আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট ল্যপটপ নেটবুক নিয়ে কতকথা। টিপস- দামদর

ক খ গ ঘ...

ল্যাপটপ নিয়ে লেখা আগের দুই পোস্ট পর্ব১- Click This Link ল্যাপটপ ইউজার দের কিছু কমন সমস্যা... ছোটখাটো সমাধান পর্ব২- Click This Link ল্যাপটপের যত্ন আত্তি- কিছু টিপস ________________________________________ দুনিয়াটা যেমনে ঘুরতেছে তাতে মাইনসের না ঘুইরা কোন উপায় নাই। আগে একটা সিন্দাবাদের জাহাজ আর তলোয়ার নিয়া বাইর হৈলেই হৈয়া যাইত। মাগার এখন বাইর হৈতে হলে চিন্তা করতে হয়- বস এ রাস্তার মধ্যেই দাবড়ানি দিবার পারে আর তাতে আমাগো ছোট মাথার বিশাল বিশাল প্রসেসর প্যাচ খায়া হ্যাং হৈয়া যাইতে পারে। যাক আসল কথায় আসি। মোবিলিটির প্রয়োজনে আমাদের প্রয়োজন এমন এক যন্ত্র যা বহনযোগ্য হালকা, দরকারি কাজের কাজী, আর সেই সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেটা চলতে পারবে অনেক্ষন।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ল্যাপটপ নোটবুক এই চাহিদা পূরন করলেও মানুষের দরকার আরো পোর্টেবিলিটি। তাই এসেছিল নেটবুক- আরো হালকা আরো বেশি ব্যাটারি ব্যাকাপ। যদিও খুব শিঘ্রীই বাজারে রাজত্ব করবে আইপ্যাডের মত ট্যাবলেট পিসি। নোটবুক আর নেটবুকের মধ্যে সাধারন পার্থক্য হল- নেটবুক অনেক হালকা ( ০.৯ কেজি থেকে ১.৪ কেজি এর মধ্যে) ব্যাটারী ব্যাকাপ বেশি ( সাধারনত ৬ ঘন্টা তবে ৮-৯ ঘন্টার গুলাই বেশি চলে। ) দাম কম মনিটর স্ক্রীন সাইজ ছোট( ৭ইন্চ থেকে ১১.৬ ইন্চ, যদিও এখন স্ট্যান্ডার্ড হল ১০.১ ইন্চ) মাল্টিটাস্কিং এ ভাল না( স্লো প্রসেসরের কারনে) ভাল গেম খেলা যায় না, উচিতও না।

গ্রাফিক্স বা সিমুলেশন সফটওয়ার চলে শামুকের পিঠে বস্তা চাপায় দিলে যেমন হয় তেমন ভিএলসি প্লেয়ার আটকায়ে আটকায়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাভার করা হয় ইন্টেল এটম প্রসেসর ( Click This Link ) , তবে কিছু কিছু (১১.৬ ইন্চ মনিটর আলা গুলায় )ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয় সেলেরন বা ডুয়েল কোর প্রসেসর, সেগুলার দাম বেশি। ডিভিডি রম থাকে না, তবে কিছু কিছু (১১.৬ ইন্চ মনিটর আলা গুলায় ) ডিভিডি রম থাকে, স্বাভাবিক ভাবে দাম অনেক বেশি। নেটবুক আর নোটবুকের পার্থক্য দেখতে ইন্টেলের লিনক- Click This Link নেটবুক মূলত হালকা ধরনের কাজের জন্যই ব্যাভার করা হয়। অনেকই ব্যাকাপ হিসেবে ডেসক্টপ বা নোটবুক রাখেন। দরকারেই রাখা উচিত।

কারন নেটবুকে আপনি সব কাজ করতে পারবেন না। কেনার আগে তাই আপনার হিসাব করা উচিত কি কি কারনে আপনি নেটবুক টা কিনতে চাচ্ছেন। এটম প্রসেসর নিয়ে কিছু কথা এটম প্রসেসর মূলত মোবাইল প্রেসেসর। আজকাল অনেক হ্যান্ডসেটেও এটম প্রসেসর ইউজ করা হয়, যেমন সনি-র এক্সপেরিয়া। তাই এর কাছ থেকে বেশি আশা করা ভুল।

সেলেরনের চাইতে এটম অনকাংশে স্লো, তবে পাওয়ার খুব কনজিউম করে। এগুলা যখন কাজ করে না তখন পাওয়ার এত কম নেয় যে ব্যাটারি চার্য রিমেইনিং দেখায় ১৪ ঘন্টা !!! আর হ্যা এই প্রসেসরগুলা বিল্ট ইন থাকে মাদার বোর্ড এর সাথে। ডিভিডি রম এবং অপারেটিং সিস্টেম ডিভিডি নাই দেখে হা পিত্যেস করার কোন দরকার নাই। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ৪-৫হাজার টাকায় ইউএসবি ডিভিডি রম কিনটে পাওয়া যায়। যারা বেশি বিজি বা সেটাপ দিতে ঝামেলা মনে করেন তাদের উচিট হবে অবশ্যই জেনুইন ওএস এক্সপি নেয়া।

