আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

About Interior & Exterior

পড়েছে আকাল - কাকের শ্রাদ্ধে ঘি ঢাল। ব্রাত্যজনে তুমি রেস্টিকটেড, সোনাগাছীর জন্য আনলিমিটেড।

গৃহসজ্জায় রঙের ব্যবহার রঙের উৎপত্তি সূর্যরশ্মি থেকে, আলো সূর্যের ভিতর প্রবেশ করে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে বিভিন্ন রঙের সৃষ্টি করে এর মধ্যেই রঙের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই রঙ-ই আমরা ব্যবহার করি আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে। রঙের ব্যবহার সর্বত্র আসবাবপত্রে, কাপড়ে কোনটাতে নয়? এই রঙ কিভাবে ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলো হয় তার জন্য কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন।

মানুষের মনের বিকাশের উপর রঙের প্রতিফলন গাঢ় রঙ মানুষের মনকে বেশি আকষর্ণ করে, কারণ গাঢ় রঙ নজর কাড়ে বেশি। হাল্কা রঙ খুঁজে বের করতে হয়, তা নজরে আসে দেরিতে এবং এটা মনে গ্ধতার প্রভাব ফেলে। কনট্রাস্ট রঙ অথর্্যাৎ বিপরীত রঙ যেমন লাল-হলুদ, এই রঙ হাল্কা এবং গাঢ় দুই ধরণের হতে পারে। গাঢ় রঙের সমন্বয় হলে মানুষের মনের উপর প্রভাব ফেলবে। কারণ গাঢ় সব সময় নজরে পড়ে।

হালকা রঙের সমন্বয় সাধন করলে মনকে প্রফুল্ল করবে। গাঢ় রঙের অনুভুতি এক ধরণের, হাল্কা রঙের অনুভুতি আর এক ধরণের গাঢ় রঙ মনকে প্রতিহত করে আর হাল্কা রঙ প্রভাবিত করে, উভয় রঙ একত্রিত হয়ে টিন্ট এবং শেডের ছত্রছায়ায় মনের উপর সমঝোতার প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে ঘন রঙ মানুষের মনকে কখনও কখনও আচ্ছন্ন বা বিষন্নতর করে তোলে। হাল্কা রঙ মানুষের মনকে প্রফুল্লতার ছায়া ফেলে। রঙের ব্যবহার রুমের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন বয়সের প্রকার ভেদে নির্ভর করে।

যেমন- শিশুদের ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ গাঢ় হতে পারে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার হয় আসবাবপত্র। শিশুরা উজ্জ্বল রঙ পছন্দ করে। বয়স্কদের রুমের ক্ষেত্রে –ঘরের রঙ হাল্কা আকাশী, অফ-হোয়াইট এবং সাদাও ভাল মানান সই যেমন- FrenchGrey , Cream , Off-White ইত্যাদি। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং এক্সটেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে রঙের ব্যবহার সম্বন্ধে কিছু কথাঃ আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রঙ কিনে ব্যবহার করে শুরু করে দেই। কিন্তু কি ভাবে কোথায় কি রঙ ব্যবহার করা উচিত তা অনেকেই সঠিক ভাবে জানে না।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে বড় মাপের ঘরে কি ধরণের রঙ ব্যবহার করবেন বা ছোট ঘরেই রঙের প্রতিফলন কি ভাবে ঘটাবেন যাতে করে ঘরটিকে ছিনছাম এবং প্রশস্ত মনে হয় তা জেনে রাখা প্রয়োজন। যেমন বাজারের প্রচলিত রঙ কি ভাবে গাঢ় রঙকে হাল্কা রঙে অথবা সাদা রঙ মিশিয়ে শেডের পরিবর্তন করবেন এটাই আপনার ব্যতিক্রমধর্মী রুচিবোধের পরিচয় দেবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন হাল্কা নীল, হলুদ, পেষ্ট, গোলাপী, হাল্কা বেগুনি ইত্যাদি হাল্কা/মৃদু রঙ। যদি দেয়ালে কনট্রাস্ট আনতে চান তবে হাল্কা নীল দেয়ালের বিপরীতে হাল্কা হলুদ কনট্রাস্ট রঙ দিতে পারেন যেমন-ক্রীম/ধুসর হাল্কা-বেগুনি/পেষ্ট। হাল্কা-গোলাপী/ডিপ/ঘন গোলাপী।

এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কালার হুইলের সাহায্য নিতে হবে। বড় ঘরের দেয়ালে কনট্ট্রাস্ট রঙ অথবা/গাঢ় শেড খুব সুন্দর দেখাবে। সেই শেডের রঙের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে পর্দা , কার্পেট ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত। আসবাবপত্রের রঙ হতে হবে হাল্কা রঙ অথবা সেগুন বার্নিশ। ঘরের কার্পেট এর রঙ হতে হবে এক রঙ অথবা খুবই হাল্কা ডিজাইনের।

