আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প : বয়স

আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি।

“সস্তায় রোদ চশমা কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন? কথাটা শুনে পিছনে তাকালাম। মাঝবয়সি একটা লোক। রোদে ঘামে একাকার হয়ে একটু বিরক্তই হলাম। আমার বিরক্তি মনে হয় টের পেয়ে গেছে “আচ্ছা থাক আমিই খুঁজে নিচ্ছি”।

লজ্জা পেলাম। “ওই যে রাস্তার ওপারেই পাবেন”। নিজের মনে বিড়বিড় করে রাস্তা পার হয়ে চলে গেল। আমিও নীলক্ষেতের দিকে পা বাড়ালাম। ভয়াবহ একটা জায়গা নীলক্ষেত,এই এলাকার মানুষরা স্পেশালভাবে ঘামের গন্ধ ফেরি করে।

বিরানীর ঘ্রাণ,ঘামের ঘ্রাণ মিলেমিশে ভয়াবহ পরিবেশ। কোন অন্ধ মানুষকে এনে নীলক্ষেত ছেড়ে দিলে কেবল ঘ্রাণ নিয়ে বলে দিতে পারবে সে এখন নীলক্ষেতেই আছে। দ্রুত কাজ শেষ করে হাঁটা শুরু করলাম। বলাকা সিনেমা হলের সামনে এসে থমকে যেতে হলো। সেই লোকটি,এখনও চশমা বাছাই করছে।

অদ্ভুততো!গিয়ে তার পাশে দাড়ালাম। আমার শব্দ শুনে মাথা বাঁকিয়ে “ও আপনি” বলেই আবার নিজের কাজে মন দিলেন। আমি দাড়িয়েই রইলাম। -এবার বলুন,আমি আহমেদ ফয়েজ -আমি হাসান মুর্শিদ ফয়েজ সাহেবের হাতে সদ্য কেনা রোদ চশমা। বয়সের সাথে ঠিক যাচ্ছে না।

কিছুটা কৌতুহলি হয়ে তাকালাম চশমার দিকে। তিনি আবার ধরে ফেললেন “ও হ্যাঁ এটা আমার ছোট ছেলের জন্য,বেচারার খুব সানগ্লাস দেবার শখ। তা আপনি কি করেন? -মাষ্টার্স পড়ছি -বাহ বেশ,আমি ৩৫ বছর আগে এটা চুকিয়ে এসেছি। বড্ড মিস করি বুঝলেন। জানা গেল ভদ্রলোক পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স মাষ্টার্স করেছেন।

গেল বছর চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে এখন নতুন করে আবার বেকার। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান। দিন শেষে বাড়ী ফিরে সবকিছু অপরিচিত লাগে। “চলুন চা খাওয়া যাক,এদিকটা খুব একটা সুবিধার না। চলুন বরং একটা রিকশা নিয়ে ধানমন্ডি ৮ নম্বর চলে যাই” আমি কিছুটা কনফিউজড।

ঢাকা শহরে অপরিচিত কারো সাথে চা খেয়ে সময় নষ্ট করা রীতিমত আহাম্মকির পর্যায়ে পড়ে। তবুও লোকটার কথা শুনতে বেশ ভালো লাগছে। নিজের মত করে একটা কাঠামোও দাড় করে ফেলেছি। বেচারা অবসর নিয়ে ভীষণ কষ্টে আছেন। পরিবার থেকে গুরুত্ব হারিয়েছেন কিছুদিন হলো।

ইদানীং ছেলেমেয়েদের সাথেও দূরত্ব বাড়ছে। ছোট ছেলেটাকে নিয়ে আবার স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছেন। রিকশায় উঠেই শুরু করলেন “বুঝলেন হাসান সাহেব,পৃথিবীটা কাজের জায়গা,এখানে অবসর পালন করাদের কোন গুরুত্ব নেই। বেকারদেরও” বুঝলাম আমার কথা প্রায় সত্য। নিজের পর্যবেক্ষনে নিজেই গর্বিত।

এ শ্রেণীর লোকেরা খুব বেশী কথা বলেন। আমার উত্তরের জন্য একটুও অপেক্ষা করলেন না। নিজে থেকেই আবার বলা শুরু করলেন “ক’দিন পরেই আপনি পুরোপুরি বেকার,তখন আপনার কোন দাম নাই। ফুটপাথের হকাররাও আপনার চেহারা দেখে বুঝে ফেলবে। বাজে ব্যবহার করবে।