কারন এগুলা হার্ড ড্রাইভেই ব্যাকাপ ওএস থাকে প্রয়োজন মত ওএস রিকভার অপশনে ক্লিক করলে আপনা আপনিই সেটাপ শুরু হয়ে যায় আর ৩০মিনিটের মধ্যেই ড্রাইভার, বেসিক সফওয়ার সহ ইন্সটল হয়ে যায়। তবে আমার পরামর্শ হল সেভেন না ইউজ করা, এতে স্লো পারফরমেন্স মনে হবে। অবশ্য সেভেনের একটা বেসিক ভার্সন আছে, ওটা ভালই তবে ওটাকে সেভেনের ছায়া মনে হয় , সেভন ব্যাভারের আসল অনুভুতি আসে না। ব্যাটারি অবশ্যই ৬ সেল নেবেন , এতে ব্যাকআপ ৬-৮ ঘন্টা পাবেন। আর যদি ৩ সেল নেন তাহলে পাবেন মাত্র ২.৫ ঘন্টা মত।

তাই দাম বেশি দিয়ে হলেও ৬ সেল নেবেন। আমি একটা এসার এস্পায়ার ওয়ান ব্যাভার করি । ব্যাকাপ ৭ঘন্টা দেয়। তবে কাজ বেশি করলে কম দেখায়। আমি ইজিলি ২ঘন্টার ৩ টা সিনেমা দেখে ফেলতে পারি।

কুলিং ফ্যান যে কোন ল্যাপটপ কেনার সময় খায়ল রাখবেন এর কুলিং ফ্যানটা যেন সাইডের দিকে থাকে, অনেক লয়াপটপে নিচের দিকে থাকে এতে যেটা হয় সেটা হল , গরম বাতাস বেরোতে সমস্য হয়। অনেকে বিছানা বা বই এর উপরে রেখে ইউজ করেন, এটা ঠিক না। কাচ বা প্লাস্টিকের শক্ত শিটের উপর ব্যাবহার করা যায়। সবচে ভাল হল লয়াপটপ কুলার কেনা। এর দাম বেশি না।

৬০০-৩০০০টাকা। আর পায়ের উপর রেখে ইউজ করলে অনেকর ভবিষ্যত প্রজন্ম আনার ফ্যাক্টরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে কী বোর্ড নেটবুকের কীবোর্ডগুলার কী সাধারনত খুব ছোট হয় বলে এতে টাইপ করতে ঝামেলা লাগে। কেনার পর ইউজ করতে সমস্যা মনে হতে পারে। আমি অবশ্য বড় সাইজের কী আছে এমন নেটবুক বেছে কিনেছি। টাইপ করতে কোন ঝামেলা লাগে না ব্যাগ বেশিরভাগ নেটবুকের সাথেই কোন ব্যাগ দেয়া হয় না, তবে একটা পাউচ দেয়া হয়।

অনেকেই অফিসের ব্যাগে নেটবুক নিয়ে ঘোরেন, সেখানে অবশ্যই ঐ পাউচের মধ্য লয়াপটপ রেখে তবেই অফিস ব্যাগে রাখবেন। তবে শুধু ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরতে হলে একটা ব্যাগ কিনে নেয়া ভাল। বাংলাদেশের বাজারে এখন যে নেটবুক গুলা পাওয়া যায় তার সাধারন স্পেকস টা হল - এটম প্রসেসর ১.৬৬ গিহার্য ১জিবি র‌্যাম ১০.১ ইন্চ স্ক্রীন ৬ সেল লিথিয়াম ব্যাটারি ১৬০জিবি হার্ড ড্রাইভ দামদর কিছু চাইনিজ ব্রান্ড আজকাল পাওয়া যায় - হাছি, ফাউন্ডার। এগুলার দাম ২২০০০-২৭০০০টাকার মধ্যে এইচপি , ডেল এগুলা ২৮০০০-৩৩০০০টাকা এসার ২৫৫০০-৩০৫০০টাকা আসুস লেনোভো ২৬৫০০-৩১০০০টাকা কিছু কিছু ব্র্যানড আবার সেলেরন ( যেমন এসার) দিয়েও নিয়ে এসেছে। স্পেকস এ কেউ ২৫০জিবিও দিচ্ছে, ৩সেল ব্যাটারিও দিচ্ছে।

আবার অনেকগুলায় জেনুইন উইনডোস থাকে না। ইদানিং কিছু বের হয়েছে টাচ। যদিও টাচ ব্যাবহার করতে ভয় লাগে আমার । তবে আমার জানামতে নেটবুক নস্ট হয় কম। আর রাফ ইউজ ভালই করা যায়।

------------------------------------- মাথায় আরো কিছু আসলে এড করে দিব ধন্যবাদ কৃতগ্গতা মন মণষা - আমারে তাগাদা না দিলে জীবনেও লিখে শেষ করতে পারতাম না। আমার নেটবুক থেকে পোস্ট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।