আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আজ ৩২, সুইট সিক্সটিন+ সুইট সিক্সটিন..

পৃথিবীতে একটা জিনিস আছে, যত বাড়ে, তত কমে। সেটা হলো - বয়েস আর আয়ু। আমি আজ ৩২ । দুইটা সুইট সিক্সটিন যোগ করলে একটা ৩২ হয়। ১৬ + ১৬ = ৩২. অথবা চারটি আট বছরের শিশু একত্রে গুনন দিলে ৩২ হয়।

৮ ৪ = ৩২. মিষ্টতা আর শিশুত্ব আমার চরিত্রের প্রধান গুন। এই সহজতা আর সরলত্বের অনেক দন্ডও আমাকে জীবনে পেতে হয়েছে। আমার এই ৩২ বছর জীবনের কিছু প্রাপ্তি- ১. ৪ টি পুরস্কার। শিশু সাহিত্য, ছড়া, নির্দেশনা, গীতিকার। ২. ১৪ টি গ্রন্থ।

৪ টি প্রকাশিত। ১০ টি অপ্রকাশিত। ৩.৪ টি একক আলোকচিত্রের প্রদর্শনী। ৪. বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ২০+ এমপি, মন্ত্রী, সেনাপ্রধানের শুভেচ্ছা বানী। ৫.একটি টিভি চ্যানেলের প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত মূহুর্ত পর্যন্ত নিয়ে আসা।

৬. একটি টিভি চ্যানেলের মিথ্যা সংবাদ শিরোনামে স্থান পাওয়া। ৭. শতাধিক ভিডিও এডিটর, ডিরেক্টর, উপস্থাপককে প্রশিক্ষন। ৮. ৪০ পর্ব ওয়ার্ল্ড ট্যুর অনুষ্ঠানের স্ব গ্রন্থনায় নির্মানে উপস্থাপন। ৯.অনেক বন্ধু আর কিছু ঈর্ষপরায়ন মিথ্যেবাদী শত্রু অর্জন। ১০. সুখ্যাতির পাহাড় গড়ে , নিসঙ্গ জীবন বরন।

১১. সৃজনশীলতায় আর কাজের ভেতর ডুবে থেকে , ব্যক্তিগত জীবনে মস্ত এক অসফল মানুষ হতে চলেছি আমি। কাজই আমার ধ্যান , জ্ঞান। ৩ বছর ২ মাস, ওয়ার্ল্ড টিভির অনুমোদনের পেছনে লেগে থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে চলেছি। বারবার সকলের ভুল ধারনা আর বাঁধার মুখে সিদ্ধান্তে অটল থেকে সংকল্পের শক্তিতে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তীরে পৌছে গেছি। এভারেষ্ট এর চূড়ো যখন আর দু. মিনিটের দূরত্বে.. তখন লাফিয়ে পড়ে, নীচে নেমে আসা যায় না।

গন্তব্যে পৌছানোটাই আমার নিয়তি। চোখ মুছে , মাঝে মাঝে দেখি এতো উচ্চতায় , আমি বড় নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। অবস্থান যত উচু, অক্সিজেন ততই কম। ঘাম-এর সঙ্গে , যখন চোখের জল মুছতে যাই, দেখি আঙুলের ডগায় লেগে আছে গাঢ় রক্তের ছাপ। আমার মা একজন সরল মানুষ।

বাবা একজন নীরিহ ব্যবসায়ী। কোনো সন্তান, বড় যুদ্ধে ন্যস্ত থাকলে, বাবা , মায়ের শান্তির ঘুম বিনষ্ট হয়। আমি অপরাধী। অপরাধী এ জন্য যে- আমি একটা অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করেছি। এ জন্য আমাকে অনেকের ঈর্ষার আগুনে কম বেশী সারাজীবন পুড়তে হবে।

যারা ভালোবাসে- তাদের আশঙ্কাকে আমি নির্মূল করে দিতে পারবো না। মাগো, বাঘের পিঠে যখন চড়েছি, জেনেই চড়েছি। এ বাঘ আমাকে খেয়ে ফেলবে অথবা এর পিঠে চড়েই আমি আমার গন্তব্যে পৌছে যাবো। যদি, আমাকে আজ ইর্ষা করবার আর মিথ্যে অপবাদ দেবার জন্য ১ জন মানুষ থাকে- তাহলে জেনো, ১০ লক্ষ তরুণ আমার স্বপ্নের শুভ যাত্রায় সঙ্গী আছেন। মা, আমার এই জীবনের সব থেকে বড় আফসোস কি জানো ? সব থেকে বড় আফসোস হলো- আমি কৃষিকাজ জানি না।

এরুপ আমার আরো অনেক আফসোস আছে এক জীবনে। সব আফসোস না বলা যায়, না বলতে হয় !! তবুও , ধন্যবাদ দেই কয়েকশ, প্রানাধিক শুভাকাঙ্খিকে- যারা আমার এই অসম্ভব জয়ের গল্পের একেক পর্বের অকুতোভয় বীর সেনানি। একটা জ্বলজ্যন্ত সূর্যকে বুক পকেটে লুকিয়ে ফেলা , নিশ্চই জানি চাট্টিখানি কথা নয়। আজ আমার জন্মদিন। মাগো, সবাইকে ভালো বাসতে বাসতে , নিজের যত্ন নিতে ভুলে গেছি।

একটি বার নিজের দিকে ফিরে তাকাবার সময় যেনো আমার নেই !! গতকাল আকাশে হয়তো উঠেছিলো- বিশেষ চাঁদ। নিজেকে মাঝে মাঝে আলাদা করে একটু ভালোবেসে , দয়া করতে ইচ্ছে হয়। বলতে ইচ্ছে হয়- একটু রেষ্ট করো। আজ তোমার হ্যাপি বার্থ ডে। !!! ১৫ মে. ২০১৩. রাত একটা ৪৮. জন্মেই আমি মৃত্যুবরন করেছি।

সেই গল্পটাও আরেক মিরাকেল। Click This Link ওয়ার্ল্ড টিভির ফেইসবুক পেইজে এক্টিভ থাকুন Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।