকম অনীহা ভাবিয়ে তুলছে সব মহলকে। তবে ওয়ান-ইলেভেনের পরে দেশে পরিবর্তনের যে ছোঁয়া লেগেছে, তা আগামী বছরগুলোতে আইসিটি সেক্টরকেও বহুলাংশে বদলে দেবে এমন প্রত্যাশা আমাদের সবার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.