দেশের ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের জন্যই ছাত্রসংগঠনের জন্ম। ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের দল ভারী করার জন্য ছাত্রদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার টার্গেট নেয়। বাংলাদেশের প্রধান দুইটা ছাত্রসংগঠন হল ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবির। একজন নতুন ছাত্রকে দলে টানার জন্য দুই দলের কৌশল ভিন্ন।
প্রথম টার্গেট কোন ভদ্র নম্র ছেলে।
তার সাথে পরিচিত হওয়া। তার আদ্যপান্ত জানা। তার পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে খোজখবর নেয়া। গ্রাম থেকে শহরে আসলে ছাত্রশিবিরের মেসে থাকার ব্যবস্থা করা কম খরচে। টিউশনির ব্যবস্থা করা।
এরপর ধীরে ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের দিকে মোটিভেট করা।
আমাদের সুশীল সমাজের লোকজন এটাকে অত্যন্তু খারাপ দৃষ্টিতে দেখেন। তাদের অভিযোগ ছাত্রশিবিরে নিরীহ ও নিরুপায় ছাত্রদের টিউশনি এবং থাকার লোভ দেখিয়ে দলে ভিড়ায়।
কিন্তু ঐ ছাত্র যখন ছাত্রলীগের খপ্পরে পড়ে তখন দেখুন কি অবস্থা হয়। প্রথম টার্গেট এমন কোন ছাত্র যার বডি স্ট্রাকচার খুবই ভাল।
মারামারি করতে গেলে একাই দুই তিনজনকে শুইয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। প্রথমে সে একটান দুইটান দিয়ে সিগারেট ফুকতে থাকে। এরপর দলবেধে আড্ডা মারা। টিউশনির দরকার হয় না। ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া ব্যবস্থা হয়।
পকেট খরচের ব্যবস্থা হয় বড়ভাইদের সাথে চাদাবাজি করতে গেলে সেখান থেকে ভাগ পেয়ে। ব্যায়াম আর জগিংয়ের ব্যবস্থা হয় কোন্দলের সময় মারামারি করতে গিয়ে দৌড়ের মাধ্যমে।
প্র্র্র্রিয় পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন। একজন ছাত্র গ্রাম থেকে অনেক আশা ভরসা নিয়ে আসে পড়ালেখা করে বড় হবে । বাবা মায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
তার সে আশায় কারা প্রনোদনা হিসেবে কাজ করে। আর কারা তার স্বপ্ন. বাবা মায়ের ভাই বোনরে স্বপ্ন চুরমার করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
শুধুই যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা নীতি পরিহার করে যে ভাল কাজ করছে তার স্বীকৃতি দেয়া উচিত নয় কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।