দামাদামি করবে না। বলবে কিনলে কিনেন,না কিনলে ফুটেন”। বেচারার সব অভিজ্ঞতা থেকে, তাই দ্বিমত পোষন করার কারণ দেখছি না। ইতোমধ্যে আমি বেকার। ফুটপাথের হকার থেকে বাসার সোফায় বসে থাকা বাবা সবার একই আচরণ দেখে আসছি।

একটা মুচকি হাসি দিলাম। -হেসে লাভ নাই,আচ্ছা আমি বরং তোমাকে তুমি করে বলি। -হুম বলেন,আমিও তাই চাইছি -শোন আমি বিয়ে করি ২৮ বছর বয়সে,মাষ্টার্স শেষ করে তখন সবে চাকুরীতে ঢুকেছি। পাঁচ বছরের প্রেমের সফল পরিণতি। সাড়ে চার বছরের মধ্যে বড় মেয়েটার আগমন,বছর সাতেক পর মেঝো ছেলের আগমন।

জীবনে সবাই ভুল করে। আমিও করেছি। যৌবনের শেষের দিকে এসে ভুলে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছি ছোট ছেলেকে। -ভুল বলছেন কেন? -আমার বয়স বাষাট্টি,তার বয়স সাড়ে তিন -এতে সমস্যা কি? -তোমার চাচীর বয়স সাতান্ন,সবকিছুর একটা সময় থাকে,বাচ্চা লালন পালন করার একটা সময় থাকে। আমরা দুজনেই মনে হয় সময়টা পেরিয়ে এসেছি।

দাদা হবার বয়সে বাবা হবার দুর্ভাগ্য না হলে বুঝানোর সাধ্য নাই। ব্যাপারটা ঘোলাটে। এসব আমি বুঝিনা। জীবনের বেশীরভাগ অংশই দেখিনি। তবুও বুঝার চেষ্টা করছি।

চৌত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছোট ছেলের বয়স মাত্র সাড়ে তিন। এটাতো ভালো হবার কথা। পুরানো সংসারে নতুন বন্ধন। দুকাপ চায়ের অর্ডার দেয়া হয়েছে। একটা চিনি ছাড়া।

চিনি ছাড়া চা বয়সের কথা বলে,ঘনচিনির চা যৌবনের কথা বলে। -সোনার সংসার বুঝো হাসান? -না বুঝি না -না বুঝলে বুঝাতে পারবো না,তবে আমার সোনার সংসার। এখনও সোনার সংসার। কেবল কিছু ঝামেলা হয় আরকি। ওসব বয়সের দোষ।

তোমরা যেরকম বয়সের দোষে পাপ কামাও,আমরাও বয়সের দোষে পাপ কামাচ্ছি। বয়সের দোষ আসলে দু রকমের। যৌবনের আর বার্ধক্যের। তবে তার পাপ কামানোর ব্যাপারটা আমি ক্লিয়ার না। জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে না।

বেশী কথা বলা মানুষরা অবশ্য জিজ্ঞেস করবার আগেই বলে দেয়। বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না তিনি শুরু করলেন “কাজের মানুষদের উপর সব ছেড়ে দেয়া যায়,তবে সন্তানের ভবিষত না। যাকগে আজ উঠবো,ছেলেটার স্কুল ছুটির সময় হয়েছে। আজকাল চোখ ফুটতেই স্কুল। তোমার ফোন নম্বরটা দাও।

মাঝে মাঝে ফোন দিবো” বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম। লোকটাকে নিয়ে ভাবার সময় নেই। ভুলেই গিয়েছিলাম আনিকার বাসায় যাবার কথা। তার বাবার সাথে দেখা করার কথা ছিলো। ফ্রেশ হতে হবে,নইলে এমনিতেই বেকার ছেলে তার উপর এই চেহারা দেখে গাঁজাখোর বলে তাড়িয়ে দিবেন।

ফয়েজ সাহেব প্রায় ফোন দিতেন। মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তই হতাম। ফোন দিলে এক ঘন্টার আগে কিছুতেই রাখতেন না। তার পরিবারের কথা শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত। কোন বেলায় তার বউ কি রেঁধেছে তা পর্যন্ত আমার মুখস্ত হয়ে গেছে।

গতরাতে মাছের মাথা দিয়ে লাউয়ের তরকারিটা বেশ সুস্বাধু ছিলো। তবে তিনি বেশী খেতে পারেন নি। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন দিয়েছিলো এই মাসে আসবার কথা। মেঝো ছেলে বউ নিয়ে আমেরিকাতে,এ বছর আর আসবে না। বিরক্তি আমার গায়ের লোম দিয়ে ঘাম হয়ে বেরুচ্ছে।

