বাংলাদেশকে ভারত বছরে ২০ লাখ বেল তুলা সরবরাহ করবে। তবে এই তুলা কোন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আমদানি করবে বা ভারত রপ্তানি করবে, তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং ভারতের বস্ত্রমন্ত্রী কে এস রাওয়ের উপস্থিতিতে এই সমঝোতাপত্রে সই করেন বাংলাদেশের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে সচিব আশরাফুল মকবুল ও ভারতের বস্ত্রসচিব জহুরা চট্টোপাধ্যায়।
এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এই সমঝোতা দুই দেশের সম্পর্ককে শুধু জোরদারই করবে না, পারস্পরিক ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিরও সহায়ক হবে।
বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতির হার অব্যাহত রাখতে এই ২০ লাখ বেল তুলা খুবই সহায়ক হবে বলে জানান ভারতের বস্ত্রমন্ত্রী কে এস রাও। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ যত শক্তিশালী হবে, ততই ভারতের লাভ। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প সারা পৃথিবীতে একটা বড় জায়গা করে নিয়েছে। অথচ তারা তুলা উৎপাদন করে না, ভারতে যার প্রাচুর্য।
বাংলাদেশের বছরে মোট ৭০ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন।
বিভিন্ন দেশ থেকে তারা ৫০ লাখ বেল আমদানি করে। ঘাটতি ২০ লাখ বেল তারা ভারত থেকে আমদানি করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এই সমঝোতাপত্রে ভারত সেটাই নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের পর গত দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতের বস্ত্র আমদানি যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা ২০১১ সালে বেড়ে হয় ২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।
আর ২০১২ সালে ২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ভারতের দিক থেকে বছরে এই পরিমাণ তুলা সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হলেও কী দাম বা কী প্রক্রিয়ায় এই তুলা আমদানি-রপ্তানি হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দুই দেশ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বেসরকারি পর্যায়ে এই আমদানি সম্পন্ন করতে চায়। আর ভারত চায় রাষ্ট্রীয় সংস্থার মধ্যে রপ্তানি করতে।
এ ক্ষেত্রে ভারতের একটি যুক্তি হলো, কোনো সময় তুলা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তখন আর বেসরকারি পর্যায়ে রপ্তানি করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্থার মাধ্যমে হলে তা বহাল রাখা যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।