গতকাল কাল শুক্রবার ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯ সালের এএলবি ফাইনাল পরীক্ষার ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা। কোম্পানী আইন ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক আইন ছিল বিষয়। উভয় আইনে ৫০ করে সিলেবাসে নম্বর বন্টন করা ছিল। এ বছরই নতুন সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে হিসাবে বাংলাদেশ বাণিজিক আইনে সালিসি আইন বিষয়ক কোনো অধ্যায় ছিল না।
পুরাতন সিলেবাসে তাহা অন্তভূক্ত ছিল। কিন্তু প্রশ্ন পত্রে দেখা গেল সেখান থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে।
তার পরও কথা থাকে বাংলাদেশের বানিজ্যিক আইনে ছটি আইন নিয়ে সিলেবাসটি প্রনয়ন করা হয়েছিল। সেগুলো হচ্ছে ১.পন্য বিক্রয় আইন ২.অংশীদারি আইন,৩হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইন ৪ পন্য পরিবহন আইন ৫.বীমা আইন ৬ দেউলিয়া আইন। (পুরাতন সিলেবাসে সালিশি আইন ছিল)।
নিয়ম হচ্ছে প্রত্যেক আইন থেকে একটি করে মোট ছয়টি প্রশ্ন থাকে যেকোনো তিনটি প্রশ্ন দেয়া হয়। কিন্তু কালকে দেখা গেল প্রশ্ন প্রনয়ন কর্তা সে সম্পর্কে কিছুই মনে হয়ে জানতেন না। আনারি অদক্ষ লোক দিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। অত্যন্ত দুখের বিষয় প্রশ্ন কর্তা সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি তা অনুসরন করেননি।
তিনি ছয়টি আইন থেকে প্রশ্ন না করে চারটি আইন থেকে প্রশ্ন করেছেন যার মধ্যে একটি সিলেবাস বহিভূত সালিশী আইন। সে হিসেবে একজন নিয়মিত ছাত্রের কাছে সমগ্র বানিজ্যিক আইন থেকে তিনটি আইন থেকে সে প্রশ্ন পত্রে পেল।
দলবাজি করতে গিয়ে ডিজিটাল সরকার প্রশ্ন ঠিক মত করতে পারেনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত বিগত ১৫ বছরের প্রশ্ন কাঠামো যদি কেউ দেখে থাকে তবে বিষয়টি সহজেই ধরা পড়বে। একজন ছাত্র যে আশা নিয়ে সে অন্য অধ্যায় গুলো ভাল করে পড়ে সে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল তার সে আশা পুরন হলো না।
প্রশ্ন কর্তার অজ্ঞতা সুলভ কর্মকাণ্ডে।
প্রশ্ন কঠিন করা এক জিনিষ আর প্রশ্নে নম্বর বন্টন, প্রশ্নের ধারাবাহিকতা নষ্ট করে এবং সিলেবাস বহিভূর্ত প্রশ্ন ছাপিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর পরীক্ষা খারাপ করে দেয়া অন্য জিনিষ।
একজন ছাত্র হিসেবে আমি ভাল ভাবেই পরীক্ষা দিয়েছি। কারণ পুরো বই পড়েই পরীক্ষার হলে আমি পরীক্ষা দিতে যাই। কিন্তু প্রশ্ন নিয়ে এসব পাগলানি না করলেই কি নয়।
তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে কোম্পানী আইন থেকে তিনটি ও বানিজ্যিক আইন থেকে ৩ টি সহ মোট ছয়টি প্রশ্ন দিতে হয়। কোম্পানীতে থাকে ৫০ আর বানিজ্যিক আইনে থাকে ৫০। সেটি পরিবর্তন করে প্রতি গ্রুপ হতে কমপক্ষে দুটি করে মোট ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার যে সুযোগটা দিল, তা অনেক ছাত্রের কাছে ভাল মনে হলেও সিলেবাসে কোম্পানী আইনে ৫০ ও বানিজ্যিক আইনে ৫০ নম্বর রাখার যে বিধান ছিল তা কতটুকু রক্ষা করা গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।