কিন্তু কে বুঝে কার কথা। মুখের উপরতো আর বলা যায় না ফোন রাখেন। মাঝে মাঝে অবশ্য আমার কথাও শুনছেন। তার কথায় বিরক্ত হলেও আমার আর আনিকার প্রায় সাত বছরের প্রেমের কথা তাকে বলতে একটুও বিরক্ত হলাম না। তবে তিনি চালাক মাঝে মাঝেই বলছেন “হাসান তোমাকে বিরক্ত করছি নাতো,বিরক্ত করলে বলবে কিন্তু” -নাহ!! আঙ্কেল,বলুন -শোন ছেলেটাকে গতকাল বিকালে বুয়া নাকি থাপ্পড় দিয়েছে,তোমার চাচী অবশ্য এতে খুব খুশী।

-খুশী কেন? -হাহা সে মনে করে এটা আমার সন্তান,তার না,সে কেবল পেটে ধরার কাজটুকু করেছে। তার দুই সন্তানই যথেষ্ঠ। আর দরকার নাই। -সেকি! কেন? আচ্ছা আঙ্কেল একটা প্রশ্ন করি? -করো? -তার বড় ভাই বোনেরা তাকে আদর করে না? -আদর? হুম করেতো! তবে লজ্জার জন্য আদর প্রকাশ করতে পারে না। শেষ বয়সে তাদের বাবা আবার বাবা হয়েছে ব্যাপারটা তাদের জন্য লজ্জার।

বন্ধু বান্ধব নাকি খোঁচা দেয় প্রায়। বড় মেয়ের জামাই নাকি তার পরিবারে মুখ দেখাতে পারছে না। নিজের বুড়ো শ্বশুড় বাবা হয়েছে,নবজাতক শ্যালককে মেনে নিতে পারেন নি। বুঝলে হাসান,আমার বয়স আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেল। মানুষ কষ্ট পেলে আপনজনকে বলে।

আমি বোধহয় লোকটার আপনজন হয়ে উঠছি। আনিকার বাবা আমাকে পছন্দ করেননি। তিনি নাকি দুটো জিনিস দেখেন। এক. আউটলুক দুই.সেলারী। আমার জন্য সেলারীর ব্যাপারটা বাদ গেছে।

তিনি দেখবেন আমার সেলারীর সম্ভাবনা। দুঃখের বিষয় হবু শ্বশুড় সেটা দেখতে পাননি। তাই আমি বাদ। -আঙ্কেল চলে আসুন আজকে,এক সাথে চা খাই ও পাশ থেকে শব্দ করে হাসলেন ফয়েজ সাহেব। চায়ের দাওয়াত গ্রহণ করে বিকালে আসতে রাজি হলেন।

দুজনেই চা খাচ্ছি। কিছু একটা রহস্য আছে,বারবার পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি কেবল। প্রশ্ন করা অবান্তর। উনি নিজেই সব বলবেন। “শোন হাসান,আমার বড় মেয়ের নাম লিজা” -হুম -এবং সে আমার মেয়ে না, -মানে? -দত্তক নিয়েছি, -আচ্ছা -মেঝো ছেলের নাম সীমান্ত এবং সেও আমার ছেলে না।

-দত্তক সেও? -এক প্রকার বলতে পারো। আমার খালাতো বোনের ছেলে। খালাতো বোন গরীব। মৃত্যূশয্যায়,স্বামী পরিত্যক্ত। আমিও নিয়ে নিলাম।

কারণ ডাক্তার বলেছে আমি সন্তান জন্মদিতে ব্যার্থ। ফয়েজ সাহেবের গলা ধরে এলো। আমারও বলার কিছু নেই। দুঃখ আক্রান্ত মানুষকে কিছু জিজ্ঞেস করবার নিয়ম নেই। প্রকৃতি তাদের বলিয়ে ছাড়ে।

-আমার ছোট ছেলের নাম অংকন,বয়স ছয় বছর -সেও কি? -ষ্টুপিড কোথাকার,আমার সন্তান,আমার বীর্যের! কিছুটা চুপসে গেলাম। কিছু বলার ভাষা নেই। তিনি বলবেন,প্রকৃতি বলিয়েই ছাড়বে। একটু পরেই দুঃখ প্রকাশ করবেন,করেই হড়হড় করে সব বলে দিবেন। -দুঃখিত হাসান,আমি ভাবিনি,অংকন একটি দূর্ঘটনার নাম।

