আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাথীদের জন্য পরামর্শ: ক ইউনিট



পুরনো একটা নোট । ভর্তি পরীক্ষার্থীদের হয়ত কাজে দিবে। তাই শেয়ার করলাম। আমি কি চান্স পাবো? কেন পাবেন না ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ হাজার /৪০ হাজার পরীক্ষা দেয় -চান্স পাওয়া তো খুব কঠিন?..... একদম ই না .... কারণ যারা পরীক্ষা দেয় বেশিরভাগই পড়ালেখা করে না । সারাদিন ফেইসবুক/গেইমস/গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যাস্ত থাকে....তা না হলে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪৮ আউট অফ ১২০ ( চোখ বন্ধ করে পরীক্ষা দিলে ৪৮ পাওয়া যায় ) ৪০ হাজারের মধ্যে মাত্র ৮/৯ হাজার পাস করে কেন?আর বেশিরভাগ স্টুডেন্ট বুয়েট মেডিকেল নিয়ে বেস্ত থাকে পরে আর ঢাবির জন্য প্রস্ততি নেয়ার সময় পায় না ।

আমার আত্মবিশ্বাস অনেক !!!!! আত্মবিশ্বাসী হোন কিন্তু অহংকারী হবেন না ...স্কুল কলেজে যে কিনা আপনার চেয়ে খারাপ ছিল সেও কিন্তু আপনার চেয়ে ভাল করতে পারে!আমি যখন কোচিং করতাম আমার ব্যাচের একটা মেয়ে খুব গর্ব করে বলত "আমি ফার্মেসীতে চান্স পাব''....সেই মেয়ে কিন্ত শেষ পর্যন্ত চান্স পায়নি....তাই আত্মবিশ্বাসী হোন কিন্তু অহংকারী হবেন না আমার স্কোর ৮০ ?? ঢাবিতে ২০০ নম্বরের মধ্যে মেরিট পজিশন ঠিক করা হয় যার মধ্যে ৮০ থাকে এস এস সি এবং ইন্টারের রেজাল্ট বাকিটা ভর্তি পরীক্ষা আপনার ডাবল গোল্ডেন থাকা মানে আপানার স্কোর ৮০ ....তার মানে আপনি অন্যদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে....প্রবলেম তো এখানেই .... অনেকে ৮০ স্কোর থাকলেই মনে করে আমার চান্স পাওয়া ঠেকাবে কে ?.... কিন্ত আমি আমার অনেক ফ্রেন্ডদের দেখিছি ৮০ স্কোর নিয়ে ও চান্স পায়নি ! কেন ?.... কারণ তাদের আত্মতুষ্টি ভর্তি পরীক্ষার কঠিন যুদ্ধ সহায়ক নয়। যাদের স্কোর ভাল না তাদের চিন্তার কারন নেই ...কারন ৬৬ স্কোর নিয়েও ফার্মেসী সহ অন্যান্য ভাল বিষয়ে চান্স পেয়েছে আমি দেখিছি এবং পাচ্ছে প্রাইভেট টিউটরের প্রয়োজন আছে? অনেকে কোচিং ক্লাসে পড়া ক্যাচ করতে পারে না তারা প্রাইভেট টিউটরের সাহায্য নিতে পারে.... এ ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট এর ই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত.... বাবা মার ও উচিত বেপার তা খেয়াল করা.....টিউটরের সাহায্য না নিয়েও চান্স পাওয়া যায়। পড়তে চাইলে ঢাবির কোন ভাইয়ার নিকট পড়ুন । বুয়েটের প্রস্ততি নিলে কি ঢাবির প্রস্ততি নেয়া হয়ে যায়? এক কথায় না .... বায়ুলজি আলাদা পড়লে মোটামুটি হয় কিনতো পুরো প্রস্ততি হয় না biology কি খুব মুখস্ত করতে হয়? মেইন বই ছাড়া আর কিছু পড়বেন না ... বুঝে পড়বেন...তাহলে কম মুখস্ত করতে হব... এবং অবশ্যই বই দাগিয়ে পড়বেন .... গ্রীন রোডে বিষয়ভিত্তিক অনেক বই পাওয়া যায় কিন্ত এই বায়ুলজির জন্য মেইন বই ছাড়া অন্য কিছু দরকার নেই.. এরপর লেকচার শিট থেকে বিগত বছরের ঢাবি ও অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন গুলো সলভ করবেন। বায়ুলজির জন্য একাধিক বই শলভ করার প্রয়োজন নেই।

