আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পী ও সাংসদ মমতাজের আপত্তির কারণে মানিকগঞ্জে ৫০ মেগাওয়াট বিদু্ত কেন্দ্র নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে



মানিকগঞ্জ নিউজ ডটকম : প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহনে একজন সংসদ সদস্য আপত্তি দেয়ায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা । বাংলাদেশ পল্লী বিদুৎতায়ন বোর্ড নিজস্ব অর্থায়নে এই পাওয়ার প্লানটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত ও ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, সিংগাইর উপজেলার ধল্লা মৌজায় কুইক পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ একর জমির ওপর একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জায়গা নিবার্চন করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। প্রথমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্য নেয়া হে য়ছে এই কেন্দ্র থেকে। কেন্দ্রটি স্থাপনে খরচ হবে প্রায় আড়াইশত কোটি টাকা।

পরবর্তীতে এটিকে আড়াইশ’ মেগাওয়াটে উন্নিত করা হবে। সে সময় খরচ হবে প্রায় ১২ শত কোটি টাকা। প্রকল্পের সব অর্থই দেবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির সিংগাইর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান,সিংগাইরের এই বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে না। মানিকগঞ্জ ও ধামরাইয়ের চাহিদা মেটানোর জন্যই পাওয়ার প্ল্যানটি স্থাপন করা হচ্ছে।

এদিকে জমি নির্বাচনের পর অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে মানিকগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বিদ্যুত,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: এনামুল হকের বরাবরে আপত্তি জানিয়েছেন। তার নিজস্ব প্যাডে দেয়া ও আপত্তি পত্রে মমতাজ উল্লেখ করেন, অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া জমির মালিক ফজলুল রহমান একজন নিবেদিত আওয়ামীলীগ কর্মী। তার জমিটি অধিগ্রহন করলে সে নি:শ্ব হয়ে যাবে। এছাড়া প্রস্তাবিত ঐ জমিতের একাংশে একটি কবরস্থান নির্মানেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মুশফিকুর রহমান হান্নান জানান, মমতাজের এই আপত্তি একটি খোড়া যুক্তি।

পাওয়ার প্ল্যান্ট তৌরি করতে কারো না কারো জমি তো অধিগ্রহন করতেই হবে। বর্তমান নির্বাচিত জমিটি এই প্ল্যান্টের জন্য উপযুক্ত। ক্ষুদ্র স্বার্থের কারনে রশি টানা টানি করলে প্ল্যান্টটি স্থাপনে অনিশ্চিয়তা দেখা দেবে। সিংগাইর-হরিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান,জমি নির্বাচন করতে গেলে সবখানেই আপত্তি দিবে। এজন্য বসে থাকলে হবে না।

সরকার যেহতু ঐ জায়গা নির্বাচন করেছে সুতরাং সেখানে প্ল্যান্টটি স্থাপন হোক। যে কোন মুল্যে সিংগাইরে পাওয়ার প্ল্যান্টটি স্থাপন করতে হবে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুনশি শাহাবুদ্দিন জানান , সংসদ সদস্যের আপত্তি জানানের কথা জেনেছি। তবে সরকারী নিদ্দের্শ মেতাবেকই কাজ হবে। এব্যাপারে সংদস সদস্য মমতাজের সাথে মেবাইল ফোনে যোগাযোগের করা হলে তার পিএস ফরিদ উদ্দিন জানান, তিনি সংসদ অধিবেশনে আছেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।