একটি অহেতুক দূর্ঘটনা বলতে পারো। তার বড় ভাই বোনেরা জানেনা আমি তাদের বাবা না,আমি কেবল অংকনের বাবা। অথচ তারা মেনে নিতে পারছে না। তাদের সম্মানে লাগছে। ফয়েজ সাহেব কন্ঠস্বর কিছুটা চড়ে গেছে।

অংকনকে দেখতে ইচ্ছা করছে। বলেই ফেললাম ইচ্ছার কথা। তিনি হাসলেন। একটা খাম ধরিয়ে দিলেন হাতে “শোন হাসান এই খাম খুলবে না,আজ সতের তারিখ,ঠিক বিশ তারিখ রাতে তুমি খুলবে” কথাটা বলে তিনি চলে গেলেন। খাম হাতে নিয়ে ভাবছি।

এরকম ব্যাপারে কৌতুহল দমিয়ে রাখা সহজ না। তবুও খুললাম না। বাসায় গেলাম দ্রুত। খামটা বারবার চোখে পড়ছে। উপায়ন্ত না দেখে খুলেই ফেললাম।

একটা সাদা কাগজ। পেন্সিল দিয়ে লিখা “দুঃখিত,আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বয়স,আমি তোমাকে ফাঁসিয়ে দিলাম। ভালো মানুষদের ফাঁসিয়ে দিতে হয়” কিছুই বুঝলাম না। তবে আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে আমি বিপদে পড়তে যাচ্ছি। দ্রুত ফয়েজ সাহেবের মোবাইলে ডায়াল করলাম।

বন্ধ। সারারাত ডায়াল করে গেলাম। একবারের জন্যও খোলা পাইনি। রাতে ঠিকঠাক ঘুমও হলো না। যখনই পারছি ডায়াল করেই যাচ্ছি।

সে একই যন্ত্রত্তোর। কিছুটা অস্থির লাগছে। বুঝে উঠতে পারছি না কিভাবে তিনি আমাকে ফাঁসিয়ে দিলেন। আমার বিশ্লেষন ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল। সন্ধ্যা ছ’টার দিকে একটা ফোন আসলো।

ইন্টারভিউর ফোন ভেবেই রিসিভ করলাম। ইদানীং অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আস। লেই ভাবি চাকরীর জন্য ডাকছে। -হ্যালো আসসালামু আলাইকুম -হাসান বলছেন? -হুম বলছি -আহমেদ ফয়েজকে চিনেন? -হুম চিনি -তিনি কাল রাতে খুন হয়েছেন,তবে আত্নহত্যাও হতে পারে। তার মোবাইলে আপনার নম্বর পাওয়া গেছে।

ডায়াললিস্টে কেবল আপনারই নম্বর ছিলো। আপনি একটু থানায় আসেন,সামান্য জিজ্ঞাসাবাদ আছে। হুম আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন ফয়েজ সাহেব। পালিয়ে যাবো কিনা ভাবছি। ফয়েজ সাহেবের দেয়া সেই সাদা কাজগটা আবার উল্টে পাল্টে দেখছি।

আবার ফোন বেজে উঠলো। বিদেশী নম্বর। ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিভ করলাম “হ্যালো” -হ্যালো,হ্যালো আমি সীমান্ত,ফয়েজ সাহেব আমার বাবা। খুব বেশী অবাক হলাম না এবার। তবে বুঝতে পারছি না তিনি কেন ফোন দিলেন আমাকে।

আমার নম্বরটাই বা পেলেন কোথায়। বিদেশ থেকে ফোন দিলে মানুষের চিৎকার করে কথা বলার অভ্যাস। আমিও বললাম “জ্বি সীমান্ত সাহেব বলেন -আপনিতো জানেন বাবা মারা গেছেন? -হুম একটু আগেই শুনলাম। -বাবা মারা যাবার আগে আমাকে মেইল করে সব বলে গেছেন। আপনি আপনার দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারেন।

-কিসের দায়িত্ব? -স্টুপিড কোথাকার। বিয়ের আগে অকাম করে বাচ্চা পয়দা করবা,সেটা আবার অন্যকে পালতে দিবা। এখন আবার বলো কিসের দায়িত্ব তাই না? শোন তোমার অবৈধ সন্তান অংকনকে নিয়ে যাও। মাকে আমি আমেরিকায় নিয়ে আসবো। ফোন কেটে দিলাম।

শরীরে শক্তি নেই। ভালো মানুষদের ফেঁসে যেতে হয়। এভাবে ভালো মানুষের সার্টিফিকেট পাবো ভাবিনি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.