আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিজিএফের চাল দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিতরণ

একখান চাবি মাইরা দিচে ছাইরা জনম ভইরা চলতে আছে.।

ভোলায় ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল দলীয় কর্মীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা এবং জয়পুরহাটের কালাইয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বণ্টনে দলীয়করণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এরশাদ আলী জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ভোলার ৫৬ হাজার ২০০ অসহায় বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধীর জন্য বিশেষ ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোলা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে তাঁরা কেউই কোনো চাল পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন অসহায় বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধীদের বাদ রেখে দলের নেতা-কর্মীকে ঈদের জন্য বিশেষ ভিজিএফের চাল দিয়েছেন, পরে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবু হানিফ অভিযোগ করেন, তাঁর ওয়ার্ডে শতাধিক অসহায় বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী থাকলেও তারা কেউই চাল পায়নি। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন মাস্টার জানান, তাঁদেরকে ৪০ ভাগ নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। বাকি ৬০ ভাগ দলীয় কোটা। একই উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের কাজী বলেন, ‘এক হাজার ৩১টি নামের মইধ্যে আমরা চাইছি ৬০ ভাগের তালিকা, নেতারা দিতে চায় ৪০ ভাগ। এইডা লইয়্য ঠেলাঠেলি চলতে আছে।

এর লাইগ্যা চাল বিতরণ অয় নো। ’ অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, অসহায় বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধীদের বাদ রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই বিশেষ চাল বিতরণের অভিযোগ তিনি পাননি। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান। এদিকে নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভিজিএফ কমিটির তালিকা তৈরির কথা থাকলেও জয়পুরহাটের কালাইয়ে সে নিয়ম মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলায় ছয় হাজার ভিজিএফ কার্ডের বরাদ্দ এলেও আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাব খাটিয়ে একাই তিন হাজার কার্ড বরাদ্দ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, উপজেলা ভিজিএফ কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেই। কাজেই কার্ডের বরাদ্দ নিয়ে কোনো অনিয়ম হলে তাঁর কিছুই করার নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কাছেও দুস্থরা আসে। তাই কিছু তালিকা আমার লোকজন দিয়ে করিয়েছি। কে তালিকা করল তা দেখার বিষয় নয়; যারা চাল পেয়েছে তারা দুস্থ কি না সেটাই দেখার বিষয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।