আমি অঙ্কে কাঁচা ?.... mathematics সব চেয়ে সহজ !!! সব চেয়ে সহজ প্রশ্ন হয় mathematics এ .... ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় হয় সরাসরি বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো তুলে দেয় । না হয় ওই রিলেটেড প্রশ্ন দেয়....তাই বিগত বসরের প্রশ্ন গুলো ভাল করে সলভ করতে হবে ...ত্রিকোণমিতির সব অঙ্ক ক্যালকুলেটর দিয়ে করা যায়....ক্যালকুলাসের জন্য লেকচার শিটের পাশাপাশি মেইন বইয়ের অঙ্ক গুলোও করার চেষ্টা করবেন...গ্রীন রোডে রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে প্রায় সব কোচিং এর লেকচার শিট ফটোকপি পাওয়া যা....সব চেয়ে জনপ্রিয় কোচিং টির(ইউসিসি'র কথা বলছি, আমাদের সময় ম্যাথের লেকচার শিটগুলো অনেক ভাল ছিল, এখন কেমন বলতে পারছি না ) mathematics লেকচার শিট গুলো ভাল ....যোগাড় করুন...প্রচুর শর্টকাট আছে...আরকিছু লাগবে মনে হয় না physics:কিভাবে প্রস্ততি নিব ? বিগত বছরের প্রশ্ন গুলোর পাশপাশি অবশ্যই ২ /৩ টা এর বইএর উদাহরণ ও অনুশীলনীর অঙ্ক গুলো করবেন ...সার্কিট থেকে একটা প্রশ্ন আসে .... খুব সহজ অঙ্ক আসে ...এবং বই থেকে ই....৩০/৪০ সেকেন্ডের মধ্যে করার অনুশীলন করুন। অংক করার পাশাপাশি থিউরির বেসিকটা আরেকবার ঝালাই করে নিতে হবে । রসায়নে কি করবো ? ঢাবি ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অবশ্যই করবেন ...ভাল ভাবে বুঝে সলভ করবেন ...সেকেন্ড পার্ট এর বিক্রিয়া গুলো ভাল করে দেখবেন ....প্রশ্ন বুঝে পড়বেন (যেমন পদার্থের অবস্হা থেকে অঙ্ক সারা অন্য প্রশ্ন আসে না অঙ্ক গুলো এই চাপ্টারের তাই ভাল করে দেখবেন)। বিগত বছরের প্রশ্ন এনালাইজ করে দেখে নিতে হবে কোন কোন ধরনের প্রশ্ন আসে ।

এবং সেসব টপিকস এ নিজেকে গোঁজামিল না দিয়ে পুরোপুরি ক্লিয়ার থাকতে হবে । একটা কথা বলি , ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ভর্তি পরীক্ষা। কেন? কারন ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয় হুবহু বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে অথবা ওই রিলেটেড । তাই বিগত ১০ বছরের প্রশ্নগুলো ভাল করে বুঝে সলভ করা উচিত । একটু টেকনিক্যালি ৩/৪ মাস ভাল করে পড়লে ভাল কোন সাবজেক্টে চান্স পাওয়ার আশা করাই যায় ।

বিঃ দ্রঃ প্রস্তুতি নিলে নিতে হবে শুধু মেডিক্যাল অথবা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শুধুমাত্র বুয়েটের জন্য। যেকোন দুটির জন্য প্রস্তুতি নিলে কোনটির জন্যই ভাল প্রিপারেশন হবে না । সবশেষে বলি হতাশ হবেন না ...পড়া চালিয়ে যান...শুভকামনা রইলো কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যের ঘরে করতে পারেন অথবা আমাকে মেইল করতে পারেন

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২১ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.