আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজব দেশেই থাকি!

আমি বলছি যাব যাব, ঘর বলছে না; অবাধ্য সেই দুয়ার আমার, আটকে রাখে পা...
এমন অনেক বাঙালী আছেন যারা এক সময় দেশ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। দেশকে বদলাবেন, বাঙালির হাজার বছরের দারিদ্র লাঘব করবেন, দূনীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হবেন ইত্যাদি, ইত্যাদি। তাদের আত্মা এখন মৃত। তারা এখন আলাদা করে নিজেদের জন্য ভাবতে শিখেছেন। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন নিজের পশ্চাতদেশ বাঁচিয়ে চলি টাইপ জীবনের সাথে তারা অভ্যস্ত হবার প্রাণপন চেষ্টা করছেন।

এই দেশ নিয়ে আশা করার মতো কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। দেশের মানুষই ভালো না। হাজার টাকায় যে কাউকেই কিনে ফেলা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, এই কয়েক বছরে বাঙালির মেরুদন্ড অনেক ক্ষয়ে গেছে। সরকার আসে সরকার যায়।

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে যার যা নেবার নিয়ে নেয়। তারপর সেই চিরাচরিত নাটক। ভিলেন হয়ে উঠে নায়ক। এ দেশে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা সেটা বুঝার মতো ক্ষমতা ঈশ্বরেরও নাই। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা কোনভাবেই একটা বিষয়ে একমত হতে পারিনা।

নিজের স্বার্থের বিপরীতে কিছু এলেই আমরা কুকুরের চেয়েও অধম হয়ে উঠি। দেশ চলছে পাগলা ঘোড়ার পিঠে। রাজাকার, যুদ্ধপরাধ নাটকের সমাপ্তি ঘটানো এখনো সম্ভব হয়নি। ভ্রুহীন মহিলা তার দুই সন্তান নিয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রের তোষামোদে ব্যস্ত। জামাতিরা খোলস বদলে এখন নিজের পশ্চাতদেশ বাঁচানোয় তৎপর।

লাভ গুরু চাচা এরশাদ এই শেষ বয়সে এসেও মৃত্যু চিন্তায় মুমূর্ষ। ফাঁকে সরকার সুযোগ বুঝে দেশ লুটে নিচ্ছে। আ.লীগ সরকার তেমন একটা সরকার যেমন রাজাকার জামাতিরা যদি কখনো রাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করতো। আ.লীগ আর জামাতিদের মধো তফাত দেখি না। একদল ফাকিস্তানের চামচামি করে, বাকিদল মালোয়ানদের।

দুইটা দলই দেশের জন্য ক্যান্সার। আজকে অনেকদিন পর এসে একটা চরম দেশদ্রোহীমূলক পোষ্ট দিলাম। একান্ত বাধ্য হয়েই দিলাম। চারদিকে দু:সংবাদ আর দু:সংবাদ। তারপরও, তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের কিছু মহান বাণী যখন চোখের সামনে দেখি তখন ভাবি, শালার আজব দেশেই থাকি!
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।