আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনার বিচার চাইলেন সাকাচৌ।

ভুদাই সমিতির সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করছি। পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্টের পোষ্ট খালি আছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে সঠিক যুদ্ধাপরাধী খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এমন কোনো সার্কাস করবেন না যাতে ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় নগরীর গুডস হিলে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সকালে চট্টগ্রামের রাউজানে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল সালাউদ্দিন কাদেরের যুদ্ধাপরাধের তদন্তে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায়।

এমন কথা জানানোর পর এ সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারালে দেশ বিপদের মুখোমুখি হবে। সাড়ে ছয় ঘন্টা তদন্ত করে তদন্ত দল কী করে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে গেল সে প্রশ্ন তোলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। দেশে একটি চরিত্র হননের সংস্কৃতি চলছে উল্লেখ করে বিএনপি’র এই সাংসদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ওয়ান ইলেভেনের পর দুর্নীতির অনেক মামলা হয়। তার চরিত্র হেয় করে সংবাদ মাধ্যমে অনেক খবর প্রকাশ হয়।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাসএরপরেও নির্বাচনে জয়ী হয়ে এখন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগে কোনো বাধা নেই। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চট্টগ্রামবাসী আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি করেছেন। এত অভিযোগের পরেও আমি চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে কথা বলে যাবো। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কেউ নই যে আমার প্রতিপক্ষ থাকবে না।

আমার প্রতিপক্ষ রয়েছে তারাই সক্রিয় হয়ে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। ট্রাইবুন্যালের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের কার্যক্রম দেখছি। তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কে কি করেছেন, কে কি দেখেছেন তা নিয়ে রূপকথার কল্পকাহিনী সাজানো হচ্ছে। ’ তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের কাছে যারা তাদের বাবার হত্যার বিচার চাইছে... তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আমার বাবাকেও হত্যা করা হয়েছিলো আমিও আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

’ যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিকরা একেকজন একেক রকমের কথা বলছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করে বিচার করুন। এমন কোনো সার্কাস করবেন না যাতে আপনাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তিনি বলেন, ৩৯ বছরেও যে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেল না, মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টায় তা বের করে আনলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। এটি অবিশ্বাস্য। সালাউদ্দিন কাদের বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইব্রাহিম হত্যামামলার হত্যাকারী খুঁজে বের করা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার অপরাধীদের খুঁজে বের করা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তের দায়িত্বও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের হাতে দেওয়া যেতে পারে।

তারা দ্রুত এর সমাধান বের করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘কাউকে হেয় করার জন্য নয়, দেশের স্বার্থেই তাদের কাজের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বেশি ঘাটাঘাটি না করার হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমিও অনেক কিছু দেখেছি, জেনেছি, শুনেছি। আমি যেসব কথা জানি সেগুলো তুলে ধরতে চাই না। আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না।

তদন্ত দল এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি এমন কোনো উস্কানি দেওয়া হবে না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। ওয়ান ইলেভেনের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সরকারকে প্রতি ‘নেতিবাচক রাজনীতি’ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সম্মুখমুখি রাজনীতি পছন্দ করি আশা করি সরকারও তাই করবে। পরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলোচনায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ৮৭৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য আইন হয়েছে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার করার জন্য নয়। ’ তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।

তবে আমি কোনো কিছুকে ভয় পাই না। ওয়ান ইলেভেনের পর ২২ মাস জেল খেটেছি। তাই এ নিয়ে চিন্তা করি না। আমার ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে... আরও নির্যাতন ভোগের জন্য প্রস্তুত আছি। ’ তিনি বলেন, ‘মাঠে যারা ফাউল করেছে তাদের বিচার হচ্ছে না... গ্যালারিতে বসে যে হাততালি দিয়েছে তাদের বিচার নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে।

’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার দুটি মিল রয়েছে- তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত পারড় দিয়ে হিন্দুস্তান যান নি। আমিও যাই নি। তারও মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেই আমারও নেই। আর এখন যেহেতু যাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেই ও যারা হিন্দুস্তান যায় নি, তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হচ্ছে সেহেতু শেখ হাসিনারও বিচার হওয়া উচিত।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।