আপাতত ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সর্বত্র রঙের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার শেষ হল। এবার নজর দিতে হবে এক্সটেরিয়ার ডিজাইনের রঙের ব্যবহার সম্বন্ধেঃ আগেরকার দিনে বাড়ী ঘরে সাধারণত রেড অক্সাইডের, চুনের ব্যবহার বেশি হত, কিন্তু বর্তমান সভ্যতায় এর প্রচলন একেবারেই কমে গিয়েছে। আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে সর্বত্র, রঙের ব্যবহারের পুরান বাড়ীঘর হয়ে উঠেছে ঝলমলে, তকতকে। বাড়ী ঘর পরিবেশকে করেছে আধুনিক, সবুজ রঙের গাছ পালাও প্রাকৃতিক পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বাড়ীর বাইরে সাদা রঙের সঙ্গে কোন রঙের জুড়ি নেই, সাদা শুভ্রতার প্রতীক, সাদা রঙ রক্ষণাবেনের জন্য সুবিধাজনক, ধুলেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবং রঙ চটে যায় না।

এ কারণেই বড় বড় অফিস, হসপিটাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ইত্যাদি ধরণের প্রতিষ্ঠানে সাদা রঙের প্রচলন বেশি, বাহিরের রঙ হাল্কা ছাই এবং সাদা রঙের কম্বিনেশনও করা যায়। একটি আধুনিক অফিস তৈরী করতে হলে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবেঃ ১. আয়তন অনুযায়ী আসবাবপত্রের ধরণ এবং Requirements (চাহিদা)। ২. রুমের রঙ অবশ্যই হাল্কা হবে। যেমন- French Grey, Ice Blue, Snow White, Off White. অফিসের আয়তন অনুযায়ী রুমে রঙ নির্বাচন করতে হবে। অফিসে যদি কোন বাইরের আলো প্রবেশের পথ না থাকে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই হালকা রঙ ব্যবহার করতে হবে।

যে সমস্ত অফিসে Sky Light প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে সহজেই ব্যবহার করা যায়। French gray, Ice blue আরও অন্যান্য গাঢ় রঙ শেডের ব্যবহার। ৩. দেয়ালে Grove line করে হাল্কা কনট্রাস্টের একটি ব্যান্ড তৈরি করা যায়, এতে রুমে ভাব গম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। রুমের রঙের সঙে সামঞ্জস্য রেখে Venetian Blind লাগাতে হবে। ৪. ফার্নিচার লে আউটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন রঙের টাইলসের কম্পোজিশন করে ফ্লোর সাজাতে পারেন।

পছন্দ অনুযায়ী ফার্নিচার এবং দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিল রেখে সিনথেটিক কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। ৫. Air-conditioning এর সুবিধার্থে সিলিং হাইট কমিয়ে এনে এবং বিমগুলো যাতে বেমানান মনে না হয় সেজন্য অবশ্যই জিপসাম বোর্ড মিনারেল বোর্ডের ওভারঅল ফলস সিলিং ব্যবহার করতে হবে, কোন কোন জায়গায় ফার্নিচারের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করে বিভিন্ন স্পেস দিয়ে কাঁচের ফলস সিলিং ব্যবহার করলে খুবই সুন্দর দেখায়। ৬. পার্টিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ফেব্রিক্স, কাঁচ এবং কাঠের পার্টিশন, কাঁচ এবং থাই পার্টিশন, বেতের পার্টিশন, এছাড়া আপনার নিজস্ব পছন্দতো রয়েছেই। ৭. ফলস সিলিং এ Aluminum diffuser বিভিন্ন সাইজের ফলস সিলিং এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। কোন কোন জায়গায় Ceiling mountain energy save down light ব্যবহার করতে পারেন।

কোন কিছুকেই High light করার জন্য Halogen spot light ব্যবহার করলে আপনার অফিস হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়। ৮. অফিসের আয়তন অনুযায়ী Window type অথবা Split type A. C ব্যবহার করতে পারেন। ৯. অফিসে ঢোকার সম্মুখে কয়েকটি গাছের কর্ণার করলে খুবই মানানসই দেখায়। এছাড়াও অফিসের ভিতরে বিশেষ গাছ রাখলে ভিতরের সৌন্দর্য বহুলাংশে বেড়ে যায়। আপনি যখন চিন্তা করবেন একটি অফিস ভাড়া করবেন তখন টাকা/পয়সা অযথা অপব্যয় না করে কোন ডিজাইনিং ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের সু- পরামর্শ নিজের অফিস সুন্দর করে সাজান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।