আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালেবান বনাম যুক্তরাষ্ট্র, কার জিত কার হার ?!



৯/১১ এর পর মার্কিনীরা বেশ চুটপাটের সাথেই আফগানিস্তান দখল করে নেয়। বুশ প্রশাসন তখন হুংকার ছেড়ে মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ক্রসেডের হুমকি দিয়েছিল। এরপরই বুশ রক্ত চোষা বাদুরের মত মুসলিম বিশ্বে নব্য রক্ষণশীলদের নীল-নকশা বাস্তবায়নের মিশন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। কথা ছিল আফগানিস্তানকে তালেবান মুক্ত করে সেখানে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয়া হবে। কয়েক বছরের মধ্যেই বুশ প্রশাসন বুঝে নিয়েছিল , যতটা সহজ মনে করা হয়েছে, বাস্তবে তা ততটা সহজ নয়।

মার্কিন সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়ার চিত্র বুশ আঁচ করেই ক্ষমতা থেকে বিদায় হয়েছে। এরপর কালো চামড়ার মানুষ ওবামার হম্বি-তম্বি বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করলো। ওবামা ঘোষণা দিলেন, ইরাক থেকে সেনা কমিয়ে আনা হবে এবং আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে আফগানিস্তানে বিজয় কেতন উড়াতেই হবে। তিনি কথা মত আফগানিস্তানে বাড়তি সেনা পাঠালেন।

মিত্ররাও ওবামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করলো। কিন্তু ফল কি হলো ? প্রতি দিনই এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর দুই-চার জন সেনা আফগানিস্তানে আত্ম উৎসর্গ করে চলেছে। তালেবান আতঙ্কে ন্যাটে সেনারা দিনের বেলায়ও এখন ঘুমুতে ভয় পায়। কাজেই পশ্চিমারা এখন আফগানিস্তানে শান্তির জন্য আত্মউৎসর্গ করতে বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুসিত সেক্যুলার দেশকে পাশে পেতে চায়। পাশে নয় বাংলাদেশের মত দেশের বীর সেনাদের কাধেঁ এই মহান দায়িত্বটা ছেড়ে দিতে চায়।

সম্প্রতি আফগানিস্তানের সরকার তালেবানদের সাথে সমঝোতার জন্য গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল মার্কিন জেনারেল পেত্রাউস ফাঁস করে দিলেন তারাই তালেবানদের সাথে এই আলোচনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। (সূত্র) প্রশ্ন হচ্ছে তালেবানদের সাথে এখন কেন সন্ধি করতে হচ্ছে ? কাথা না ছিল আফগানিস্তান থেকে তালেবানকে সমূলে উৎখাত করে সেখানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা হবে। ! মার্কিনীদের সেই তোড় জোড় এখন কোথায়? তাদের না এত শক্তি ! যদি সন্ধিই করতে হয় তাহলে গত ৯টি বছর তারা কেন এত নিরিহ মানুষ হত্যা করলো ? কেন দেশটিতে হামলা করে এত বিপর্যয় সৃষ্টি করা হলো? গত নয় বছরে আফগানিস্তানে শান্তি – শৃংখলা তো আসেই নি বরং প্রতি বছর পর্যায় ক্রমে অশান্তি ও বিশঙ্খলা সেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে। (সূত্র দেখুন) কাজেই ভারত,ইসরাইল,যুক্তরাষ্ট্র এসব জুজুর ভয় মানুষের মনে কৃত্রিমভাবে তৈরী করা হয়েছে।

কোন জাতি যদি দৃঢ়তার সাথে, আত্মসম্মান রক্ষার স্বার্থে এদের মোকাবিলা করতে দাড়িয়েঁ যায় তাহলে ওদের দৌড়াত্য ফুড়িয়ে যাবে। ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান,ইরাক, ভেনিজুয়েলা, ফিলিস্তিন, লেবানন আজ এরই প্রমাণ বহন করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.