আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ পয়সার ঘাটতি!!! কমার্সের পোলা পাইন ১০০ হাত দূরে।[ ভুদাই মার্কা কুইজ ]

ভোর হোক তোমারও জানালায়,ভোর হোক ধ্বংসস্তুপে। চাপা পড়া শহরে,শহীদ স্বরণীর পীচঢালা পথে। রোদ্র আসুক আশাবাদী অহ্মর হয়ে,বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।

শায়েস্তা খানের আমল। হাসিনা, খালেদা আর সায়ফুর (মরহুম)সাব গেল একসাথে বাজার করতে।

বাজারে পদ্মার ইলিশ উঠছে। তিনজনে আলাদা আলাদা ভাবে তিনখান মাছ কিনল। মাছের দাম: এক খান দেড় টাকা। তখনকার দিনে মাছ একখান/দুইখান হিসেবে বেচা হইত। মাছ দোকানদার মুহিত আড়তে গেছে মাছ কেননের লাইগা; দোকানে আছে মুহিতের হেল্পার এরশাদ।

হাসিনা, খালেদা আর সায়ফুর সাব মাছ কিইনা এরশাদের কাছে মোট সাড়ে চার টাকা বুঝাইয়া দিল। পথে খালেদা কইল "হাসিনা আপা আপনিতো বহুবার আমার লাইগা তরকারি পাঠাইছেন, আইজকা আমি মাছ রান্ধুম আপনের লাইগা, লগে মুরব্বি সায়ফুরও। আপনার মাছ কসাইয়া ফালাইয়া রাখেন, কাইলকা রাইনধেন"। এইদিকে মুহিত ফিইরা আইসাতো ক্ষ্যাপা; এরশাদরে কয় "ব্যাডা ৩ টা মাছ একলগে বেচছস যখন তখন একটু সস্তায় ছাড়বিনা? যা আট আনা (৫০ পয়সা) ফেরত দিয়া আয় তাগোরে। পটেনশিয়াল কাস্টমার ধইরা রাখা হইতাছে ব্যবসার মূল মন্ত্র।

বুঝচছ গর্দভ!" অত:পর এরশাদ ৫০ পয়সা লইয়া হাসিনা,খালেদা আর সায়ফুর রে খুঁজতে বাইর হইল। পথে যাইতে যাইতে সে চিন্তা করতাছে ৫০ পয়সা ৩ জনের মইধ্যে সমানভাবে ভাগ করবোটা কেমনে? এমন সময় মনে পড়ল পাশের দোকানের মালিকের মাইয়া বেদিশার কথা। বেদিশারে ইদানীং সে খুব ভালা পায়। তারে দেখলেই এরশাদের মইধ্যে হাওয়ামে উড়তা যায়ে ভাব চইলা আসে। তারে কিছু একটা কিইনা দেওনের লাইগা অনেকদিন ধইরা মন আন চান করতাছে।

যে ভাবন সেই কাজ। ৫০ পয়সার থেইকা ২০ পয়সা খরচ কইরা বেদিশার লাইগা কিনল রেশমী চুড়ি। বাকি আছে ৩০ পয়সা; মানুষ ও তিনজন। হিসাব সোজা হইয়া যাওনে এরশাদ বেজায় খুশি। কাম শেষ হওনের দেরী, বেদিশার লগে পুস্কুনির পারে ডেটিং এর ছবিই খালি মাথার মইধ্যে ঘুরঘুর করতাছে তার।

ভাগ্য ভালা, পথেই দেখা হইল সায়ফুর সাবের লগে। এরশাদ তড়িঘড়ি তারে বাকি ৩০ পয়সা বুঝাইয়া দেয় আর কয় "লন আপনাগো ৩ জনেরে বস ৩০ পয়সা ফেরত দিছে। ভবিষ্যতে আমগো দোকান থেইকা মাছ কিনলে আরো সস্তা দিমুনে"। ৩০ পয়সা ফেরত দিয়াই এরশাদ পুস্কুনির উদ্দেশ্যে দিল দৌঁড়। সায়ফুর সাব ফিরা আইসা নিজে ১০ পয়সা রাইখা বাকী ২০ পয়সা হাসিনা, খালেদারে ভাগ কইরা দিল।

সায়ফুর ফিরা আইল তার রহমান কোম্পানীতে; হিসাবের খাতা লইয়া হিসাব মিলাইতেছে। যাউগগা সাইফুরের হিসাব আমগো লগে মিলবোনা, হেতো আর বেদিশার রেশমী চুড়ি দেখে নাইক্কা। আহেন আমরা হিসাব করি। আগিলা খরচ: ১.৫০ টাকা X ৩ জন =৪.৫০ টাকা ফেরত হিসাব: হাসিনা, খালেদা আর সায়ফুর ৩০ পয়সা ফেরত পাওনে তাগো খরচা দাড়াইছে (৪.৫০টাকা -০.৩০টাকা)=৪.২০ টাকা বেদিশার রেশমী চুড়ি=০.২০ টাকা -------------------------------------------------- মোট =৪.৪০ টাকা কিন্তু হিসাব তো মিল্লনা। ৪.৫০টাকার জায়গায় ৪.৪০ টাকা!! বাকী ১০ পয়সা গেল কই? (কমার্সের পোলা পাইন ১০০ হাত দূরে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।