পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
যে কোন নামাজই জামাতের সাথে আদায়ের রয়েছে এক অপুর্ব শিক্ষা। জামাতের সাতে যে কোন কিছু আদায়ের মাধ্যমে ভাতৃত্ববোধ বৃদ্বি পায়। কমে আসে বড়-ছোট ভেদাভেদ। দীর্ঘ ছয় বছর মিশরে ঈদের নামাজ আদায় করে তেমনি কিছু সুন্দর শিক্ষা আমি লাভ করেছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার কর্তে চাই।
১) মিশরে সকল ঈদের জামাত আরম্ব হয় বেলা উঠার ঠিক আধাঘন্টা পর। ফলে ঈদের দিন অনেক বড় হয়ে যায়।
২) সঠিক সময়েই নামাজ আরম্ব হয়। কোন ব্যাক্তির জন্য নামাজ বিলম্বিত হয় না।
৩) কোন কালেকশন হয় না।
তবে বিভিন্ন খাতের জন্য আলাদা ফান্ড থাকে।
৪) জামাতের পুর্বে ছোট ছোট শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয় মাইক্রোফোন, সবাই মিলে আনন্দের সাতে তাকবির বলতে থাকে, যা কিন শিশুদের আনন্দ বহুগুনে বৃদ্দি করে দেয়।
৫) মহিলাদের জন্য পুরুষদের পাশেই পর্দাদিয়ে ঢেকে জামাতের ব্যাবস্থা করা হয়।
৬) জামাত শেষে কুলাকুলি করা হয় না, যা আমি খুব মিছ করতাম। তবে তারা সবার সাথে হ্যান্ডশেক/মোসাফা করে ও দোয়া বিনিময় করে।
৭) অধিকাংশ মুসল্লিই জামাতে যাবার সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য খেলনা অথবা শোকনো খাবার নিয়ে গিয়ে থাকেন যেমন চিপস, চকোলেট, চুইংগাম, খেজুর, পেপসি কেন্জ ইত্যাদি ইত্যাদি। খেলনার মধ্যে থাকে ছোট ছোট বল, বেলুন, বাসি, টুপি, রুমাল উল্লেখযোগ্য। গড়িব ছেলেমেয়েদের খুশি হবার জন্য আর বেশি কিছু লাগে না। এই ছোট ছোট গিফট হাতে পেলেই তাদের সারা দিন আনন্দে কেটে যায়, যদিও এতে তেমন কোন খরচই হয় না, হয় শুধু একটু স্বদিচ্ছার। মিশরে ঈদের জামাত আদায় কারি সমস্ত বাঙালী ছাত্রদেরই এই বিষয়টি খুব নজর কেরেছে।
আমরা স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশেও এমন কালচার চালু করার। যাতে গড়িব শন্তানেরা যেন আোনন্দের সাথে ঈদ কাটাতে পারে।
সকলকে ঈদমোবারক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।