আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের মন্ত্রী সাহেবের নির্দেশ! (হরতালকারীদের বাড়িতে গিয়ে হত্যা করতে হবে!)

https://sphotos-b.xx.fbcdn.net/hphotos-ash3/1044271_677079348975727_901576309_n.jpg

সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (লতিফ সিদ্দিকী। ) তাঁর দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে শেষ নির্দেশ দিয়েছেন। "কেউ হরতাল ডাকলে হরতালকারীকে বাড়িতে গিয়ে হত্যা করে আসতে হবে!" সে এমন এক সময়ে এমন একটা নির্দেশ দিয়েছে যখন দেশ একটু একটু করে অস্থিরতার দিকে এগুচ্ছে। বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরের অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, গুম, জেল, জুলুমে জনগণ যখন অতিষ্ট তখন তাঁর সেই নির্দেশ অস্ত্রধারী দলীয় সন্ত্রাসকে কতখানি উস্কে দেবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। আমার মনে হয়না পৃথিবীর এমন কোন দেশ আছে যেখানে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে প্রকাশ্যে দলীয় সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেয়! সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত ছিল! তাঁর উপস্থিতিতে একজন এ ধরনের বর্বরচিত বক্তব্য প্রধান করে পার পেয়ে যাওয়া মানে হল সেই বক্তব্যে তাঁরও সমর্থন ছিল।

আর তাঁর সমর্থন থাকা মানে হল সরকারের সাথে জনগণের যুদ্ধ ঘোষনা। _________________________________________ (পুরনো পোষ্ট। ) আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। বিনা বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করার অধিকার কিন্তু পুলিশের নাই। এ দেশের জনগন সারাজীবনই আন্দোলন করে এসেছে।

সবগুলি আন্দোলনই ছিল সরকার বিরোধী। জনগনের সেই আন্দোলনের কাছে বাংলাদেশের কোন সরকারই কখনো মাথা নত করেনি। নির্বিচারে হত্যা করেছে সাধারণ মানুষদের। কখনোই সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ার মূল্য দেয়নি সরকার। নিজের আসন পাকা পোক্ত করার কাজে সর্বদাই তারা জনগনের একটা অংশকে কাজে লাগিয়েছে।

জবাবদীহিতার প্রশ্নে তারা সেই সকল মানুষদের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়েছে "দেখ জনগন আমাদের সাথে আছে। " সেই তথাকথিত সরকার সমর্থিত জনগনের একটা অংশকে ক্ষমতা দিয়ে বানানো হয়েছে বিশেষ বাহিনী। কেউ কেউ তাদের নাম দিয়েছে রক্ষি বাহিনী। কেউ নাম দেয়নি। কিন্তু তাদের কাজ সবসময় একই।

সরকারের অযৌক্তিক এবং অবৈধ কাজকর্মকে জনগন সেজে বৈধতা দেওয়াই তাদের কাজ। ক্ষমতার দাপটে মিডিয়াগুলোকে বানিয়েছে সরকারের পা চাটা গোলাম। যারা স্বাধীন থাকতে চেয়েছে নানান ভাবে তাদেরকে হয়রানি করেছে। অত্যাচারের খর্গ নেমে এসেছে সেই সব মিডিয়াতে। পুলিশ বাহিনী কে ব্যাবহার করেছে বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে।

স্বাধীনতার রক্ষক সরকারই সবসময় হরন করেছে জনগনের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের যে কোন মানুষই সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার অধিকার রাখে। দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অধিকার রাখে। জনগন যদি অযৌক্তিক কোন দাবী নিয়েও আন্দোলন করে সরকার বাধ্য জনগনের দাবীগুলো কেন অযৌক্তিক তা ব্যাখ্যা করা। তাদের বুকে গুলি চালানো নয়।

আজ পর্যন্ত সারাদেশে শতাধিক লাশ পড়েছে পুলিশের গুলিতে। তাদের অপরাধ ছিল তারা রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদ করার জন্য। যদি তাদের সেই প্রতিবাদ অযৌক্তিকও হয় অবৈধ কিন্তু না। সেই শতাধিক লাশের কয়েক হাজার স্বজন আছে। কয়েক হাজার বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জন আছে।

সবাই যদি রাষ্ট্রের কাছে তাদের স্বজন হত্যার কারণ জানতে চায় রাষ্ট্র কি জবাব দেবে? আবেগ অনেক আশ্চর্য্য একটা অনুভুতির নাম। সেই আবেগের সাথে প্রতিশোধের নেশা মিলিত হলে একজন মানুষকে ভয়ংকর হিংস্র বানিয়ে দিতে পারে। নিহতের স্বজনরা যদি কখনো হিংস্র প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে রাস্তায় নামে। জনগনের টাকায় কেনা সরকারের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষনা করে তখন কি সরকারের রক্ষিবাহিনী প্রতিরোধ করতে পারবে? দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ আজরাঈলের বুকে লাথি মেরে হলেও নিজের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করে। (শাহজাহান আহমেদ)



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.