আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই সপ্তাহে পদ্মার পেটে পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ২৫০০ বাড়ি

বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহে উপজেলার ফিলিপনগর ও চিলমারী ইউনিয়নের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ প্রায় আড়াই হাজার ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ইসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য বসতভিটা। নদী তীরবর্তী মানুষের অভিযোগ, পদ্মার ভাঙনে তারা দিশেহারা হয়ে পড়লেও তা রোধে নেই কোনো উদ্যোগ।

ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নের বাজুমারা, তেমাদিয়া, চররামকৃষ্ণপুর, পশ্চিমচর ভবনন্দদিয়াড়, দক্ষিণ ও উত্তর খারিজার থাক, চরসরকারপাড়া, পূর্বচরভবনন্দদিয়াড়, মানিকেরচর এবং ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর, আবেদের ঘাট, গোলাবাড়ি ও ফিলিপনগর এলাকায় পদ্মা ভয়াল রূপ ধারণ করেছে।

নদীর করালগ্রাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঘর-বাড়ি। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের হিসেব মতে গত ১৫ দিনে দুই ইউনিয়নে আড়াই হাজার পরিবার নদী ভাঙনে বসতভিটা খুইয়েছেন। সর্বস্ব হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কবলিত মানুষের। চিলমারীর বাজুমারা গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই দিন আগে আমার বাড়ি-ঘর সর্বনাশা পদ্মা গিলে খেয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ নেয়নি কেউ। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক সরকার আমিরুল ইসলাম জানান, পদ্মার ভাঙনরোধে জলবায়ুর ট্রাস্টের অর্থায়নে ফিলিপনগর এলাকায় ২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৭৫ মিটার বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে যা কোনো কাজে আসছে না। ভাঙনের উৎস মুখে বাঁধ নির্মাণ না করে অপরিকল্পিতভাবে ভিন্ন স্থানে নির্মাণ করায় এ টাকা জলেই চলে যাবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।