আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“মা! আমি কি কোন অন্যায় করেছি? তা না হলে তুমি কেন আমাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলছো না?”


শিরোনামের কথা গুলো আমার বানানো নয়,কোন বিখ্যাত কবি বা লেখকের বই থেকেও নেয়া নয়। কথা গুলো বনানী বিদ্যা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেনীর ১০ বছরের ফুট ফুটে একটি মেয়ে তাসমিয়া রহমান অতশী’র। যে বয়সে স্কুলের বন্ধুদের সাথে খেলা ধুলা করার কথা সেই বয়সে একটি মেয়ে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লক-ডি এর ৩য় তলায় শিশু অনকোলজি বিভাগের একটি বেডে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। খুব সাধারন ভাবে জীবন যাপন করছিলেন অতশীর বাবা। স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে ভালই কাটছিল তার দিনগুলো।

কিন্তু এর মাঝ কাল হয়ে দাড়াল ডিফিউজ ননহজকিন’স লিমফোমা(Diffuse Nonhodgekn’s Lymphoma) যা একধরনের ক্যান্সার। দেশে এর চিকিতসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। নিয়ে যেতে হবে বিদেশে। কিন্তু সাধারন পরিবারের পক্ষে কি তা সম্ভব? অতশী’র বাবা চোখের জল মুছতে মুছতে শুধু একটা কথাই আজ বলে “আমার মেয়ে বাচবে তো?” চিকিতসার জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন,যা নেই অতশীর বাবার। আমাদের দেশে অনেক নেতা,অনেক ব্যবসায়ী।

যাদের আছে কোটি কোটি টাক। মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা তাদের কাছে কিছুইনা। কিন্তু এই টাকায় একজন পিতা ফিরে পাবে তার মেয়েকে,একজন মা ফিরে পাবে তার গর্ভজাত সন্তানকে আর মেয়েটি ফিরে পাবে পৃথিবীর আলোতে বেচে থাকার শান্তি। আমার এই কথা হয়তো সমাজের সেই সব বিত্তশালীদের কানে পৌছাবে না,পৌছালেও হয়তো কেউ নেবেনা কোন আমলে। কিন্তু এর জন্য কি আতশীর জীবনের আলো শেষ হয়ে যাবে? আতশীর অবস্থা এখন খুব খারাপ।

শীঘ্রই তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু টাকা? দু’দিন পরপর যখন মেয়েকে ক্যমোথ্যারাপি দিতে দেখতে হয়,মেয়ের কস্ট দেখে অতশীর বাবা শুধু আড়ালে কাদে। এতটুকু মেয়ের ছটফটানি আমি নিজেও সহ্য করতে পারি না,সেখানে একজন বাবা কি করে সহ্য করে? আমাদের সমাজে এখনও অনেক বিত্তশালী,অনেক হৃদয়বান আছে। তারা চাইলেই অতশীর মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তারা কি করবে? আর শুধু বিত্তশীলদের আশায় কি আমরা বসে থাকবো?অতশী’র মুখে হাসি ফোটাতে আমরা কি পারিনা সবাই এগিয়ে আসতে? অতশী’র জন্য আমি এবং আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের নিয়ে কিছু ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করছি।

যা ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় করা হবে। পেপার পত্রিকাতেও বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আমরা যদি সামান্য সাহায্য করি তবে এই মেয়েটি ফিরে পাবে নতুন জীবন,আমরা কি পারি না তা করতে? নিজ নিজ জায়গা থেকে খুব বেশী না হলেও সামান্য সাহায্য কি আমরা করতে পারি না? আসুন আমরা সবাই এগিয়ে আসি! একটি নিস্পাপ জীবনের আলো ফুরিয়ে যাবার আগেই আমরা তার জীবনের আলো ফিরিয়ে দেই। যারা সাহায্য পাঠাতে চান তাদের জন্য ঠিকানা নিচে দেয়া হলঃ তাসমিয়া রহমান অতশী হিসাব নং- ১০৯-১০১-০০০৭৭৯১ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড বনশ্রী শাখা,রামপুরা,ঢাকা। মোবাইলঃ (+৮৮) ০১৭১৩৪৮৮৯৮২,০১৬১১৪১০৩০৭,০১৬১১৮০০৯৯৯ আর যারা অতশীর সাহায্যর জন্য কাজ করতে চান,তার যোগাযোগ করুনঃ রেহমান রাহাত ০১৯১৬০৮১৪০৫ ০১৬৭১৪৪৬৭৯৩ সালাউদ্দিন ইমন ০১৭১১১০০৩৯৩ অতশী’র সম্পর্কে জানতে এবং ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানতে ও যোগ দিতে ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন।

এখানে ক্লিক করুন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।