আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই মগ্নতা



আজকাল ঘুমটা বোধহয় উড়েই গেছে ধূলোর সাগরে। মাঝে মাঝে এর অস্তিত্বের বিন্দু বিন্দু কণাই চোখে পরে শুধু। চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসবে, প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করবো, তবুও ঘূমের গোয়ার্তুমী দেখে প্রচন্ড ধমকে তাকে তাড়িয়ে দেব- আহা! কতদিন এমন ঘূমকে উপলব্ধি করি না! বুঝি না, উপলব্ধিবোধ কি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে নাকি ঘুমের কাতর অভিমান, অথবা সে সুদূরীঁকা হয়ে অপেক্ষা করছে তাকে কাছে টানবো বলে....... মানুষের জঙ্গল এ রাজধানীকে আর ভাল লাগে না। নাগরিক ব্যস্ততা, সীমাহীন যন্ত্রণা আর নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা শহরকে ছোট-খাটো নরক বলেই মনে হয়। প্রতিদিনই নিজেকে লেপ্টে রাখছি এই নরক বাক্সে।

মাঝে মাঝে শান্তি অবশ্য পাই, যদি হয় একপশলা স্নিগ্ধ ঘুম। যদিও ঘুম তার শান্তির আভা, স্নিগ্ধতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে অনেক আগেই। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় প্রার্থনা করি য়েন একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারি। স্নিগ্ধ ঘুমের যে আভা বিচ্যুরিত হয়, যে পরশ স্পর্শ করে তা আমাকে নিয়ে যায় এক শান্তিময় স্বপ্নের জগতে। আমি যা চাই স্বাপ্নিক জগত যেন তাই।

আমার ভাললাগা, ভালবাসা সবই যেন সত্যিকারের রূপ পায় সে জগতে। এ স্বপ্ন জগত বাস্তবতাকে বড় অপ্রয়োজনীয় করে তোলে। মনে হয়, প্রয়োজনইবা কি স্নিগ্ধতা বিবর্জিত বাস্তবতাকে? কিন্তু বাস্তবতা যে বড় রূঢ় আমকে যেন সেটাই বার বার মনে করিয়ে দেয় বাস্তবতার মাঝেই আছাঁড় মেরে। ফলে স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস দীর্ঘতর হয়, হতেই থাকে। আমি জানি স্বপ্নীল স্নিগ্ধতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়, বাস্তবতাকে তো আরো নয়।

আমার বেঁচে থাকার সঞ্জীবনী তো স্নিগ্ধ স্বপ্নময়তায়, যা আমার বাস্তবকে আরো বাস্তবময় করে তোলে। প্রেমের আলাপ, মানবিক বাসনা বা আকাঙ্খা, কামুকতা বা নিস্কামতা, খন্ড খন্ড ভাললাগা, সীমাহীন আনন্দ, ক্ষুঁদ্র ক্ষুঁদ্র অভিমান, যাতনা ইত্যাদি আমাকে স্বপ্ন ও বাস্তবের মাঝে মগ্ন করে রাখে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। তবুও বীজ বুনে যাই, ডুবে যেতে চাই মগ্নতায়। সুদূরীঁকাকে তো বড় প্রয়োজন, প্রয়োজন তার ক্ষুঁদ্র ক্ষুঁদ্র স্নিগ্ধতার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।