আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক বন্ধু্র নমুনা.।নিচের নিউজটা তার প্রমান।।



পরশুরাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের নামে পানির উৎসমুখ ভরাট করে দিয়েছে ভারতপরশুরামের বিভিন্ন সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের নামে সীমান্ত দিয়ে আসা পানির উৎসমুখগুলো ভরাট করে দিয়েছে। যার কারণে বৃষ্টিনির্ভর এ মওসুমেও অসংখ্য ডোবা-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। জানা গেছে- পরশুরাম সীমান্তে ভারতের ত্রিপুরা পাহাড়ী রাজ্য অবস্থিত। এ উপজেলার পশ্চিম-পূর্ব ও উত্তর পাশে রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমানা। গত কয়েক বছর ধরে ভারত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে চলেছে।

সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মির্জানগর ইউনিয়নের মহেশপুষ্করণী, জয়ন্তী নগর, সত্যনগর, আশ্রাফপুর, মধুগ্রাম নিজ কালিকাপুর, রাঙ্গামাটি, পশ্চিম সাহেব নগর, চিথলীয়া ইউনিয়নের রাজষপুর, মন্তলা, চন্দনা, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ গুথুমা, উত্তর গুথুমা, মোহাম্মদপুর ও পৌরসভার বাঁশ পদুয়া, বিলোনীয়ায় ৩ স্তর বিশিষ্ট কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। সীমান্তে পাকা দেয়াল তৈরি করে এর ওপর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত সড়কও তৈরি করেছে। এসব দেয়াল ও সড়কে বক্স কালভার্ট ও গোলাকার নাল বসিয়ে ভারত সীমান্তের অধিকাংশ পানির উৎসমুখ ভরাট করে দিয়েছে।

বর্ষা মওসুমে ভারত বক্স কালভার্ট ও নালের মুখ খুলে দিলে এ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়। আর শুকনো মওসুমে মুখ বন্ধ করে পানি আটকে দিয়ে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে ভারত। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে- ভারতের বক্স কালভার্ট নির্মাণের কারণে পানিবদ্ধতায় পৌর এলাকার দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের ২শ হেক্টর ফসলি জমিতে প্রায় ৩ বছর ধরে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের এ অংশটি সীমানা পিলার ২১৬৯ ও ২১৭০-এর মধ্যবর্তী স্থান। এ গ্রামের পূর্ব ও উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শীল কলোনী গ্রামের পানি বাংলাদেশে আসত।

এ খালের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের পানির সমতা রক্ষা হত। কিন্তু বিগত ৩ বছর ধরে ভারতীয়রা খালটি ভরাট করে কাঁটাতারের বেড়ার নিচে বক্স কালভার্ট বড় পাইপ নির্মাণ করায় পানি প্রবেশ করে এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার কারণে ২শ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায় এবং ১০০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। শুষ্ক মওসুমে ভারতীয়রা পানি আটকে চাষাবাদের কাজ করে। অপরদিকে শুষ্ক মওসুমে পানির অভাবে এসব জমি অনাবাদি থাকে।

এছাড়া মির্জানগর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর মধুগ্রাম বড় কবরস্থানের উত্তর পাশের ডোবাটিতে শুষ্ক মওসুমে একেবারেই পানি থাকে না। স্থানীয়ভাবে ‘আজইরজ্যার ডোবা' নামে পরিচিত। অথচ এক সময় এ ডোবায় পানি থৈ থৈ করত। পদ্মফুল ও শাপলা ফুটে থাকত। কৃষকরা ডোবা সংলগ্ন জমিতে সেচ দিত।

এটির উত্তর পাশে কাঁটাতারের বেড়া ও দেয়াল নির্মাণের ফলে এখানে স্থায়ীভাবে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও দেয়াল নির্মাণের ফলে আরও অসংখ্য ডোবা নালা শুকিয়ে গেছে। অভিজ্ঞমহল মনে করছেন, এ কারণে মৎস্য সম্পদ ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।